ডায়াবেটিসে স্বাস্থ্য কর খাদ্য

শর্করাকে জটিল বানায় ফাইবারজাতীয় উপাদান। এককথায় বলা যায়, ফাইবার প্রধান যে কোনও খাদ্য থেকে গ্লুকোজ বেরয় ধীরে ধীরে।

-  পুষ্টিবিদ শ্রীপর্ণা চক্রবর্তী

ডায়াবেটিস রোগীকে একটা কথা বুঝতে হবে— প্রত্যেক ব্যক্তিরই সুস্থ থাকতে সুষম খাদ্য খাওয়া দরকার। খাদ্যে থাকতে হবে পর্যাপ্ত মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাট। এছাড়া থাকতে হবে ভিটামিন ও খনিজ। এর সঙ্গে দরকার ক্যালোরি নিয়ে সচেতনতা। আমরা সারাদিনে যে কাজকর্ম করি, তার জন্য শক্তির দরকার হয়। এই শক্তি মেলে খাদ্য থেকে। একজন ব্যক্তির দৈহিক উচ্চতা, ওজন, সারাদিনে কতখানি শারীরিক পরিশ্রম হয় এই সমস্ত কিছুর উপর নির্ভর করে তার সারাদিনের ক্যালোরির পরিমাণ। অতএব একজন ব্যক্তির যদি সারাদিনে ১৫০০ কিলো ক্যালোরি এনার্জির প্রয়োজন হয়, তাহলে তাকে সকাল, দুপুর, বিকেল, রাতের খাদ্য থেকেই ১৫০০ কিলো ক্যালোরি গ্রহণ

করতে হবে। আর ঠিক এই কারণেই ডায়াবেটিসের রোগীকে খাদ্য নির্বাচন করতে হবে সাবধানে। এমন বহু খাদ্য আছে যা উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত। এমনকী সামান্য মাত্রাতেও ওই ধরনের খাদ্য খেলে শরীরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি প্রবেশ করে। উদাহরণ হিসেবে শিঙাড়া বা মিষ্টির কথা বলা যায়। একটা মাঝারি আকারের শিঙাড়ায় থাকে ২০০ কিলো ক্যালোরি এনার্জি। আবার একটা মিষ্টিতে থাকে ১৫০ কিলো ক্যালোরি এনার্জি। ফলে একজন ডায়াবেটিসের রোগী কোনওদিন একটি শিঙাড়া আর একটি মিষ্টি খেয়ে ফেলেন তাহলে তাকে কোনও এক বেলা প্রায় না খেয়ে থাকতে হবে। কিংবা ঘণ্টা দেড়েক ভারী ধরনের শারীরিক পরিশ্রম করে ক্যালোরি ঝরাতে হবে। এই কারণেই সুগার রোগীর পক্ষে উপযুক্ত খাদ্যগুলি চিনে নেওয়া দরকার।

ডায়াবেটিস রোগীরা খাবেন কী? রোগীর সুবিধার জন্য বলা যায়, কতকগুলি খাদ্য রোজকার ডায়েটে রাখলে রক্তে সুগারে ওঠানামা নিয়ে বিশেষ বেগ পেতে হবে না তাঁদের। দেখা যাক সেগুলি কী কী— • শাকসব্জি (শর্করার মাত্রা কম): ব্রকোলি, গাজর, ক্যাপসিকাম, টম্যাটো, পটল, বীনস, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পেঁপে, কুমড়ো, বিভিন্ন শাক ইত্যাদি। • ফল: কমলালেবু, মুসাম্বি, আপেল, আঙুর, পেঁপে, কলা। • দানা শস্য: গম, ব্রাউন রাইস, ওটস, ভুট্টা, দালিয়া, বার্লি। •প্রোটিন: নিরামিষাশীরা প্রোটিনের জন্য সয়াবিন, ডাল, মটরশুঁটি ছোলা, বাদামের উপর ভরসা রাখুন। আমিষাশীরা চিকেন, মাছ, ডিম খেতে পারেন। • ডেয়ারি: ডাবল টোনড অথবা স্কিমড মিল্ক, দই, ছানা।