সবার পথ দলটির কাজ, অথবা বলা যেতে পারে সঞ্জিতার একেবারে নিজস্ব একটি কাজ দেখার সুযোগ হল পাঁচ বছর পর। তাঁর ত্রিনয়ন কাজটি ছিল বাংলা নাট্যের একটি মাইলস্টোন কাজ, যেখানে তিনি দর্শককে দিয়েছিলেন এক পোস্ট-ড্রামাটিক অভিজ্ঞতা যাতে নাটকের টেক্সটের বাইরে গিয়ে পারফর্মেন্সের মাধ্যমে নির্মিত নাট্যটি থিয়েটারকে অতিক্রম করে দর্শকের সঙ্গে তৈরি করেছিল এক সংযোগ। সেটি ছিল সঞ্জিতার একক কাজ। তাপস-জ্ঞানেশ সভাঘরে তিনি উপস্থিত করলেন আর একটি একক কাজ, শীতলপাটি, যা অবশ্য একেবারেই ভিন্ন গোত্রের। কাজটি তিনি প্রথম করেন প্যাডেমিকের সময়ে, ২০২০ সালে। বহু বার আমন্ত্রিত হয়েও দেখার সুযোগ হয়নি। অবশেষে তা হল কাজটির ১০১তম অভিনয়ে।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বিপদ’ গল্পটির ছায়া অবলম্বনে আশিস গোস্বামী নির্মাণ করেছেন এই স্ক্রিপ্টটি। এবং সেটি করতে গিয়ে তিনি সম্পূর্ণ ডিকনস্ট্রাক্ট করে এক ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি, এক ভিন্ন চলন, এবং অবশ্যই এক ভিন্ন ভাষা নির্মাণ করেন। বিভূতিভূষণের আখ্যানকে তিনি এক অন্য চেহারা দিয়ে বিবৃত করে পৌঁছে যান কিন্তু একই গন্তব্যে। কাহিনির লেখকের ভাষ্যকে তিনি হাজুর গল্প বলার ফর্মে নিয়ে আসেন। গল্প বলার এই যে স্ট্রাকচার, যা বিভূতিভূষণের কাহিনি বিবৃত করার ফর্ম থেকে আলাদা, সেখানেই আমরা দেখি লিখিত ফর্মকে অতিক্রম করে যায় বাচিক ফর্মটি যা হয়তো বা বিনির্মাণের আদি সূত্র। সামগ্রিক ভাবে ন্যারেটিভ নির্মাণ করলেও আশিস ভীষণভাবে এক নন-ন্যারেটিভ উত্তর-আধুনিকতা এনেছেন তাঁর স্ক্রিপ্টে। নাটক না বলে স্ক্রিপ্ট বলার কারণ, আমার মনে হয়েছে, আশিস চেয়েছেন কাহিনির গতিপথটিকে ধরেই আখ্যানটি গড়ে উঠুক নাটকের কোনও উপাদানের সাহায্য ছাড়াই।
Bu hikaye Desh dergisinin September 17, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Desh dergisinin September 17, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
ভূতের বাড়ি
প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।
চার দশকের মেট্রো
কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।
ফিরলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।
বহুরূপী কৃত্তিকা
হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।
দিগন্তের আলো
মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"
চৈতি-ঝরা বেলায়
মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।