স্ফিংসের সরণিতে সন্ধ্যা নীলনদের হিমেল হাওয়ায় মনপ্রাণ জুড়িয়ে যাচ্ছে। ভোররাতে বোট চলেছে নদীর পশ্চিম পাড়ে— দ্য ভ্যালি অব কিংস-এর উদ্দেশে। পিছনে নীলনদের কূলে, লাক্সর মন্দিরের পশ্চাদপটে দিন শুরুর রং লেগেছে।
অসোয়ান থেকে তিন দিন নীলনদ ধরে যাত্রা করে আমাদের পাঁচতারা পাঁচতারা ক্রুজ, নীল প্যারাডাইস, গতকাল লাক্সরে এসে পৌঁছেছিল। তার আগে, তিন দিনের সফরে দেখা হল প্রাচীন মিশরীয় স্থাপত্যের অনন্য কীর্তি এডফু মন্দির, ফিলি মন্দির, কুমির দেবতার মন্দির কম ওম্বো, সাহারা মরুভূমিতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে নাসের হ্রদের ধারে ফারাও দ্বিতীয় রামেসিসের তৈরি আশ্চর্য মন্দির আবু সিম্বেল আর নীলনদের উপর তৈরি এসনা বাঁধ ও এসনা লকগেট। এবার এসেছি লাক্সর মন্দির দেখতে।
দক্ষিণ মিশরের লাক্সর শহরের পুরনো নাম থিবস। নীলনদের এ তীরে প্রাচীন মিশরীয় স্থাপত্যকীর্তির অনন্যসাধারণ নিদর্শন কানাক আর লাক্সর মন্দির, অন্য তীরে নব্য মিশরীয় সাম্রাজ্যের ফ্যারাওদের গোপন সমাধিক্ষেত্র— দ্যা ভ্যালি অব কিংস।
নীলনদের পূর্ব তটে, সূর্যদেবতা আমুন-রাকে নিবেদিত ৩,৫০০ বছর পুরনো মন্দির লাক্সর। ফ্যারাও তৃতীয় আমেনহোটেপের শাসনকালে এর নির্মাণ শুরু আর শেষ দ্বিতীয় রামেসিসের সময়। মন্দিরের বিশালতা এবং অনুপম স্থাপত্যশৈলী দেখে আশ্চর্য লাগে! মন্দিরের প্রবেশপথ থেকে শুরু হয়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ স্ফিংক্সের সরণি কার্নাক মন্দির পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। মোট সাড়ে তেরোশো স্ফিংক্সের মূর্তি ছিল রাস্তার দু'পাশে। যদিও সেসবের অনেকটাই আজ আর অবশিষ্ট নেই। অনেক কিছুই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
তবু যখন মন্দির দেখতে দেখতে সন্ধ্যা নামল, আলো জ্বলে উঠে এক মায়াবী পরিবেশ সৃষ্টি করল, বিশাল স্থাপত্যকীর্তির মাঝে ফ্যারাও তৃতীয় আমেনহোটেপ আর দ্বিতীয় রামেসিসের অতিকায় মূর্তি আলো-আঁধারে ছায়ার মতো ফুটে উঠল, তখন মনে শিহরণ জাগল! নতুন ফ্যারাওদের রাজ্যাভিষেকের অনুষ্ঠান আয়োজিত হত এখানে। মিশর বিজয়ের পর এখানেই আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের রাজ্যাভিষেক হয়।
হাওয়াবেলুনে আকাশপাক আমাদের বোট এসে ভিড়ল নীলনদের পশ্চিম পাড়ে। গাড়ি দাঁড়িয়েই ছিল। উঠে বসলাম। সামনেই চেকপোস্ট। একসঙ্গে বেশি গাড়ি সংরক্ষিত এলাকায় ঢুকতে পারবে না। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর ছাড়া পেলাম।
Bu hikaye Bhraman dergisinin September - October 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Bhraman dergisinin September - October 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
আদি কৈলাসের পথে
একটা হোমস্টে। অনন্ত আকাশে কেবল দুটো চিল উড়ছে। প্রায় পনেরো হাজার ফুটে হাতে চায়ের কাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। আমায় ঘিরে রেখেছে অসীম, উদার প্রকৃতি।
ত্রিপুরার ডম্বুর দীর্ঘ জলপথ পেরিয়ে এক আশ্চর্য দ্বীপে
আকাশের চাঁদ আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। অন্ধকার সর্বব্যাপী নয়, আলো আছে। আলোর কথা ভেবে আনন্দ হয়।
মারাটুয়ার জলে-জঙ্গলে
বোটচালক একবার মেঘের দিকে দেখছে, একবার জেটির দিকে! আগে আমরা জেটি ছোঁব? না, আগে বৃষ্টি আমাদের ছোঁবে ? রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনায় দেখতে থাকি, বোটটা যেন জলের উপর দিয়ে উড়ছে!
তপোভূমি তপোবন
দেখলে মনে হবে, গিরিশিরা ধরে হাঁটতে হাঁটতে শিবলিংয়ের মাথায় চড়া বুঝি সম্ভব। তবে, বাস্তবে শিবলিংয়ের শীর্ষারোহণ অন্যতম কঠিন অভিযান।
পালাসের বিড়ালের খোঁজে মোঙ্গোলিয়া
শহরে এসেও বার বার মনে পড়ে যাচ্ছে উদার, অসীম প্রান্তরে পেয়েছিলাম এক অপার স্বাধীনতার অনুভূতি আর প্রকৃতির সঙ্গে এক প্রত্যক্ষ সংযোগের বোধ।
আন্টার্কটিকা পৃথিবীর শেষ প্রান্তে অভিযান
মাদ্রিদের হোটেলে রাত কাটিয়ে পরদিন আমস্টারডাম ঘুরে নামলাম ব্রিস্টলে।
ড্যানিশ রিভিয়েরা
আর আছে ড্যানিশ ঐতিহ্যের ছোঁয়া। আশেপাশে জেলেদের গ্রাম। জেলেডিঙি ছড়িয়েছিটিয়ে রাখা থাকে সমুদ্রতটেই। সোজা সোজা রাস্তা একেবারে নিরালা !
পাহাড়ি গরিলা আর শিম্পাঞ্জির খোঁজে
গাইডের আশ্বাস পেলাম, একটা না একটা নিশ্চয়ই নীচে নামবে। তাঁর কথা কিছুক্ষণ পরই সত্যি হল।
মুঘল রোডে পীর কি গলি
আমরা দেখলাম বহু স্থানীয় মানুষ বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই দরগার চাতালে বসে প্রার্থনা করছেন।
কানাডার জলে জঙ্গলে
লিসা কখন নিজের হাতে এনে দিয়ে গেছেন জলের বোতল, আপেলের রস আর ওয়েফার। লাঞ্চ প্যাকেট খোলাই হয়নি। পড়েই রইল সেসব।