উঠল বাই তো কটক যাই! না কটক নয়, আমাদের বাই উঠেছিল রাঁচির নেতারহাট যাওয়ার। বর্ষায় জঙ্গল দেখব, জলে ভেজা প্রকৃতিকে দেখব, দেখব ফুলে ফেঁপে ওঠা জলপ্রপাতগুলোকে। ট্রেন বা ফ্লাইট নয়, ঠিক হল আমরা একটা বড় গাড়ি নিয়ে প্রকৃতিকে এনজয় করতে করতে যাব। এদিকে আমাদের দলের ছয় জনই সিনিয়র সিটিজেন। গুগলে দেখাচ্ছে কলকাতা থেকে রাঁচি ৪০২ কিলোমিটার। সময় লাগবে ৮ ঘণ্টা ১৮ মিনিট। আমাদের কথা শুনে অনেক শুভানুধ্যায়ী এই পাগলামি থেকে আমাদের বিরত থাকতে উপদেশ দিলেন। সবারই হাঁটু যে নড়বড়ে, এতটা গাড়ির ধকল সইতে পারবে না কেউই। কিন্তু ওই যে বলে, ইচ্ছে শক্তি না মন্ত্র শক্তি, কী একটা ব্যাপার। তার জোরেই আমরা এক বৃষ্টিভেজা সকালে বেরিয়ে পড়লাম গাড়ি নিয়ে রাঁচির উদ্দেশে। ডানলপ হয়ে নিবেদিতা সেতু পার হয়ে সোজা বম্বে রোড ধরে গাড়ি ছুটতে লাগল জেট গতিতে। আমাদেরও সময় কাটতে লাগল গল্প, আড্ডা, গান এবং টুকিটাকি খাদ্য গ্রহণে। ঘণ্টা দুয়েক বাদে প্রথম টি ব্রেক কোলাঘাটে। বসার সিট রিসাফেল করে আবার যাত্রা শুরু হল। সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার মাথায় পৌঁছে গেলাম ঘাটশিলায়। এবার ব্রেক ফর লাঞ্চ। সেখান থেকে মাত্র আধ ঘণ্টা গেলেই জামশেদপুর। জামশেদপুর থেকে আরও দু'ঘণ্টা উজিয়ে রাঁচি। রাঁচির প্রায় ৩৫ কিলোমিটার আগে হঠাৎ চোখে পড়ল দশম ফলস যাওয়ার পথনির্দেশক বোর্ড। সোজা ঢুকে পড়লাম বাম দিকে। প্রায় ১৫ কিলোমিটার গ্রামের আঁকাবাঁকা পথ ধরে অবশেষে এসে পৌঁছলাম দশম ফলসে। ভেবেছিলাম ওপর থেকে যেটুকু দেখা যায়, সেটুকুই দেখে ফিরব। কারণ নড়বড়ে হাঁটু নিয়ে ফলসের কাছাকাছি যাওয়া কোনওভাবেই সম্ভব নয়। কিন্তু এগিয়ে গিয়ে দেখি, ভারী সুন্দর সিঁড়িপথ, একটু বাদে বাদেই বসার জন্য বেঞ্চ এবং সেগুলো এত সুন্দরভাবে করা যে, যে কোনও ধাপে দাঁড়িয়েই ফলস দেখা যাবে। আমরা ধীরে ধীরে নীচে নামতে নামতে ফলসের প্রায় কাছাকাছিই পৌঁছে গেলাম। কানছি নদী ১৭০ মিটার উপর থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। বর্ষায় এই ফলস এখন পূর্ণ যৌবনা। সূর্য বসেছে পাটে। অস্তমিত সূর্যের ছটা জলের উপর পড়ে অপূর্ব এক মায়াবী পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। প্রায় ঘণ্টা খানেক কাটিয়ে দিলাম দশম ফলসে। আস্তে আস্তে আবার উপরে উঠে এলাম। সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ পৌঁছে গেলাম রাঁচি শহরের প্রাণকেন্দ্রে আমাদের হোটেলে।
Bu hikaye Saptahik Bartaman dergisinin 17 August 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Saptahik Bartaman dergisinin 17 August 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
ম্যাচ ফিক্সিং ও ক্রিকেট!
শয়তানের মা (১ম ও ২য় পর্ব) ৷৷ কৌশিক দাশ ৷৷ শপিজেন বাংলা ৷ দাম যথাক্রমে ৩০০ ও ৩২০ টাকা। • নিজস্ব প্রতিনিধি
শব্দের চাবুক পাঠকের জন্য
স্বপ্নময় চক্রবর্তীর গল্পে ধরা পড়ে মানুষের জীবনযন্ত্রণা, প্রতিবাদ, আর সমাজের তীক্ষ্ণ বাস্তবতা। তাঁর কলমে কুসংস্কার থেকে বিজ্ঞান চেতনা, জমি থেকে রাজনীতি—সব কিছুই যেন রূপকথার মতো বোনা। ‘গল্প সমগ্র’ সংকলনের প্রতিটি গল্প আমাদের ভাবায়, নতুন দুনিয়া দেখায়।
মহাবিশ্বের অজানা তথ্যভাণ্ডার
মহাবিশ্বের জানা অজানা কথা\" বইয়ে লেখক কৌশিক রায় আমাদের মহাবিশ্বের অসংখ্য রহস্যময় তথ্য তুলে ধরেছেন। নিরাপদ শহর, ক্যাপ্টেন জেমস কুকের দুঃসাহসী অভিযাত্রা থেকে শুরু করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উন্নত প্রযুক্তি—বইটির প্রতিটি রচনা আমাদের অজানা বিষয় সম্পর্কে জানায়। বিজ্ঞান ও মহাবিশ্বেও সিসিটিভি প্রযুক্তি থেকে মহাকাশের প্লুটো পর্যন্ত বিজ্ঞান বিষয়ক আকর্ষণীয় আলোচনা রয়েছে।
যিনি কবি তিনিই শিক্ষক
অক্টোবরের শেষ সপ্তাহটা বাঙালির মনে বেদনার স্মৃতি বয়ে আনে। উৎসবের আবহে দু'দিনের ব্যবধানে আমরা হারিয়েছিলাম দু'জন প্রিয় কবিকে—২৩ অক্টোবর ২০১২ সালে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এবং ২২ অক্টোবর ১৯৫৪ সালে জীবনানন্দ দাশ। বিশেষ করে এই বছর, ১২৫ বছর পূর্তিতে বিষাদময় কবি জীবনানন্দকে গভীরভাবে স্মরণ করা হয়। শিক্ষকরূপে তিনি যেমন সমৃদ্ধ করেছেন শিক্ষা জগতকে, তেমনই তাঁর কবিতা আজও আমাদের অনুভূতিকে নাড়া দেয়।
প্রভুর লীলা
জগন্নাথদেবের দর্শনে ছুটে যাওয়ার গল্প অনেকের জীবনেই রয়েছে। আমার বাবাও ছিলেন জগন্নাথদেবের একান্ত ভক্ত। ১৯৮২ সালে তাঁর সঙ্গে ঘটেছিল এক অদ্ভুত ঘটনা। পুরীতে একটি হলিডে হোম তৈরির কাজ দেখতে গিয়ে জগন্নাথদেবের দর্শনে গিয়ে তিনি বিগ্রহের মুখ দেখতে পাননি।
নিঃশব্দ পাথরের কথা ভাসাই ফোর্ট
তখন এই দুর্গ বরং সবুজের রঙে আরও উজ্জীবিত হয়ে উঠবে। যেমন ভাবা তেমনই চলা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িতে শরীরটাকে এলিয়ে দিলাম।
হিটম্যানের আতঙ্ক
লরেন্স বিষ্ণোই, পাঞ্জাবের এক সাধারণ ছাত্র নেতা থেকে উঠে আসা এক কুখ্যাত গ্যাংস্টার। তার নেতৃত্বে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের অপরাধ কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে পড়েছে দেশ-বিদেশে। সিধু মুসেওয়ালা হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে বলিউড তারকা সলমন খানকে হত্যার হুমকি— প্রতিনিয়ত নতুন নতুন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে গ্যাংটি। মুম্বইয়ের সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের পর, কানাডা পুলিসও তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে। ভারতের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্র গড়ে তুলতে এই গ্যাংয়ের ক্ষমতা ও প্রভাব দিন দিন বাড়ছে।
কম বয়সে হার্ট অ্যাটাক বাড়ছে কেন?
পরামর্শে মণিপাল হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সৌম্য পাত্র
বিদায়ের বাজনা বাজালেন না দা ল
রাফায়েল নাদাল তাঁর কেরিয়ারের গোধূলিতে পৌঁছেছেন, আর নভেম্বরেই শেষবারের মতো টেনিস কোর্টে নামবেন। ২২টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক, বিশেষ করে ফরাসি ওপেনে অপরাজিত সাম্রাজ্য গড়ে তোলা এই ক্লে কোর্টের সম্রাট চোট-আঘাতে জর্জরিত হয়েও অবিচল ছিলেন। প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে তাঁর মহাকাব্যিক লড়াই টেনিস ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে।
সামি রহস্য ক্রমশ দুর্বোধ্য
চোট সংক্রান্ত যাবতীয় জল্পনাকে নিখুঁত ইয়র্কারে বোল্ডই করেছিলেন যেন!