অকস্মাৎ এল এক খসড়া আইন। শোকসন্তপ্ত বিক্ষুব্ধ কলকাতা ও সমস্ত বঙ্গ যখন তিন সপ্তাহের উপর পথে, রাত দখলের মিছিলে, নানা জমায়েতে, ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া এক নৃশংস হত্যা আর আক্রমণের বিচার চেয়ে অতন্দ্র, বিলটি এল কোনও প্রস্তুতি বা পরামর্শ ছাড়াই। আর তা পাশ করানোর জন্য ডাকা হল বিধানসভার এক বিশেষ অধিবেশন। নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান অপরাধ যে চিন্তার বিষয়, তাতে সন্দেহ নেই। দিল্লির নির্ভয়া ঘটনার আগে এবং পরে সারা দেশে ও বাংলায় ঘটে চলেছে অসংখ্য নির্মম অপরাধ। বাংলার সরকার আপাত-বিচলিত, নারীর সুরক্ষার জন্য। অধিকতর সুরক্ষার জন্য কঠোরতম সাজার বন্দোবস্ত। আইনের মূল বক্তব্য এটাই। তা ছাড়া আছে বিচার ও তদন্ত বিষয়ক নানা পরিকাঠামোর ব্যবস্থা।
কাজেই ৩ সেপ্টেম্বর এক দিনের অধিবেশনে মাত্র দু'ঘণ্টার আলোচনার পর পাশ হয়ে গেল এ রাজ্যের 'অপরাজিতা' নামক নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে অত্যাচার বিরোধী বিল। আইন হতে তার লাগবে প্রয়োজনীয় অনুমোদন রাজ্যপাল ও সম্ভবত রাষ্ট্রপতিরও। অন্যান্য রাজ্যের অনুরূপ কিছু বিল রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। যেহেতু বিষয়টি সংবিধানের যুগ্মসূচির অন্তর্গত, কেন্দ্রীয় আইনের সঙ্গে কোনও সংঘাতের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় আইনটি বলবৎ থাকবে। বিধানসভায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কিছু আলোচনা হলেও বিরোধী পক্ষের বিধায়করা বিলটির প্রয়োজনয়ীতা এবং তার বিষয়বস্তু নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি। আরজি কর হাসপাতালের একজন ডাক্তার ছাত্রীর নৃশংস হত্যা ও ধর্ষণের পর এ বিলের সমালোচনা কেউ করলেই সে নারী সুরক্ষার বিরোধী বলে চিহ্নিত হবে। এক অকল্পনীয় যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলেছি আমরা। প্রতিদিন প্রতি ঘণ্টায় উঠে আসছে ধর্ষণের নানা ঘটনা। বাংলায়, বাংলার বাইরে। একটি ঘটনা যেন টেনে আনতে চায় অদৃশ্য শিকড়ে জড়ানো নির্মম সব ঘটনাকে। উজ্জয়িনীর রাস্তায় প্রকাশ্য দিবালোকে ধর্ষণ, উত্তরপ্রদেশে অ্যাম্বুল্যান্স চালকের হাতে অসহায় রোগীর স্ত্রীর ধর্ষণ, তার পর অক্সিজেনের নল খুলে পথে রোগী ও আক্রান্ত মহিলাকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া। অমানবিক, বীভৎস, চরম হিংসা ও ঘৃণার প্রকাশ।
Bu hikaye Desh dergisinin September 17, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Desh dergisinin September 17, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
দূর বিনীত রাজনীতি
সমস্ত বয়সি মানুষের একই সঙ্গে এই ভাবে কোনও একটি ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানানো— এ এক কথায় অভূতপূর্ব।
হুমকি সংস্কৃতির অনুপ্রেরণায়
এই জনজাগরণের সময়েও শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্র কেন ধরেই নেয় যে, নাগরিক মাথা নত করে মেনে নেবে এই থ্রেট কালচার?
স্বতন্ত্র একজন রাজনীতিবিদ
১৯৭৭ সালের পাঁচই সেপ্টেম্বর। জেএনইউ-র ছাত্রনেতা সীতারাম একেবারে ইন্দিরা গান্ধীর সামনে দাঁড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন। সেই সময়ের চরম আধিপত্যবাদী, জরুরি অবস্থা জারি করা প্রধানমন্ত্রী আচার্য থাকেননি, পদত্যাগ করেছিলেন।
পথের শেষ কোথায়?
বিলের নামের পুরো ভাগে ‘অপরাজিতা' কথাটি বসানো যে এক নির্মম কৌতুক, এটা সরকারের মনে হয়নি! নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ সারা পৃথিবীতে হয়, কিন্তু আমাদের সমাজ যে ভাবে আক্রান্ত হওয়ার লজ্জা নারীর উপর চাপিয়ে তাকে আমরণ হেনস্থা করে তার কোনও তুলনা নেই।
গরিব বলে ফাঁসির দড়ি পরবে
বিভিন্ন আইন সত্ত্বেও অপরাধ কমেনি, তা হলে কি বিচার ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হবে? বরং আমাদের দেশ যেহেতু প্রাণদণ্ড বজায় রেখেছে, প্রাণদণ্ডে দণ্ডিতরা ন্যায্য বিচার পাচ্ছেন কি না সেটা দেখা যাক।
জাইজিসের জাদু-আংটি এবং শাস্তির প্রতীক্ষা
সমান হতে হবে শুধু অপমানে নয়, সমস্ত যন্ত্রণায়, সমস্ত অসহায়তায়, সমস্ত ক্রোধে। তখনই সুনিশ্চিত হবে অপরাধের শাস্তি। অন্যথায় রয়ে যাবে নীতিভ্রষ্ট পৃথিবীতে শাস্তির অনন্ত প্রতীক্ষা।
ঋজু দৃঢ় সঙ্গীতব্যক্তিত্ব
সুচিত্রা মিত্র (১৯২৪২০১১) কেবল গায়কের পরিচয়ে বাঁধা পড়েননি, পৌঁছে গিয়েছিলেন ‘শিল্পী’র আসনে।
স্মৃতিজড়ানো বকুল
তাঁর বাল্য, কৈশোর সব ধরা আছে এই গন্ধের মধ্যে। এত দিন এই গন্ধ তিনি মনে মনে কল্পনা করেছেন। কিন্তু আজ তিনি সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁর হারানো বাল্য আর কৈশোরকে।
বার্লিনের ডায়েরি
বার্লিন শহরের মজ্জায় রয়েছে প্রতিবাদ। তার শৈল্পিক বহিঃপ্রকাশ দেওয়ালে ছড়ানো গ্রাফিতিতে—ব্রিজের নীচে, কাফের গায়ে, এমনকি ইউ-বান ট্রেনের দেওয়ালেও।
মিথ ও অপর বাস্তবের চিত্র
প্রকট না হয়েও অন্যরকম একটা পাঠ মিশে থাকে শুভাপ্রসন্ন-র রামায়ণ-বিষয়ক চিত্রাবলীর এই প্রদর্শনীতে।