দণ্ডিতের সঙ্গে দণ্ডদাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে, সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার। এটা আমাদের পাঠ্যপুস্তকে ভাবসম্প্রসারণেই সীমাবদ্ধ থাকে। আমরা বিশ্বাস করি অপরাধ যত বড়, শাস্তিও হবে ততটাই কঠিন। অপরাধী আর বিচারক, ধরেই নেওয়া হয় তারা এক শ্রেণির মানুষ নয়, অতএব শাস্তি দিয়ে ‘শিক্ষা দেওয়ার' অধিকার তার আছে। প্রশ্ন হল যে, সব অপরাধী কি একই স্তরে থাকে? আমাদের যে-বিচারব্যবস্থা, তাতে কেন কারাগারে থাকা, অপরাধী প্রমাণিত না-হওয়া বিচারাধীন বন্দিদের মধ্যে একই ধরনের অপরাধ করে কেউ সরকারি ‘লিগাল এড'-এর উকিল পেয়ে ফাঁসিতে ঝুলবে, আর অন্য কেউ পঁচিশ-লাখি উকিল নিয়োগ করে জামিন নিয়ে মালা পরে জেল থেকে বেরিয়ে আসবে, তাদের আমরা কি এক স্তরে রেখে সবার জন্য সমান আইন বলব?
‘বিরলতম’
ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৫৫ সালে দেশের ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধি থেকে ৩৬৭(৫) ধারা বাদ দেওয়া হল, যেখানে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রাণদণ্ড থাকলেও প্রাণদণ্ড না-দেওয়া হলে তার কারণ ব্যাখ্যা করতে হত। ১৯৭৩ সালে আবার কার্যবিধি সংশোধন করে ৩৫৪(৩) ধারায় বাধ্যতামূলক করা হল কী কী 'বিশেষ' কারণে প্রাণদণ্ড দেওয়া যাবে, সেই ব্যাখ্যা। আবার ১৯৮০ সালে বচ্চন সিংহ বনাম পঞ্জাব সরকার মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়াই ভি চন্দ্রচূড়, এ সি গুপ্ত, এন এল উত্তালিয়া, পি এন ভগবতী এবং আর এস সারকারিয়ার পাঁচজন বেঞ্চের চারজন বললেন, প্রাণদণ্ড সংবিধান সম্মত, কিন্তু সেখানে অপরাধটি হতে হবে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম'। বিচারপতি পি এন ভগবতী অবশ্য বিরোধিতা করে বলেন যে, প্রাণদণ্ড সংবিধানের ১৪ আর ২০ ধারার বিরোধী, কারণ সেগুলিতে বলা হয়েছে আইনের চোখে সবাই সমান আর সবাই সমান আইনি সুরক্ষা পাবে। তাঁর মতে প্রাণদণ্ড আদৌ সংবিধান সম্মত নয়, কারণ তা সকলকে দেওয়া হয় না। যাই হোক, তিনটি হত্যার অপরাধে অপরাধী বচ্চন সিংহের প্রাণদণ্ডের আদেশ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত হয়। তবে কোন অপরাধটি ‘বিরলতম’, তা নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত।
Bu hikaye Desh dergisinin September 17, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Desh dergisinin September 17, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
ভূতের বাড়ি
প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।
চার দশকের মেট্রো
কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।
ফিরলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।
বহুরূপী কৃত্তিকা
হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।
দিগন্তের আলো
মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"
চৈতি-ঝরা বেলায়
মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।