আলাপ উত্তমকুমারের সঙ্গে আমার প্রথম ছবি ‘বিপাশা’। তবে তাতে উত্তমকুমারের সঙ্গে আমার কোনও সিন ছিল না। সবই সুচিত্রা সেনের সঙ্গে। সেটে উত্তমকুমারের সঙ্গে দেখা হতো। শ্যুটিং ফ্লোরেই আলাপ। তারপর ‘দেয়া নেয়া’ করলাম। বিপাশা'য় আমি একদম নতুন। মিসেস সেনের বান্ধবীর রোল করছি।
তাই বলে আমার ডেবিউ ছবি ‘বিপাশা’ নয়, তার আগে ছোট ছোট ছবি করেছি। আমার প্রথম ছবি ‘ভানু পেল লটারি’। বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখার বছর দুয়েক পর উত্তমকুমারের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়। ততদিনে আমার একটা পরিচিতি তৈরি হয়েছে। ‘বিপাশা' আর ‘দেয়া নেয়া’র মাঝে ‘জয়া’, ‘নিশ্চিহ্ন’, ‘আহ্বান’ এই ছবিগুলো করেছি। ‘দেয়া নেয়া'-তে উত্তমকুমারের সঙ্গে আমার প্রচুর সিন। কথায় বলে না গল্পের নায়িকা আর প্রেমিকা নায়িকা। আমি ‘দেয়া নেয়া'-তে গল্পের নায়িকা ছিলম।
নামকরণ ‘দেয়া নেয়া’তে আমাদের আলাপটা আরও ঘনিষ্ঠ হল। অনেক কিছু জানতে আর শিখতে শুরু করলাম ওঁর কাছ থেকে। ব্যবহারের তো তুলনাই হয় না।
'দেয়া নেয়া'-র সাফল্য আমাদের মধ্যে এক মধুর সম্পর্ক গড়ে দিল। ছবির চরিত্রের সম্পর্কের মতো উনি আমার নতুন নামকরণ করলেন ‘বউঠান’। এই নামে উনি আমাকে আমৃত্যু ডেকে এসেছেন। আর আমি উত্তমকুমারকে দাদা বলেই ডাকতাম। দাদার ওই বউঠান ডাকটা আজও আমার কানে বাজে। এরপর দাদার সঙ্গে ‘দুই পুরুষ', ‘দেবদাস’, ‘ভোলা ময়রা' প্রচুর ছবিতে কাজ করেছি। 'দেবদাস'- এ অবশ্য দাদার সঙ্গে একটাই দৃশ্য ছিল। জঙ্গলে আমি জল আনতে গেছি, সেই শটটা। ‘দুই পুরুষ'-এ প্রাক্তন প্রেমিকার রোল। ‘ভোলা ময়রা’-তে স্ত্রীর ভূমিকায়। দাদার সঙ্গে আমার শেষ ছবি ‘হার মানিনি'।
ওই ছবিটায় চার-পাঁচদিন শ্যুটিং করার পর আউটডোরের ডেট দিলেন, যাওয়া আর হল না। দাদা চলে গেলেন। তারপর অনিল চ্যাটার্জিকে নিয়ে ছবিটা শেষ করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু হয়নি। সাক্ষাতের শেষ দিন পর্যন্ত দাদা আমাকে বউঠান বলেই ডেকে এসেছেন। কী মিষ্টি শুনতে যে লাগত ডাকটা!
هذه القصة مأخوذة من طبعة September 2024 من Sukhi Grihakon.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة September 2024 من Sukhi Grihakon.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।