ভ্রমণের নেশা যাদের আছে, তাদের কি কোনও ভয় ডর আটকায়? তাই এবার গন্তব্য কক্সবাজার। পরিকল্পনা মোতাবেক জুলাই মাসের প্রথম দিকেই ভিসা হাতে পেয়ে গেলাম। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে সংবাদমাধ্যম মারফত জানা গেল, বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়েছে। ডামাডোলের কারণ কী? চাকরির সংরক্ষণ ব্যবস্থায় গরমিলের জন্য প্রতিবেশী এই দেশের ছাত্রসমাজ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে। অগত্যা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা আর যাওয়ার দিনগোনা ছাড়া কোনও উপায় নেই। ৫ আগস্ট চরম আকার ধারণ করল বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলন। টিভিতে দেখতে পেলাম, বঙ্গভবনের সামনে ‘জাতির পিতা’ শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তিতে হাতুড়ির আঘাত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বোনকে নিয়ে গোপনে দেশ ছাড়তে বাধ্য হলেন এবং ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নিলেন। সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক মুখ থুবড়ে পড়ল। এই অবস্থায় বাংলাদেশ যাওয়া মানেই ঝুঁকির মধ্যে পড়া। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন সবাই ট্যুর বাতিলের পরামর্শ দিলেন। তবুও আমরা আশা ছাড়িনি। ধৈর্য ধরে বসে ছিলাম। অ্যাডভেঞ্চারেও যে রোমান্স আছে, সে কথা শিখেছি বেড়াতে বেরিয়ে। দিন কয়েক বাদে বাংলাদেশ দূতাবাসে খবর নিয়ে জানতে পারলাম, বর্ডার খোলা আছে শুধু চিকিৎসাপ্রার্থী এবং যাঁরা এদেশে এসে পড়াশোনা করছিলেন শুধুমাত্র তাঁদের জন্য। স্বভাবতই আমাদের কক্সবাজার বেড়ানোর স্বপ্ন অনিশ্চয়তার গহ্বরে নিমজ্জিত হতে শুরু করল। প্রাপ্ত ভিসার মেয়াদ ছিল মাত্র তিন মাস। এর মধ্যে বাংলাদেশ পরিস্থিতির যে উন্নতি হবে, সেই আশা খুবই কম।
Bu hikaye Saptahik Bartaman dergisinin 16 November 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Saptahik Bartaman dergisinin 16 November 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
পশ্চিমবঙ্গ ও নতুন বছর
পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা, এবং আবহাওয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হচ্ছে, যেখানে বিভিন্ন গ্রহের গোচরের প্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন এবং চ্যালেঞ্জ আসতে পারে, তবে কিছু ইতিবাচক সম্ভাবনাও রয়েছে।
ভারত ও নতুন বছর
২০২৪-কে বিদায় দিয়ে ২০২৫-কে স্বাগত জানাই এক নতুন আশার আলো নিয়ে। জ্যোতিষশাস্ত্রের আলোকে আসন্ন বছর নিয়ে আলোচনায় থাকুন!
পাহাড়-হ্রদ সঙ্গে রবি ঠাকুরের স্মৃতি
\"উত্তরবঙ্গের পাহাড়, নদী আর জঙ্গলের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্যের মাঝে সিটং আর মংপু যেন প্রকৃতির অবারিত ক্যানভাস। কাঞ্চনজঙ্ঘার শোভা, কমলালেবুর বাগান আর রবীন্দ্র স্মৃতিধন্য স্থান এখানে এক অনন্য অভিজ্ঞতার দান।
‘বগলার বঙ্গদর্শন’ অন্য ঋত্বিকের ভিন্ন গপ্পো
বগলার বঙ্গদর্শন’ ঋত্বিক ঘটকের অপূর্ণ এক নির্মাণ। ইতালীয় গল্পের বাংলা রূপে সমাজ ও মানুষের হাস্যরসাত্মক কাহিনি, যা একসময় পূর্ণতা পেতে পারত।\"
অভিনয় মঞ্চে কাপুরদের সঙ্গে মোদি
মার্লন ব্র্যান্ডো বলেছিলেন, \"মানুষ প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তেই অভিনয় করে।\" এটি সত্যি, কেননা রিসেপশনিস্ট থেকে এয়ারহোস্টেস, রাজনীতিবিদ থেকে দোকানদার—সবাই নিজেদের চরিত্রে অভিনয় করেন। সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী মোদির রাজ কাপুর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং চলচ্চিত্রের মধ্যে গেরুয়াকরণের প্রভাব একটি অভিনয়ের মত মনে হয়েছে। সবকিছুই যেন এক নাটক—অভিনয়ের পর্দায় জীবন চলছে!
জাকিরজির পা ছুঁতে পেরেছি, আমি ধন্য
পণ্ডিত স্বপন চৌধুরীর আশি বছরের জন্মদিনে উস্তাদ জাকির হোসেনের তবলা লহরা শোনার অভিজ্ঞতা অবর্ণনীয়। সঙ্গীতে বাঁচার মন্ত্রে গভীরভাবে ডুবে গিয়ে আমি শিখলাম, বাজনা শুধু বাজানোর জন্য নয়, তা আত্মার মধ্যে ঢুকিয়ে নিতে হয়। তাঁর বাদনশৈলী প্রজন্মের পর প্রজন্মের মধ্যে বিরাজ করবে, আমি নিজেও তার প্রভাবিত।
আফশোস করা ছেড়ে দিয়েছি
২০২৪ সালটা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের জন্য বেশ সফল ছিল। তিনি একাধিক ছবি এবং নতুন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, বিশেষত 'দেবী চৌধুরানি' তাঁর কেরিয়ারের একটি মাইলফলক হতে চলেছে। এছাড়াও, শ্রাবন্তী আসন্ন ছবিগুলোর মাধ্যমে দর্শকদের নতুন রূপে দেখতে পাবে, যেমন 'ও মন ভ্রমণ' এবং 'বাবু সোনা'।
সাফল্যকে সরিয়ে রেখে এগিয়ে যাওয়ায় বিশ্বাসী
সম্প্রতি জি-ফাইভে মুক্তি পেয়েছে মনোজ বাজপেয়ি অভিনীত 'ডেসপ্যাচ', যেখানে তিনি ক্রাইম রিপোর্টার জয় বাগ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ছবির চিত্রনাট্য ও অভিনয়ের প্রতি তাঁর আস্থার কথা তুলে ধরে তিনি জানান, অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করা তার জন্য এক কঠিন অভিজ্ঞতা হলেও, গল্পের প্রয়োজনে তিনি তা করতে প্রস্তুত ছিলেন
যৌথ পরিবারের নস্টালজিয়া
৫ নম্বর স্বপ্নময় লেন’ মানসী সিনহার নতুন ছবি, যেখানে উঠে এসেছে যৌথ পরিবারের ভাঙনের গল্প। এই ছবিতে পরিবার, প্রেম, এবং সম্পর্কের জটিলতা তুলে ধরা হয়েছে। অভিনয়ে আছেন অপরাজিত আঢ্য, খরাজ মুখোপাধ্যায়, অর্জুন চক্রবর্তী, অন্বেষা হাজরা এবং আরও অনেকে।
শ্রদ্ধা
শাস্ত্রে শ্রাদ্ধকার্যের মহিমা বারবার বর্ণিত হয়েছে। ব্রহ্মপুরাণে এক কাহিনিতে বলা হয়েছে, বিষ্ণু বরাহদেব কোকাজলে পিতৃগণের শ্রাদ্ধ করেছিলেন। একদিন কান্তিমতী নামে চন্দ্রদেবীর কন্যা পিতৃগণের সম্মুখে উপস্থিত হন, যা সৃষ্টিকর্তার অভিশাপ এবং শ্রাদ্ধের সূচনা করে।