অন্তিম পর্ব তরুণ সাহিত্যিক মন্দাক্রান্তা সেন, সারা ভারত জুড়ে ওঁর পরিচিতি। প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। সৎ উচ্চারণে যার কলম দ্বিধাগ্রস্ত হয়নি শুরু থেকেই। ‘হৃদয় অবাধ্য মেয়ে' এই কাব্যগ্রন্থ লিখে যাঁর লম্বা দৌড় শুরু, যে লিখতে পারে... ‘ইন্দ্রকাকু আমার প্রেমিক' তাঁর ভাবনা যে সময়কে অতিক্রম করে গিয়েছে তা নিয়ে সংশয় নেই! মন্দাক্রান্তা পরবর্তী সময়ে একাধিক গল্প, উপন্যাস লিখেছেন এবং তা প্রশংসিত। স্টাইল স্টেটমেন্ট-এ মন্দাক্রান্তা বরাবর প্রচলিত সামাজিক বিধির পরোয়া করেননি। মন্দাক্রান্তার কাছে সাহিত্যজীবন ও ব্যক্তিজীবনের ফ্যাশন স্টাইল নিয়ে কথা বলতেই অর্গল ভেঙে বেরিয়ে এল সেইসব কথা, যা এই ট্রোল করায় অভ্যস্ত ‘স্যাডিস্ট’ সমাজের মুখের উপর জুতসই জবাব।
De প্রশ্নটা ছিল এইরকম— 'লেখিকা মানেই তেলমাখা চুলে বেণী বা খোঁপা, ফুলের সাজ, অপরিমিত মাটির গয়না, অগোছালো শাড়ি বা কুর্তি— এমনই এক ধারণা বহু বছর ধরে গেঁড়ে বসে আছে। আপনি এই প্রজন্মের সাহিত্যিক। আপনার পোশাক, সাজসজ্জা প্রচলিত ধারণাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছে সেই কবেই, দেখেছি। আমি নিজেও তাই। আমাকেও শুনতে হয়, ‘লেখিকা না নায়িকা?' এমন সব প্রশ্ন। আপনি পোশাককে কীভাবে দেখেন? স্টাইল স্টেটমেন্ট, সিগনেচার অথবা নিছক আবরণের প্রয়োজনীয় শর্ত? সমাজের কথা মাথায় রেখে পোশাক নির্বাচন করেছেন কখনও?”
বন্ধু তথা সাহিত্যিক মন্দাক্রান্তার উত্তরটি এইরকম, “ঠিক। পোশাক দিয়ে মানুষকে বিচার করাটা নেহাত বাজে একটা ব্যাপার। আমের পরিচয় তার খোসায় নয়, খোসায় ঢাকা তার প্রকৃত ফলে। খোসা চিবিয়ে জল খায় যারা, তারা হয় হদ্দ বোকা নয় বদ্ধপাগল।
আমি একজন লিখিয়ে। যুবতীবেলায় সদলবলে নন্দন কাঁপানো প্রজন্ম। তখন লেখার পাশাপাশি আমি আলোচ্য ছিলাম আমার পোশাকের জন্যও। তখনও ছেঁড়া জিনস ‘ইন’ ছিল না। আমি অবশ্য সেটাই পরতাম। ঢোলা, রং ওঠা ডেনিম শার্ট, ফিতে ছেঁড়া চপ্পল! সাহিত্যে বিশেষ পুরস্কার পাওয়ার সময় আমার এক অগ্রজ কবি বন্ধু আমাকে বলেছিলেন, তোকে তো পুরস্কারের দিন ধুতি পাঞ্জাবি পরতে হবে। -কেন গো? -কেন আবার কী? যারা সারা বছর প্যান্ট শার্ট পরে, তারা তো ওইদিন ধুতি পাঞ্জাবিই পরে।
هذه القصة مأخوذة من طبعة May 2024 من Sukhi Grihakon.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة May 2024 من Sukhi Grihakon.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।