ভিস্তারা এয়ার লাইন্সের বিমানটি ঠিক ২.৫০ মিনিটে চণ্ডীগড় এয়ারপোর্টে নামিয়ে দিল। এয়ারপোর্ট থেকে বেড়িয়ে দেখলাম পুত্র নিতে এসেছে, সোজা মোহালির পথ ধরল আমাদের গাড়ি। ঝা চকচকে রাস্তা, পথ বিভক্ত করেছে সারি সারি চাঁপা গাছ, অসংখ্য চাঁপাফুল ফুটে আছে গাছগুলিতে। আকাশ নির্মেঘ, পাহাড়িয়া হাওয়ায় ভরপুর চারিদিক।
মোহালি পাঞ্জাবের একটি জেলা শহর। ভারতবর্ষের বিখ্যাত বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণাগার আছে এই শহরে। এখানে ছড়িয়েছিটিয়ে আছে অসংখ্য পার্ক, রোজ-গার্ডেন আরও কত কিছু। ফেব্রুয়ারি মাসে হয় রোজ-ফেস্টিভাল। হরেক রকম গোলাপের মেলা লাগে। তার সঙ্গে সখ্যতা পাতায় ডান্সিং ফাউন্টেন আর সুরেলা গান।
কাছেই আছে সুখনা লেক, বিশাল জলাধার। শিবালিক পর্বতমালার পাদদেশে। আমরা সকাল সকাল পৌঁছে গেলাম লেকে প্রাতঃভ্রমণ করব বলে। কুয়াশার আবছায়ায় প্রথম শীতের রোদ্দুর আড়মোড়া ভাঙছে লেকের জলে। পরিযায়ী পাখির দল অলস মেজাজে গা ভাসিয়ে দিয়েছে
সেখানে। অসংখ্য গাছপালা ছায়া করে রেখেছে প্রাতঃভ্রমণের দীর্ঘপথ। সংলগ্ন বনভূমিতে জন্তুজানোয়ারদের অবাধ ঘোরাফেরা। হঠাৎ পাহাড় থেকে নেমে এলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই! সুখনা লেক থেকে বেরিয়ে আমরা এবার যাব রক গার্ডেন। বেশি দূর নয়, তবু কিছুটা গাড়ির পথ। সমস্যা হল গাড়ি রাখা নিয়ে। পুলিসের সাহায্যে সামনেই কামবালা গ্রামের বড় মাঠে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা হল। সুখ
রক গার্ডেনে ঢোকার মুখে টিকিট কাউন্টার। মূল্য তিরিশ টাকা। ভেতরে নানা রকম ভাস্কর্যের নিদর্শন। রক গার্ডেন দেখে বিস্ময় জাগে। কতগুলো ফেলে দেওয়া জিনিস জুড়ে এত অপূর্ব সাজ সম্ভব! ১২ একর এলাকা নিয়ে সাজানো এই প্রাঙ্গণটি। এখানে আছে দু'টি বিশাল ঝরনা। ঝরনার জলে পা ডুবিয়ে পর্যটকরা বসে পড়ছেন। পাশাপাশি চলেছে ফোটোসেশন। এইখানে আছে বেশ কিছু মিনার, মূর্তি, ডলস হাউস। ভিতরে ঢুকলে গোলকধাঁধার মতো লাগে। গাইডের পিছু পিছু পথ চলা ছাড়া গতি নেই।
এই গার্ডেনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক বিস্ময়কর ঘটনা। একজন মানুষের কল্পনাপ্রসূত এই বাগানটি। তাঁর নাম নেক চাঁদ। শহড়ের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফেলে দেওয়া জিনিস সংগ্রহ করে তাদের রূপান্তর করে এই শিল্পকর্মটি তৈরি করেছিলেন তিনি। নেক চাঁদ ছিলেন এক সরকারি কর্মচারী। অবসর নেওয়ার পরে মনোরম বাগানটি নির্মাণ করেন তিনি।
هذه القصة مأخوذة من طبعة June 2023 من Sukhi Grihakon.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة June 2023 من Sukhi Grihakon.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।