বীজেই লুকিয়ে সুস্বাস্থ্যের অঙ্কুর

উত্তর দিয়েছেন হাওড়া নারায়ণা মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের ডায়েটিশিয়ান রাখী চট্টোপাধ্যায়।

আ জ থেকে পাঁচ বছর আগেও আমরা ভাবতে পারতাম কুমড়োর ছক্কা রেঁধে তার বীজগুলো রোদে শুকনো করে খাওয়ার কথা? বা জানতাম যে তরমুজের শুধু সুস্বাদু লাল রং নয়, তার বীজগুলোতেও রয়েছে বেশ কিছু উপকার? কিন্তু বর্তমানে হেলদি ডায়েটে বিভিন্ন রকমের বীজ জায়গা করে নিয়েছে, যাদের রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগত গুরুত্ব। প্রোটিনের উৎস হিসেবে আজ শুধু মাছ মাংস, ডিম বা ডাল নয়, বিভিন্ন বীজও ডায়েটে সমান গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিভিন্ন বীজ যেমন প্রোটিনের সরবরাহ করে তেমনই কম ক্যালোরিযুক্ত, তাই ওবেস বা ডায়াবেটিক পেশেন্ট এর জন্য যেমন দরকার তেমনই যারা মাসল বিল্ডিং ডায়েটে রয়েছে তাদের জন্য ও উপকারী।

দেখে নেওয়া যাক প্রচলিত বীজ গুলির উপকারিতা: ১) চিয়া সিড: সেন্ট্রাল আমেরিকায়এর প্রচলন প্রথম শুরু হলেও বর্তমানে ইন্ডিয়াতেও ব্যাপক জনপ্রিয়। এতে রয়েছে আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড (এএলএ) ফর্মে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। প্রচুর পরিমানে সল্যুবল ফাইবার থাকায় ওজন নিয়ন্ত্রণে, ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে বিশেষ উপযোগী।এছাড়াও এই ফাইবার দেহে জল ধরে রাখে যা দেহকে রি হাইড্রেট করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে রয়েছে বিভিন্ন মাইক্রো নিউটরিয়েন্ট যেমন ভিটামিন কে, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস ইত্যাদি। চিয়া সিডের প্রোটিন কন্টেন্টও বেশ ভালো। ১০০ গ্রামে প্রায় ১৭ গ্রাম! এবং প্রায় প্রতিটি অ্যামাইনো অ্যাসিডই বর্তমান থাকে। তবে এই সুপার সীড-এর সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান না করলে অনেক রকম অসুবিধা দেখা যেতে পারে।

কিছু ক্ষেত্রে এলার্জি ও দেখা যায় অতিরিক্ত বীজ গ্রহণে। এছাড়া অতিরিক্ত এএলএ গ্রহণ প্রস্টেট ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। তাই স্মুদি, স্যালাড, পুডিং যে হিসেবেই খান না কেন, তা হতে হবে উপযুক্ত মাত্রায় ও ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শে।