মুঘলরা আসার আগে পরিধেয় বস্ত্র ছিল একখণ্ডের। সেলাই বিহীন। প্রয়োজন হলে বেশ কয়েক খণ্ড কাপড় পর পর রেখে সেলাই করে নতুন একটি মোটা খণ্ড বস্ত্র তৈরি হয়েছে। তার আগে ছিল, পশুর চামড়া আর গাছের ছালকে আশ্রয় করে গা ঢাকার চেষ্টা। অতসী প্রকৃতির গুল্ম জাতীয় গাছের ছাল থেকে সুতো সংগ্রহ করে বস্ত্র তৈরি। পাটশন, মোষ ও ভেড়ার লোম বস্ত্র তৈরিতে কাজে লেগেছে। কার্পাস তুলো এবং তুঁত পাতা খেয়ে বড় হওয়া গুটি থেকে বার করা সুতোর বস্ত্র হয়েছে বেশ উন্নতমানের। অব্যবহৃত বা অব্যবহারযোগ্য সুতির কাপড় এবং কাপড়ের পাড় থেকে তুলে নেওয়া সুতো দিয়ে তৈরি হয়েছে কাঁথা বা ক্যাতা। একসময় ভিক্ষুক ও সংসারত্যাগীরাই অর্থনৈতিক কারণে বা বৈরাগ্যের প্রতীক হিসেবে শীতে কাঁথাকেই করে তুলতেন একমাত্র সম্বল। বাউল ফকিররা ছেঁড়া বস্ত্ৰখণ্ড তাপ্পি দিয়ে কাঁথার মতো সেলাই করে ব্যবহার করতেন। সাপুড়েরা কাঁথা-ঝোলা উদরি নিয়ে ঘুরতেন। বাঁশ বাজিরা শকুন সাজত কাঁথার সাহায্য নিয়ে। পিরের থানে পুরনো কাপড় বাঁধার যেমন রীতি আছে; তেমনই পিরবাবার উদ্দেশে ঝোলানো হয় উদ্দেশিক কাঁথা। কথিত আছে সাধু ও পিরবাবাকে কাঁথা দিলে সংসারের মঙ্গল হয়।
কাঁথার প্রাচীনত্বের পরিচয় মেলে খ্রিস্টপূর্ব সময়কাল থেকেই। বৌদ্ধ পালি সাহিত্যে, পাণিনির অষ্টাধ্যায়ীতে, মহাভারতের শান্তি পর্বে, চন্দ্রাবতীর রামায়ণে, সাঁচির ভাস্কর্যে এবং অজন্তা ইলোরার গুহাচিত্রেও নকশার ইঙ্গিত মিলেছে। মহেঞ্জোদড়োর খননকার্যে ব্রোঞ্জের সুচ পাওয়া গিয়েছে। হাড় থেকে প্রস্তুত সুচের ইঙ্গিতও অনুমান করা যায়। বলাইবাহুল্য, সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত নকশি কাঁথাগুলো খুব বেশি পুরনো নয়, উনিশ শতকের গুরুসদয় দত্ত সংগৃহীত নকশি কাঁথা সহ হস্তশিল্পের নমুনা ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ২০ মার্চ কলকাতার ‘দ্য ইন্ডিয়ান সোসাইটি অব ওরিয়েন্টাল আর্ট’ ভবনে প্রদর্শিত হয়।
Bu hikaye Saptahik Bartaman dergisinin 09 July 2022 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Saptahik Bartaman dergisinin 09 July 2022 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
দেবীমহিমা
হিমালয় বাহন রূপে সিংহকে দান করলে দেবীরূপ সম্পূর্ণ হল। দেবীর বারংবার অট্টহাস্যে চারদিক প্রকম্পিত হতে লাগল।
প্রতিক্ষণে অশনি সঙ্কেত
‘র’: প্রতিক্ষণে অশনি সঙ্কেত ৷ মৃণালকান্তি দাস ৷৷ নৈত প্ৰকাশন ৷৷ ৫৫০ টাকা। • নিজস্ব প্রতিনিধি
স্বপ্নের দেশ সিমলা মানালি
এখানকার আবহাওয়া প্রচণ্ড খামখেয়ালি স্বভাবের। কোনও নোটিস ছাড়াই আবহাওয়া খারাপ হতে পারে।
মনখারাপের ছুটি
শুধু চাল-ডাল-তেল-নুন আর শেয়ার বাজারের হিসেব দিয়ে পৃথিবী চলে না। তার আরও বেশি কিছু লাগে।
শ্রীলঙ্কায় পালাবদল
সময়ই বলে দেবে অনুরা কুমারা দিশানায়েক আসলে কতটা বিপ্লবী।
দাবা ওলিম্পিয়াডে ইতিহাস গুকেশদের
জয়ীদের বরণ করে নিতে বহু মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন বিমানবন্দরে। তরুণ দাবাড়ুদের ফুলের মালা পরিয়ে আবেগে ভাসেন অনুরাগীরা।
হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবশ্য আগেই ঘটেছিল প্রত্যাবর্তন। কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে। বিশ্বজয়ের স্বাদও মিলেছে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটই সর্বোত্তম পরীক্ষার আসর। সেখানে কামব্যাক ম্যাচে সেঞ্চুরি সত্যিই অবিশ্বাস্য।
বাংলা রাগপ্রধান গানের আসর
সঞ্চালনায় মহুয়া দাস ও সুখময় মণ্ডল। পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ডঃ রাজীব করচৌধুরী
পঞ্চকবির গান
যন্ত্রসঙ্গীতে ছিলেন প্রেমাংশু সেন (এসরাজ), পলাশ রায় (তালবাদ্য), রানা দত্ত (কিবোর্ড)। অনুষ্ঠানের সংকলন, বিন্যাস ও পরিকল্পনায় ডাঃ অংশু সেন।
নান্দীমুখের লন্ঠন সাহেব
নাটকটির নির্দেশনা, সম্পাদনা ও পরিকল্পনায় অসিত বসু। আলো বাদল দাস।