আজও মনে আছে সালটা ছিল উনিশশো চুরানব্বই। এ-শহরের ফুটপাথ থেকে হকার উচ্ছেদে সচেষ্ট হয়েছিল তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার। নভেম্বর মাসের একদম শেষের দিকে এক শীতরাতে শহরবাসী যখন কম্বলের নিরাপদ আশ্রয়ে গভীর নিদ্রায় অচেতন, ঠিক তখনই শুরু হয়েছিল এই উচ্ছেদ অভিযান। রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল হাজার হাজার মানুষের রুটি-রুজির ঠিকানা। রাতভর যে-অভিযানে অংশগ্রহণ করেছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। সঙ্গে যোগ্য সহায়ক শাসক দলের মদতপুষ্ট ক্যাডারকুল। যার গালভরা নাম দেওয়া হয়েছিল 'অপারেশন সানশাইন'। যে-অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সুভাষ চক্রবর্তী, একমাত্র ‘মরা মানুষ বাঁচানো ছাড়া' যিনি আর সবকিছুই করতে পারতেন। মনে আছে সম্ভবত সে-বছরই, কলকাতা বইমেলা তখন ময়দানে হত, কোনও মানবাধিকার সংগঠনের হাতে লেখা একটা পোস্টার চোখে পড়েছিল মেলা প্রাঙ্গণে। সে-সময় প্রভূত জনপ্রিয় নতুন ধারার একটি আধুনিক বাংলা গানের দু'টি লাইনকে সামান্য বদলে নেওয়া অসামান্য প্যারডি। পোস্টারের লাইন দুটো ছিল—‘আমরাই কলকাতা আজ আগামীর/ আমরাই স্টল ভাঙি আমির তুমির।’
Bu hikaye Desh dergisinin 02 July, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Desh dergisinin 02 July, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
সন্দেহ প্রশাসককেই
গণক্ষোভের মূলে আছে এই ধারণা যে, সরকার তড়িঘড়ি কিছু একটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এত বিদ্রোহ কখনও দেখেনি কেউ
এ দেখা সহজে ভোলার নয়। আগুন ছাইচাপা থাকে, কিন্তু জ্বলে ওঠার কারণ অপসারিত না-হলে তা নিঃশেষে নেভে না—ইতিহাস সাক্ষী।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা
তাই আজ বলতে হবে, গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত, প্রতিটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্য-প্রযত্নের ব্যবস্থার দাবি হোক আন্দোলনের অভিমুখ।
নজরদারি-খবরদারি-ফাঁসির দাবি পেরিয়ে
যে-মেয়েটি গাড়ি চালান, তাঁর শেষ প্যাসেঞ্জার নামিয়ে বাড়ি ফিরতে রাত দুটো বাজলে বা যে-মেয়েটি খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন, তাঁকে কি বলা হবে যে, রাতে আপনি কাজ করলে প্রশাসন আপনাকে সুরক্ষা দেবে না?
অন্ধকার রাতের দখল
তালিকা আরও প্রলম্বিত হয়ে চলবে, যাঁদের কেউ কর্মক্ষেত্রে অত্যাচারিতা হননি। তাঁদের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা হবে?
বিচার, বিবেক এবং রাষ্ট্র
সমষ্টি যেখানে সৎ বুদ্ধিসম্পন্ন, কয়েকজন মানুষরূপী অমানুষের জন্য আমরা কি আবার আমাদের কষ্টার্জিত সভ্যতা ভেঙেচুরে অসভ্যে পরিণত হব? নাকি আস্থা রাখব রাষ্ট্রের ওপর? এ ছাড়া আর কি কোনও দ্বিতীয় পন্থা আছে?
এবার সরাসরি বাক্যালাপ হোক
এই রাজ্যের যাঁরা উপদেষ্টা, তাঁরা হাওয়ায় পা দিয়ে চলেন। নারীর অধিকার, নারীর বিচরণের ক্ষেত্র, নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা এগুলো সম্বন্ধে তাঁরা ওয়াকিবহাল নন, তাঁরা অনাধুনিক। মানুষ কী চাইছে, পশ্চিমবঙ্গবাসীর প্রয়োজনগুলি কী, মেয়েদের দরকারগুলি কী—এসব নিয়ে তাঁরা ভাবিত নন।
পারাবারে সংসার
দূর মহাদেশের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে দেয় জাহাজ, কিন্তু সেটি নিজেই এক ভাসমান মহাদেশ। সেখানে সংসার গড়ে তোলার অভিজ্ঞতাও যেন এক গল্প।
পারম্পরিক প্রবাহের সুনির্মিত প্রয়াস
ভবানীপুর বৈকালী অ্যাসোসিয়েশনের এই প্রয়াস ‘অজানা খনির নূতন মণি'-র আবিষ্কারের মতো ভাল লাগার আবেশ সৃষ্টি করে।
শমীবৃক্ষের নীচে
আলোচ্য বইয়ের পুরোটা জুড়েই লেখক মাধব গ্যাডগিল উপযুক্ত বারুদ ছড়িয়ে রেখেছেন।