প্রক্য থাগত সাহিত্য বিচারের নিজস্ব ব্যাকরণ রয়েছে। বিশ্লেষকরা সেই ব্যাকরণকে যেমন মানেন, অনেক সময় ভাঙেনও। বিষয়, ভাষা, আঙ্গিক কাটাছেঁড়া করে পুরনো ‘সূত্র’-র পাশে নতুন ‘সূত্র’ তৈরি করেন। ব্যাখা স্বকীয় হয়ে ওঠে। এই ভাবেই ব্যাকরণ মেনে এবং ভেঙে ‘জীবনী' ও ‘জীবনী সাহিত্য'-র ফারাক নিয়েও পণ্ডিতরা মত দিয়েছেন। সে সবের কিছু গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত, কিছু বিতর্কিত, কিছু আবার এখন বাতিলও বটে। তবে ব্যতিক্রমী মনন ছাড়া এক জন সাধারণ পাঠকের বিশ্লেষণের দায় থাকে না। তার কাছে ‘ভাল পড়া' বা ‘মন্দ পড়া শেষ কথা। সেটুকুই সে মনে রাখতে চায়। জীবনের জটিলতা, অস্তিত্বের সঙ্কট নিয়ে মাথা ঘামায় না। সাহিত্যের এই অনুষঙ্গ তাকে নিজের মতোই স্পর্শ করে। সে দিক থেকে, তরুণ লেখক মাসউদ আহমাদের জীবনানন্দের জীবনী-উপন্যাস কাঞ্চনফুলের কবি অবশ্যই একটি ‘ভাল পড়া'। সহজ ভাবে বললে, যে-পাঠক এই স্বতন্ত্র, জটিল, বিষণ্ণ শূন্যতাকে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য সম্ভোগের বিষয় করে তোলা কবির মন ও জীবন সম্পর্কে তেমন কিছুই জানেন না, হয়তো কিছু অতিচর্চিত কবিতা পড়েছেন মাত্র, অথবা মন্দ্ৰ কণ্ঠে পাঠ শুনেছেন কারও, শুধুই জেনেছেন তিনি ছিলেন 'রূপসী বাংলা' প্রেমিক, তিনিও এই ‘কাহিনি' পড়তে পারবেন। জীবনানন্দ সম্পর্কে বিনা প্রস্তুতিতেই পারবেন। পড়ার পর কবিকে ভালবেসেও ফেলবেন। কবির কাজ, দিনযাপন সম্পর্কে আরও জানতে উদ্যোগী হবেন। একটি রচনার জন্য এই প্রাপ্তি অনেকটাই। কেউ যদি মনে করেন, জীবনানন্দের মতো ‘বিপন্ন বিস্ময়' নিয়ে বেঁচে থাকা কোনও স্রষ্টার জীবনালেখ্য সহজ সরল হওয়া মানায় না, তা ঠিক হবে না। পণ্ডিত এবং মনন প্রধান পাঠকের গণ্ডিতে তাঁকে আটকে রাখায় কারও ‘বিশ্বাস’ থাকতে পারে, ‘বীরত্ব’ নেই। আর যাঁরা এই কবিকে আগে থেকেই জেনে, বুঝে এই বইটি পড়বেন, তাদের বহু ‘জীবনানন্দ সংগ্রহ'-র সঙ্গে নিশ্চয়ই এটিও যুক্ত হবে। তাক থেকে তাকে কতবার টেনে নামানো হবে, সেটা পাঠকের অভিপ্রায়।
তবে পাঠকের পরিণত মন (খুব বেশি দরকার নেই, মোটের ওপর হলেও হবে) শুধু ভালমন্দের সাদা-কালোতে সন্তুষ্ট হয় না, গুরুত্বপূর্ণ কিছু পড়তে গেলে তার মধ্যে কয়েকটি ধূসর প্রশ্ন, ভাবনা, তৈরি হবেই। কাঞ্চনফুলের কবি উপন্যাসেও তা হয়েছে।
Bu hikaye Desh dergisinin July 17, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Desh dergisinin July 17, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
অসুরক্ষিত এক চিকিৎসা ক্ষেত্র
স্বাস্থ্যব্যবস্থার বিকৃত ভাবনা এবং দর্শনের আকাশে নিশাচর হিসেবে চিকিৎসা মাফিয়াদের উদ্ভব এবং বিকাশ।
‘ধ্রুপদী’ হল বাংলা ভাষা এ
কটা সঙ্গত প্রশ্ন উঠতে পারে ধ্রুপদী ভাষার সংজ্ঞার্থ কী? এর কী আদৌ কোনও নির্দিষ্ট সংজ্ঞার্থ আছে?
ইজ্রায়েল-গাজা-প্যালেস্টাইন, ইরান ও সৌদি আরব, লেবানন—মধ্যপ্রাচ্যের অশান্তি ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে।
ইজরায়েলের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘদিনের কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে এবং সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহে ভারত ইজরায়েলের কাছ থেকে সমর্থন পায়। তবে, ভারত প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকেও সমর্থন জানিয়ে এসেছে।
আমাদের রক্তকণিকারা আলোয় মাতে
কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গান শ্রোতাকে নিয়ে যায় অনন্তসাগরমাঝে, করুণ সুরে বাজতে থাকে চরণতলচুম্বিত পন্থবীণা।
উৎসবের অন্ধকার
সময় কখন কার হাত দিয়ে অলক্ষ্মী তাড়িয়ে লক্ষ্মীর আসন গড়ে দেয়, কেউ তা জানে না। শুধু আশা, শ্মশানের ছাইভস্ম — চেতনা, ভালবাসা, আদর্শ ও পারস্পরিক বিশ্বাসের সুধাধারায় ধুয়ে যাক। পশ্চিমবঙ্গবাসী শান্তি, স্বস্তি, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও সমৃদ্ধি নিয়ে স্থিত হোক।
লক্ষ্মীশ্রী ও লক্ষ্মীনিবাস পাঁচালি
বাঙালিদের ব্যবসা করা নিয়ে আজ যতই ব্যঙ্গের তির ছুটে আসুক না কেন, বাঙালিরা সপ্তডিঙা নিয়ে ব্যবসা করতে বেরিয়ে পড়েছিল, বাংলার ইতিহাস-সাহিত্য, সেই প্রমাণ দিয়েছে একাধিকবার।
পান্থজন ও তাঁর সখা
নতুন পথের খোঁজে অক্লান্ত এই পথিক জীবনসায়াহ্নে পৌঁছেও পড়তে চাইছেন কবিতায় আধুনিকতার কম্পাস!
সিদ্ধার্থ জাতক
নিজে ঈশ্বর মানতেন না, কিন্তু মানুষ তাঁকেও ঈশ্বর বানিয়ে ছেড়েছে। তাঁর জন্মস্থল নিয়েও সীমানার এ পারে ও পারে রশি টানাটানি; ডলার-ইয়েন-এর মায়া বড় কম নয়।
দৃশ্য ও অনুভূতির রেখমালা
দর্শককে নিজের গভীর অভ্যন্তরের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয় বিড়লা একাডেমির এই প্রদর্শনী।
বিপ্লব, ব্যতিক্রম ও বাস্তব
তিনটি সাম্প্রতিক নাট্যালোচনা। তাতে এক্সপেরিমেন্টাল কাজ যেমন আছে, তেমনই আছে সাহিত্যনির্ভর গল্পও।