অতি সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠকে আমাদের দেশের পাঁচটি ভাষাকে 'ক্লাসিক্যাল ল্যাঙ্গুয়েজ' বা ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। ভাষাগুলি হল অসমিয়া, বাংলা, মরাঠি, পালি ও প্রাকৃত। প্রাকৃত কিন্তু কোনও একটি ব্যাকরণবদ্ধ ভাষা নয়। এর বিবিধ রূপ। অশোকের প্রাকৃত, অশ্বঘোষের প্রাকৃত, সাহিত্যিক প্রাকৃত, নাগর আবন্তী, ব্ৰাচড় ইত্যাদি। এর মধ্যে কোনটি ধ্রুপদী ভাষা? নাকি সবগুলো? এর কোনও স্পষ্ট উত্তর নেই। মনমোহন সিংহ সরকারের সূচনা লগ্নে ২০০৪ সাল থেকে ভারত সরকার কিছু মাপকাঠি নির্দিষ্ট করে কয়েকটি ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দিতে শুরু করে। প্রথমে এই মর্যাদা পায় তামিল। সংস্কৃতকে বাদ দিয়ে তামিলের নির্বাচন ছিল কিঞ্চিৎ বিস্ময়কর ও হাস্যকর। যাই হোক পরের বছর সংস্কৃত যুক্ত হয়। এর পর পর্যায়ক্রমে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা লাভ করে যথাক্রমে কন্নড়, তেলুগু, মলয়ালম ও ওড়িয়া। অর্থাৎ প্রথম দফায় দ্রাবিড় গোষ্ঠীর ভাষাগুলি ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পাওয়ায় এগিয়েছিল। ওড়িয়া ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পাওয়ার পর বাংলাকেও এই মর্যাদা দেওয়ার দাবি সরকারি মহল থেকে উঠতে শুরু করে। প্রায় দশ বছর পর বাংলা অবশেষে ধ্রুপদী ভাষার তকমা পেল। এখনও পর্যন্ত সর্বমোট এগারোটি ভাষা ধ্রুপদী ভাষা বলে চিহ্নিত হয়েছে।
২০০৪ সালে যে-মানদণ্ডের নিরিখে ধ্রুপদী ভাষাগুলিকে চিহ্নিত করা হয় পরবর্তীকালে সেই মানদণ্ডের সামান্য পরিবর্তন হয়েছে। মোটামুটি মানদণ্ডগুলি হল এইরকম—এক, ভাষার প্রাচীনত্ব। যা নির্ধারিত হয় সেই ভাষার প্রাচীনতম লিখিত নিদর্শন কত দিনের পুরনো তার উপর নির্ভর করে। ২০০৪ সালে ঠিক হয় কোনও একটি ভাষার হাজার বছরের পুরনো সাহিত্যিক নিদর্শন থাকলে তাকে ধ্রুপদী ভাষা বলে ধরা হবে। পরবর্তীকালে এই সময়সীমা বাড়িয়ে দেড় থেকে দু'হাজার বছর করা হয়। দুই ঐতিহ্যশালী প্রাচীন সাহিত্য বা পাঠের (টেক্সট) ধারাবাহিক নিদর্শন থাকতে হবে। এখন একটি নতুন মাপকাঠি যুক্ত হয়েছে। বর্তমানে সাহিত্য অকাদেমি ঠিক করেছেন প্রাচীন গদ্য সাহিত্যের নিদর্শন থাকলেও চলবে, এমনকি সাহিত্যিক নিদর্শনের পাশাপাশি প্রাচীন অ-সাহিত্যিক নথি যেমন প্রাচীন লেখমালা, মুদ্রা ও অন্যান্য পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া গেলেও তার ভিত্তিতে কোনও একটি ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষা বলে চিহ্নিত করা যাবে।
Bu hikaye Desh dergisinin October 17, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Desh dergisinin October 17, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
ভূতের বাড়ি
প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।
চার দশকের মেট্রো
কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।
ফিরলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।
বহুরূপী কৃত্তিকা
হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।
দিগন্তের আলো
মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"
চৈতি-ঝরা বেলায়
মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।