সাতসকালে ভুবনেশ্বর থেকে বেরিয়ে প্রায় আশি কিলোমিটার এসে দূরে সবুজ পাহাড়ে দেখতে পেলাম নীলমাধব মন্দিরের সাদা চুড়ো। গাড়ি পার্ক করে, কিছুটা সমতল পথ এবং তারপর গোটা পঞ্চাশেক সিঁড়ি ভেঙে মূল মন্দির চত্বরে এলাম। অরণ্যঘেরা মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে নীচে দেখা গেল স্বচ্ছ মহানদী বয়ে চলেছে। যে-গ্রামে এই পৌরাণিক মন্দির, তার নাম কন্টিলো। ওড়িশার নয়াগড় জেলার প্রাচীন গাঁ। মন্দিরটি বেলেপাথরে তৈরি। নীলমাধবের সামনে রয়েছে গরুড়ের মূর্তি। মূল মন্দিরের চারপাশেও অনেক মন্দির—পশ্চিমে হনুমানজি, দক্ষিণে সিদ্ধেশ্বর মহাদেব, তাছাড়া তুলসি চউরা, লক্ষ্মীমন্দির, সাক্ষীগোপাল মন্দির। চন্দনযাত্রা, স্নানযাত্রা, ঝুলনযাত্রা, দেবদীপাবলি, রাসপূর্ণিমা- বারো মাসে তেরো পার্বণ লেগেই থাকে! তবে প্রধান উৎসব পূজ্যাভিষেক ও মাঘ একাদশী, বললেন মন্দিরের পূজারি বিনয় মিশ্র, তখন বিরাট মেলা হয়। দূরদূরান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা আসে।
পুরাণে বর্ণিত নীলমাধব মন্দির মহানদী, কুসুমি আর কুয়ানরিয়া নদীর ত্রিবেণী সঙ্গমে অবস্থিত। স্কন্দ পুরাণ আর ব্রহ্ম পুরাণ থেকে জানা যায়, এই স্থানে শবররাজ বিশ্ববসু একটি নীলকান্ত মণিকে বিষ্ণু রূপে পুজো করতেন। এটিই পরে নীলমাধব নামে পরিচিতি পায়। পরে চন্দ্র বংশীয় মালব্যরাজ ইন্দ্রদ্যুম্ন এই নীলকান্ত মণির সন্ধান পান এবং এই মন্দিরটি স্থাপন করেন।
নীলমাধব মন্দির থেকে প্রায় আশি কিলোমিটার দূরে মহানদীর তীরে সাতকোশিয়া রিজার্ভ ফরেস্ট। শাল, পিয়া শাল, কেন্দুর ঘন জঙ্গলের ফাঁকে ছোট-ছোট জঙ্গলবস্তি। অলস দুপুরে গরুর পাল চরে বেড়াচ্ছে। গাড়ি দাঁড়াল সুন্দর এক রিসর্টের সবুজ ঘাসের লনে। রিসর্টের উঠোন থেকেই উঠে গিয়েছে সাতকোশিয়া পাহাড়। পাহাড়ের গায়ে রঙিন মরশুমি ফুলের বাগানে সাদা কাঠের চেয়ার পাতা। সাউন্ড সিস্টেমে বাজছে পাহাড়িয়া বাঁশির সুর। ম্যানেজার সুরঞ্জন বললেন, 'তাড়াতাড়ি স্নানটান করে নিন। খাওয়াদাওয়ার পর আমরা মহানদীতে শ্যালো ওয়াটার রাইডে যাব।'
Bu hikaye Bhraman dergisinin June 2023 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Bhraman dergisinin June 2023 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
উমরুকুঠির অতিথি
শীতের মুখে শিকারি পাখি আমুর ফ্যালকন সাইবেরিয়া থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পাড়ি দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। দীর্ঘ উড়ালপথে তারা খানিক বিশ্রাম নেয় আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুরের নানা জায়গায়। আসাম-মেঘালয় সীমান্তের উমরুকুঠি গ্রাম গত পনেরো বছর ধরে তাদের বিশ্রামের এমনই এক আস্তানা। নভেম্বরের অভিজ্ঞতা।
পথের বাঁকে তিলওয়ারা
তিলওয়ারার মন্দাকিনী রিসর্টের চত্বরের গাছে গাছে ফুল, ফল আর তার টানে পাখিদের আনাগোনা। মন্দাকিনীর বয়ে চলার নিরন্তর কুলুকুলু ধ্বনিটিও মনে রয়ে যায়। রুদ্রপ্রয়াগ থেকে তিলওয়ারা যেতে আধঘণ্টা লাগে। উখিমঠ থেকে তিলওয়ারা ৩৭ কিলোমিটার।
কাঠমান্ডুতে পাঁচ দিন
কাঠমান্ডুর প্রাসাদ, মন্দির, স্তূপ, জলপ্রপাত, পাটনের অপরূপ প্রাচীন সব স্থাপত্য আর নাগরকোটের আকাশজোড়া হিমালয় তুষারশৃঙ্গ— পাঁচদিনের এক জমজমাট ভ্রমণকথা । বর্ষার দিনগুলি বাদে যাওয়া চলে সারাবছর।
নিস্তরঙ্গ ম্যাকলাস্কিগঞ্জ
পথের ধারে বিস্তীর্ণ শালবন, জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তিরতিরে নদী চাট্টি আর ডুগাডুগি, স্থানীয় মানুষের সরল জীবনযাত্রা, অ্যাংলো সাহেবদের ছেড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি, সব মিলিয়ে শীতের ম্যাকলাস্কিগঞ্জে এক নিস্তরঙ্গ অবসর যাপন করতে ভালো লাগে।
সন ট্রা পাহাড় ঘুরে পুরনো শহর হোই আন
বিপন্ন প্রজাতির বানর রেড-শ্যাংকড ডুকের বাসস্থান সন ট্রা পাহাড় ভিয়েতনামের দানাং শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার। প্রাচীন বর্ণময় শহর হোই আন যেতে দানাং থেকে লাগে ৪০ মিনিট। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল। তবে, এপ্রিলে গেলে সদ্যোজাত ডুকছানাদের দেখা মিলবে।
ওমানের মরুতে মরূদ্যানে
ডেজার্ট ক্যামেল সাফারি, জিপ সাফারি, ডেজার্ট ট্রেকিং, স্যান্ড বাইকিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।
ওড়িশার জলে জঙ্গলে
নৌকো নিয়ে মংলাজোড়ির জংলাজলায় পাখি দেখে ভিতরকণিকার খোলা থেকে নৌবিহারে একের পর এক কুমিরদর্শন করে সিমলিপাল অরণ্যসফর। ওড়িশার জলে-জঙ্গলে বেড়ানোর সেরা সময় নভেম্বর থেকে মার্চের শুরু পর্যন্ত।
গাঢ় সবুজ ওয়েনাদ
দিগন্তবিস্তৃত সমভূমি, পাহাড়ের গায়ে একদিকে চা-বাগান, অন্যদিকে জঙ্গল, অরণ্যে ঘেরা হ্রদ— সব কিছু নিয়ে সজল সবুজ ওয়েনাদ। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল।
কানাকাটা পাস
কুমায়ুন হিমালয়ের সুন্দরডুঙ্গা উপত্যকার দক্ষিণে কানাকাটা পাস। পথের শুরুতেই পেরতে হয় পিণ্ডার আর সুন্দরডুঙ্গা নদী। হাঁটাপথের সাক্ষী থাকে ভানোটি, থারকোট, মৃগথুনি, মাইকতোলি শৃঙ্গেরা। পথে পড়ে পাহাড় ঘেরা দেবীকুণ্ড, নাগকুণ্ড সরোবর। পথের ধারে ফুটে থাকে ব্রহ্মকমল, ফেনকমল ফুল। সাতদিনের এই হিমালয় পদযাত্রা ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরের।
ইন্ডিয়ান স্পট-বিলড ডাক
আপনিও লেখা-ছবি পাঠাতে পারেন 'বনের পাখি' বিভাগে। পাখিটি কোথায় দেখলেন, পাখিটির বৈশিষ্ট্য ২০০ শব্দের মধ্যে লিখে ছবি-সহ আমাদের দপ্তরে পাঠান। লেখা হতে হবে ওয়ার্ড ফাইলে, ইউনিকোড ফন্টে। পাখির ছবির রেজলিউশন হতে হবে ৩০০ ডিপিআই। মাপ হতে হবে ৮\"x১২\"। সাবজেক্ট লাইনে 'বনের পাখি' (পাখির নাম) লিখে ই-মেল করুন এই ঠিকানায়: bhraman.pix@gmail.com একসঙ্গে দু'টির বেশি ই-মেল পাঠাবেন না।