ডউডনা ও শারপেন্টিয়েরের কীর্তি: নীরোগ মানুষ !

এবার নাকি জিন থেকে বাদ দেওয়া যাচ্ছে অসুখ! দু'জন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীর আবিষ্কার ঘিরে এখন উত্তেজনায় কাঁপছে দুনিয়া। তবে কি রোগ বলে পৃথিবীতে কিছু থাকবে না? মানুষ হয়ে উঠবে অমর? অর্থ থাকলেই কেউ কেউ হয়ে উঠবেন অতিন্দ্রীয় ক্ষমতার অধিকারী! লিখেছেন সায়ন মজুমদার।

- সায়ন মজুমদার।

কখনও ভিডিও এডিটিং দেখেছেন? ভিডিও আসলে একাধিক স্টিল ছবির সমাহার। কোনও ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারে গোটা ভিডিও চালিয়ে খুব সহজেই তা কাটছাঁট করে নেওয়া যায়। ধরুন, আপনি একটা ভিডিও তুলেছেন। সেখানে পরে দেখলেন, একটি ফ্রেমে কোনও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি চলে এসেছে কয়েক সেকেন্ডের জন্য। আপনি সফটওয়্যারের মাধ্যমে সেই কয়েক সেকেন্ডের ক্লিপ কেটে ভিডিওর বাকি অংশটা জুড়ে নিলেন। এরকম এডিটিং যদি দেহের সঙ্গে করা হয়? মানে ধরা যাক, আপনার কোনও জটিল অসুখ হয়েছে। আমরা সবাই জানি, আমাদের দেহে যা কিছু হয়, সব কিছুর জন্য দায়ী আমাদের ডিএনএ। সেই ডিএনএতে কোনও গণ্ডগোলের জন্যই আমরা জটিল রোগে আক্রান্ত। কেমন হতো, ওই ভিডিও এডিটিংয়ে ক্লিপের মতো কুচ করে ডিএনএ'র খারাপ অংশ কেটে ফেলা যেত? অবাক হওয়ার কিছু নেই। বিজ্ঞানের কল্যাণে জিনোম এডিটিংয়ের মাধ্যমে এই কাজ করা সম্ভব। এই প্রযুক্তির নাম ক্রিস্পার ক্যাস৯। এটি আবিষ্কার করেই ২০২০ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার পান ইমানুয়েন শারপেন্টিয়ের ও জেনিফার ডউডন

কীভাবে কাজ করে এই ক্রিস্পার ক্যাস৯? সহজভাবে বলা যাক। ধরুন, আমাদের দেহের কোনও একটি ডিএনএ-র একটা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত। সেই অংশকে চিহ্নিত করে একটি গাইডেড আরএনএ বিজ্ঞানীরা আমাদের দেহে প্রবেশ করান। এই গাইডেড আরএনএ কিন্তু হুবহু ওই ক্ষতিগ্রস্ত ডিএনএ-র অংশের মতোই। সেই গাইডেড আরএনএ সবার আগে গিয়ে ডিএনএ-র ওই অংশে গিয়ে তার সঙ্গে জুড়ে যায়। এরপর শুরু হয় ক্যাস৯ প্রোটিনের কাজ। এই প্রোটিনকে ‘কাঁচি' বলা যেতে পারে। এই ক্যাস৯ ডিএনএ-এর ওই ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি কেটে ফেলে। এরপর ডিএনএ নিজে থেকেই জুড়ে যেতে পারে। এবার চলে আসা যাক গোড়ার কথায়। আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মূলত দু'ধরনের। আমরা প্রত্যেকেই জন্মের