মিস এনসাইক্লোপিডিয়া

পিঙ্কি চক্রবর্তী, তেইশ বছর বয়সী, মুম্বাইয়ের একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কাজ করছেন এবং বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বদের জীবনপঞ্জি প্রস্তুত করতে ভালোবাসেন। তার ফেসবুক পেজে প্রতিদিনই বিখ্যাত ও অখ্যাত ব্যক্তিদের তথ্য প্রকাশ করেন, যেগুলি অনেকের জন্য অজানা থাকে। তার এই কাজের ফলে, অনেকেই তার প্রশংসা করেছেন এবং তাকে ‘মিস এনসাইক্লোপিডিয়া’ বলে অভিহিত করেছেন। পিঙ্কি একজন প্রামাণিক তথ্য সংগ্রাহক, যিনি অনেক সাহিত্যিক ও শিল্পীর জীবনভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করছেন এবং সেগুলি জনগণের সামনে তুলে ধরছেন।

- তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

নাম– পিঙ্কি চক্রবর্তী, বয়স- তেইশ, চেহারাফেসবুকের প্রোফাইল অনুযায়ী অসাধারণ সুন্দরী, পেশা- মুম্বইয়ের একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে একটি বিশেষ ব্রোশিওর সম্পাদনায় ব্যস্ত। নেশা - বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির খ্যাতনামা ও অখ্যাত ব্যক্তিত্বদের জীবনপঞ্জি প্রস্তুত করা।

ভাস্কর উপাধ্যায়ের ফেসবুকে প্রতিদিন বেশ কয়েকটি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসে, বেশিরভাগই পছন্দ হয় না বলে বাতিল করে দেন, কদাচিৎ একটি বা দু'টি অনুরোধ গ্রহণ করে কনফার্ম করতেই সে বা তিনি তাঁর বন্ধ।

ফেসবুকে পিঙ্কি চক্রবর্তীর অনুরোধ পেয়ে কয়েক মিনিট মগজের ঘিলুতে পাক খাইয়ে বুঝতে চেষ্টা করেন তার ‘নেশা’ কলামে উল্লেখিত বিষয়টি। বিখ্যাত মানুষদের তথ্যপঞ্জি ধরনের বই দু’চারটি পাওয়া যায় বইয়ের দোকানগুলিতে। তার চেয়ে নতুন কিছু করতে চাইছে কি এই তরুণী? কিছু সময় ভাবনাচিন্তা করে কনফার্ম করতেই পিঙ্কি বন্ধু হয়ে গেল লেখক ভাস্কর উপাধ্যায়ের। পরের দিন মেসেঞ্জার বক্সে পিঙ্কির চিরকুট, ধন্যবাদ, আঙ্কল। আমি অনেকদিন ধরে আপনার লেখার গুণমুগ্ধ পাঠিকা। আপনার গল্প-উপন্যাস পড়েছি অনেক। একজন লেখককে বশীভূত করার সবচেয়ে বড় উপায় তাঁর লেখার প্রশংসা করা। সত্যিই তরুণী তাঁর লেখা পড়েছে কি না। বাজিয়ে দেখতে প্রশ্ন করেন, কোন লেখা পড়েছ? তাঁকে অবাক করে পিঙ্কি মেসেঞ্জারের পাতায় দিব্যি লিখে গেল তাঁর খানকয়েক গল্প-উপন্যাসের নাম।