বুদ্ধি ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে যোগব্যায়াম ও প্রাণায়াম

শরীরচর্চার ফলে দেহপেশির পাশাপাশি মস্তিষ্কের আকারও বৃদ্ধি পায়। সংখ্যা বাড়ে সাইন্যাপসের।

- পরামর্শে বিশিষ্ট যোগ বিশারদ আশিস সেন

সন্তানের তুখড় স্মৃতিশক্তির কামনা কোন মা-বাবা না | করে! আসলে ক্ষুরধার বুদ্ধি ও স্মৃতিশক্তির উৎসস্থল হল মস্তিষ্কের সেরিব্রাম খণ্ডের টেম্পোরাল লোব। যদি আমরা একে দু’ভাগে ভাগ করি, তাহলে একটার প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী এবং অপরটি ক্ষণস্থায়ী। দীর্ঘস্থায়ীভাবে বুদ্ধি ও স্মৃতি লোপ পাওয়ার কারণ, মস্তিষ্কে আঘাত, টিউমার, থাইরয়েডের সমস্যা, অতিরিক্ত মদ্যপান, নেশা, অবসাদ, প্রিয় বস্তু বা প্রিয়জনকে হারানো। দীর্ঘমেয়াদি পুষ্টির অভাব এবং অতিরিক্ত ওষুধগ্রহণও কারণ হতে পারে। অপরদিকে, ক্ষণস্থায়ীভাবে বুদ্ধি নষ্ট হয় চঞ্চলতা, উত্তেজনা, গভীর চিন্তা, অসুস্থতার জন্য। তাই মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে তিনটি জিনিস দরকার – সঠিক খাদ্য, যোগ ব্যায়াম ও ভালো ঘুম। শরীরচর্চার ফলে দেহপেশির পাশাপাশি মস্তিষ্কের আকারও বৃদ্ধি পায়। সংখ্যা বাড়ে সাইন্যাপসের। ফলে মগজে নতুন নতুন কোষ তৈরি হয়। আর কার্ডিওভাসকুলার ব্যায়ামে মগজে বেশি হারে অক্সিজেন এবং গ্লুকোজ সরবরাহ হয়। আবার কেউ যদি খোলা জায়গায় ব্যায়াম করেন, তাহলে বাড়তি পাওনা ভিটামিন ডি। মগজাস্ত্রে শান দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম ও প্রাণায়াম গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলি হল

বৃক্ষাসন: পা জোড়া করে দাঁড়াতে হবে। এবার ডান পা হাঁটু থেকে মুড়ে উরুমূলে বা কুঁচকিতে লাগান, যেন পায়ের পাতা উরুর সঙ্গে লেগে থাকে। হাত দু’টি নমস্কারের ভঙ্গিতে বুকের কাছে রাখুন। এই অবস্থায় স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে মনে মনে ১ থেকে ১০ এবং ক্রমে তা বাড়িয়ে ৩০ গুনুন। এতে চঞ্চলতা দূর হবে। কমবে অবসাদ। বৃদ্ধি পাবে মনোযোগ। বাড়বে আত্মবিশ্বাস।

একপদ দণ্ডায়মান আসন: পা জোড়া করে দাঁড়ান। এরপর ডান পা ভেঙে পেটের কাছে নিয়ে আসুন। দুই হাতের সাহায্যে পা জাপটে ধরুন। এভাবে এক মিনিট থাকতে হবে। এরপর ডান পা নামিয়ে অনুরূপ বামপায়ে করতে হবে। এই ব্যায়ামে মনঃসংযোগ বাড়বে এবং মাংসপেশি দৃঢ় হয়।