ক র্ল মার্ক্সের চিন্তা ও তার অনুসারী (এবং অনুসারী বলে পরিচিত) নানা তত্ত্ব ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বঙ্গসমাজে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা বরাবরই বিস্তর। কিন্তু পরেশ চট্টোপাধ্যায় (১৯২৭-২০২৩) বাঙালির কাছে বিশেষ পরিচিত নন। তার অন্তত তিনটি সম্ভাব্য কারণের কথা ভাবা যেতে পারে। প্রথমত, তিনি মাতৃভাষায় লিখেছেন খুব কম: ন'টি পূর্বপ্রকাশিত এবং একটি অপ্রকাশিত প্রবন্ধের এই সঙ্কলনটিকেই তাঁর বাংলা রচনা সমগ্র বলা যেতে পারে; প্রকাশক তাঁর পূর্বকথায় জানিয়েছেন, আর কোনও লেখার খোঁজ মিললে এ-গ্রন্থের পরের সংস্করণে যোগ করতে চান। দ্বিতীয়ত, লেখক দীর্ঘকাল প্রবাসী ছিলেন, দেশের বিদ্বৎসমাজের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল, অন্য অনেক প্রবাসী পণ্ডিতের তুলনায়, সীমিত। কিন্তু, অনিবার্য প্রশ্ন: মার্ক্সীয় চর্চার এই বিশ্ববিশ্রুত অগ্রপথিক সম্পর্কে আমাদের যথেষ্ট আগ্রহ থাকলে ভৌগোলিক অবস্থান বা ভাষার আড়াল অতিক্রম করে আমরা তাঁর লেখাপত্র নিয়ে অনেক বেশি আলোচনা এবং তর্কবিতর্ক করতাম না কি? তবে কি অন্য কোনও আড়াল ছিল? সেখানেই উঠে আসে তিন নম্বর সম্ভাবনাটির কথা। পরেশ চট্টোপাধ্যায় মার্ক্সের চিন্তা ও কাজকে যে ভাবে দেখেছেন, তা কেবল বিংশ শতাব্দর সোভিয়েত ইউনিয়ন (বা চিন) অনুগামী মার্ক্সবাদ থেকে স্বতন্ত্রই নয়, তার কঠোর সমালোচক, যে সমালোচনার ধার এবং ভার তাঁর চর্চা ও গবেষণার মধ্য দিয়ে উত্তরোত্তর তীব্রতর ও প্রবলতর হয়েছিল। বস্তুত, ‘মার্ক্সবাদ' নামক এক নির্ধারণবাদী এবং সর্বশক্তিমান তত্ত্বের খাঁচা থেকে মার্ক্সীয় সমাজদর্শনের অনেকান্ত ও দিগন্তপ্রসারী স্বরূপ সন্ধানের কাজেই নিজেকে একাগ্র পরিশ্রমে নিয়োজিত রেখেছিলেন তিনি। বঙ্গীয় মার্ক্সবাদী মহলে— কেবল সরকারি বামপন্থী নয়, বৃহত্তর বাম শিবিরের অধিকাংশ পরিসরেও— এমন ছক-ভাঙা মার্ক্সীয় চিন্তা অস্বস্তি, বিরাগ বা বিদ্বেষ উৎপাদন করলে অবাক হওয়ার কারণ নেই। অথচ তাঁকে সরাসরি উড়িয়ে দেওয়া কঠিন, কারণ তাঁর পাণ্ডিত্য অবিসংবাদিত, এই সঙ্কলনের সম্পাদকের ভাষায় “মার্কস, এঙ্গেলস, লেনিন, ত্রোৎস্কি, স্তালিন, রোজা লুক্সেমবার্গ, লুকাচ, গ্রামশি প্রভৃতির লেখা তিনি মূল ভাষায় পড়েছেন”। অতএব তাঁকে যথাসম্ভব এড়িয়ে যাওয়া, অগ্রাহ্য করা, ভুলে থাকাই হয়তো বুদ্ধিমানের কাজ।
Bu hikaye Desh dergisinin June 17, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Desh dergisinin June 17, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
অসুরক্ষিত এক চিকিৎসা ক্ষেত্র
স্বাস্থ্যব্যবস্থার বিকৃত ভাবনা এবং দর্শনের আকাশে নিশাচর হিসেবে চিকিৎসা মাফিয়াদের উদ্ভব এবং বিকাশ।
‘ধ্রুপদী’ হল বাংলা ভাষা এ
কটা সঙ্গত প্রশ্ন উঠতে পারে ধ্রুপদী ভাষার সংজ্ঞার্থ কী? এর কী আদৌ কোনও নির্দিষ্ট সংজ্ঞার্থ আছে?
ইজ্রায়েল-গাজা-প্যালেস্টাইন, ইরান ও সৌদি আরব, লেবানন—মধ্যপ্রাচ্যের অশান্তি ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে।
ইজরায়েলের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘদিনের কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে এবং সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহে ভারত ইজরায়েলের কাছ থেকে সমর্থন পায়। তবে, ভারত প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকেও সমর্থন জানিয়ে এসেছে।
আমাদের রক্তকণিকারা আলোয় মাতে
কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গান শ্রোতাকে নিয়ে যায় অনন্তসাগরমাঝে, করুণ সুরে বাজতে থাকে চরণতলচুম্বিত পন্থবীণা।
উৎসবের অন্ধকার
সময় কখন কার হাত দিয়ে অলক্ষ্মী তাড়িয়ে লক্ষ্মীর আসন গড়ে দেয়, কেউ তা জানে না। শুধু আশা, শ্মশানের ছাইভস্ম — চেতনা, ভালবাসা, আদর্শ ও পারস্পরিক বিশ্বাসের সুধাধারায় ধুয়ে যাক। পশ্চিমবঙ্গবাসী শান্তি, স্বস্তি, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও সমৃদ্ধি নিয়ে স্থিত হোক।
লক্ষ্মীশ্রী ও লক্ষ্মীনিবাস পাঁচালি
বাঙালিদের ব্যবসা করা নিয়ে আজ যতই ব্যঙ্গের তির ছুটে আসুক না কেন, বাঙালিরা সপ্তডিঙা নিয়ে ব্যবসা করতে বেরিয়ে পড়েছিল, বাংলার ইতিহাস-সাহিত্য, সেই প্রমাণ দিয়েছে একাধিকবার।
পান্থজন ও তাঁর সখা
নতুন পথের খোঁজে অক্লান্ত এই পথিক জীবনসায়াহ্নে পৌঁছেও পড়তে চাইছেন কবিতায় আধুনিকতার কম্পাস!
সিদ্ধার্থ জাতক
নিজে ঈশ্বর মানতেন না, কিন্তু মানুষ তাঁকেও ঈশ্বর বানিয়ে ছেড়েছে। তাঁর জন্মস্থল নিয়েও সীমানার এ পারে ও পারে রশি টানাটানি; ডলার-ইয়েন-এর মায়া বড় কম নয়।
দৃশ্য ও অনুভূতির রেখমালা
দর্শককে নিজের গভীর অভ্যন্তরের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয় বিড়লা একাডেমির এই প্রদর্শনী।
বিপ্লব, ব্যতিক্রম ও বাস্তব
তিনটি সাম্প্রতিক নাট্যালোচনা। তাতে এক্সপেরিমেন্টাল কাজ যেমন আছে, তেমনই আছে সাহিত্যনির্ভর গল্পও।