কোনও-কোনও মৃত্যু মৃত্যুর চেয়েও বড় বলে চিহ্নিত হয়। সেই মৃত্যুকে ঘিরে উত্তাল হয় জীবন। অপরাধ এবং শাস্তি—এই দুই বিষয়ের সঙ্গে জুড়ে যায় ন্যায়, নীতি, জীবনদর্শনের মতো বিষয়। সম্প্রতি সেই রকম একটি মৃত্যুর সাক্ষী হয়েছে এই রাজ্য।
প্লেটো তাঁর রিপাবলিক-এ ন্যায়ের প্রয়োজনীয়তা/ অপ্রয়োজনীয়তা এবং ন্যায়ের পথে বাধাবিঘ্নের প্রসঙ্গে ‘রিং অফ জাইজিস'-এর কথা বলেছেন। প্রাচীন লিডিয়ায় সম্রাটের অধীনে কর্মরত এক মেষপালক ঝড় এবং ভূমিকম্পের পর মাটির নীচ থেকে একটি জাদু-আংটি পায়। সেই আংটি তাকে অদৃশ্য হওয়ার ক্ষমতা দেয়। রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করে সেই আংটির জাদুতে সে প্রথমে রাজ্যের রানির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং তারপর রানির সাহায্যে রাজাকে হত্যা করে সিংহাসন দখল করে। প্লেটোর তরুণ ভ্রাতা গ্লাউকন এই গল্পটি শুনিয়ে দাবি করেন যে, একই রকম জাদুআংটি যদি একজন সৎ ন্যায়নিষ্ঠ ব্যক্তি এবং একজন অসৎ অন্যায়কারীর কাছে থাকে, তারা উভয়েই সেই আলৌকিক আংটির সাহায্যে নীতি নৈতিকতার তোয়াক্কা না করে নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত হবে। এর পর গ্লাউকন দু'টি মত প্রকাশ করেন। প্রথমত, তাঁর মতে মানুষ স্বেচ্ছায় নয়, বাধ্য হয়ে ন্যায়ের পথে চলে। দ্বিতীয়ত, মানুষ বিশ্বাস করে যে ন্যায় নয়, অন্যায়ের পথেই মানুষের লাভ বেশি। প্লেটোর আর এক ভাই এডিমেন্টাস এই যুক্তিকেই আর-একটু অন্য রকম ভাবে তুলে ধরেন এবং প্রাচীন কবি পিন্ডারের কথা উদ্ধৃত করে তরুণ মনে সাফল্যের সোপান হিসেবে নীতিহীনতার প্রতি আকর্ষণের কথা বলেন——তবে কীভাবে উচ্চতর সাফল্যে পৌঁছোনো সম্ভব—অন্যায় ও প্রতারণা নাকি ন্যায় ও সততা?” সক্রেটিস অবশ্য এর পর যুক্তি দিয়ে এই দাবিগুলিকে খণ্ডন করেন।
Bu hikaye Desh dergisinin September 17, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Desh dergisinin September 17, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
দূর বিনীত রাজনীতি
সমস্ত বয়সি মানুষের একই সঙ্গে এই ভাবে কোনও একটি ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানানো— এ এক কথায় অভূতপূর্ব।
হুমকি সংস্কৃতির অনুপ্রেরণায়
এই জনজাগরণের সময়েও শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্র কেন ধরেই নেয় যে, নাগরিক মাথা নত করে মেনে নেবে এই থ্রেট কালচার?
স্বতন্ত্র একজন রাজনীতিবিদ
১৯৭৭ সালের পাঁচই সেপ্টেম্বর। জেএনইউ-র ছাত্রনেতা সীতারাম একেবারে ইন্দিরা গান্ধীর সামনে দাঁড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন। সেই সময়ের চরম আধিপত্যবাদী, জরুরি অবস্থা জারি করা প্রধানমন্ত্রী আচার্য থাকেননি, পদত্যাগ করেছিলেন।
পথের শেষ কোথায়?
বিলের নামের পুরো ভাগে ‘অপরাজিতা' কথাটি বসানো যে এক নির্মম কৌতুক, এটা সরকারের মনে হয়নি! নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ সারা পৃথিবীতে হয়, কিন্তু আমাদের সমাজ যে ভাবে আক্রান্ত হওয়ার লজ্জা নারীর উপর চাপিয়ে তাকে আমরণ হেনস্থা করে তার কোনও তুলনা নেই।
গরিব বলে ফাঁসির দড়ি পরবে
বিভিন্ন আইন সত্ত্বেও অপরাধ কমেনি, তা হলে কি বিচার ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হবে? বরং আমাদের দেশ যেহেতু প্রাণদণ্ড বজায় রেখেছে, প্রাণদণ্ডে দণ্ডিতরা ন্যায্য বিচার পাচ্ছেন কি না সেটা দেখা যাক।
জাইজিসের জাদু-আংটি এবং শাস্তির প্রতীক্ষা
সমান হতে হবে শুধু অপমানে নয়, সমস্ত যন্ত্রণায়, সমস্ত অসহায়তায়, সমস্ত ক্রোধে। তখনই সুনিশ্চিত হবে অপরাধের শাস্তি। অন্যথায় রয়ে যাবে নীতিভ্রষ্ট পৃথিবীতে শাস্তির অনন্ত প্রতীক্ষা।
ঋজু দৃঢ় সঙ্গীতব্যক্তিত্ব
সুচিত্রা মিত্র (১৯২৪২০১১) কেবল গায়কের পরিচয়ে বাঁধা পড়েননি, পৌঁছে গিয়েছিলেন ‘শিল্পী’র আসনে।
স্মৃতিজড়ানো বকুল
তাঁর বাল্য, কৈশোর সব ধরা আছে এই গন্ধের মধ্যে। এত দিন এই গন্ধ তিনি মনে মনে কল্পনা করেছেন। কিন্তু আজ তিনি সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁর হারানো বাল্য আর কৈশোরকে।
বার্লিনের ডায়েরি
বার্লিন শহরের মজ্জায় রয়েছে প্রতিবাদ। তার শৈল্পিক বহিঃপ্রকাশ দেওয়ালে ছড়ানো গ্রাফিতিতে—ব্রিজের নীচে, কাফের গায়ে, এমনকি ইউ-বান ট্রেনের দেওয়ালেও।
মিথ ও অপর বাস্তবের চিত্র
প্রকট না হয়েও অন্যরকম একটা পাঠ মিশে থাকে শুভাপ্রসন্ন-র রামায়ণ-বিষয়ক চিত্রাবলীর এই প্রদর্শনীতে।