অহলদারার কাছেই গচ্ছিত রয়ে যায় সমস্ত ভালোলাগা। কটেজের একফালি বারান্দায় বসে কেটে যায় পাহাড় সখ্যে অনাবিল সময়। সামনের দিগন্তবিস্তৃত কাঞ্চনজঙ্ঘার প্রতি বাড়তি কৌতূহল জিইয়ে রাখি। তার তুষারশুভ্র রূপ গান শোনাবে, কথা বলবে— অহলদারার প্রকৃতিময়তায়। ঘুমটা কিছুক্ষণ আগেই ভেঙেছে। হোম স্টে-র বিছানায় নিজের চাদরের উপর ওদের দেওয়া চাইনিজ কম্বলটা চাপিয়ে শুয়ে রয়েছি। মাথার উপর জানালার কাছে চার্জে রাখা মোবাইল ফোন অন করে দেখে নিই, ভোর চারটে পঁচিশ। কম্বলমোড়া শীতে ঘুমের আলস্য জাঁকিয়ে ধরে। তবু কাঞ্চনজঙ্ঘার লালচে লাজুক রূপ দেখার মোক্ষম সুযোগটা হাতছাড়া করলে ঠাকুর পাপ দেবেন। উপযুক্ত শীতবস্ত্র চাপিয়ে দরজা খুলে তাই বাইরে আসি। চরাচর জুড়ে নিস্তব্ধতা। মিহি কুয়াশা ছড়িয়ে পড়েছে অকাতরে। পুব আকাশে হালকা একটা লাল আভা। আর পশ্চিমে অস্তগামী একফালি পঞ্চমীর চাঁদ। আজ দুর্গাপুজোর ষষ্ঠী। আর এই মহালগ্নে এক্কেবারে সবচেয়ে উঁচুতে দাঁড়িয়ে যেন গোটা পৃথিবীটাকেই দেখছি আমি। উপর থেকে নজরে পড়ছে, নীচের পাহাড়-উপত্যকা-তিস্তা নদী-চা বাগানের ঢাল। ওই যে পাহাড়ে ঠেস দিয়ে থাকা নিঝুম আস্তানাগুলি, সেগুলিও উঁকি দেয়। ৩৬০ ডিগ্রি নজরসীমানায় অসাধারণ
ক্যানভাস। হাওয়া বইছে। ঠান্ডার এত তেজ যে দাঁড়ানো যাচ্ছে না। পায়ের নীচে ঘাসে শিশির জড়িয়ে রয়েছে। প্রকৃতিপাঠের সুরম্য আয়োজন। পুব আকাশে আলোর উজ্জ্বলতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপের পরিবর্তন ঘটছে প্রতি মুহূর্তে। সে যে কী অপার্থিব দৃশ্য। এরপর সূয্যিমামা দেখা দিতেই কাঞ্চনজঙ্ঘা ও আকাশের উপর্যুপরি ভোলবদল। কখনও ফ্যাকাশে গোলাপি, রক্তিম লাল, কমলা, সোনালি, হলদেটে, ফিকে লাল, এক্কেবারে শেষে কাঞ্চনজঙ্ঘা আবারও ঝকঝকে শ্বেতশুভ্র। আকাশে তখন রঙের ভোর। আকাশের ভেতর ভাঙছে মারকাটারি রং ও আলো। ওটাই তো সূর্যোদয়ের কারসাজি।
هذه القصة مأخوذة من طبعة September 2022 من Sukhi Grihakon.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة September 2022 من Sukhi Grihakon.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।