CATEGORIES
Kategorien
এই সুবর্ণময়ী বঙ্গপ্রতিমা
অপারেশন থিয়েটারে নাচা-গানা, ফুর্তি করার ভিডিয়ো তুলে রাখার কিংবা নিম্নমানের ওষুধ ব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য যদি বাড়িতে দুর্গাপুজো আরম্ভ করা মানবীকে পৃথিবী থেকে সরে যেতে হয়, তবে আমাদের পুজোয় বেদনার সংমিশ্রণ ঘটবে না কেন?
এ শরৎ নিষ্ঠুরতম ঋতু
বাইরের এলোমেলো হাওয়ায় হাতের শিখাটি নিবে যেতে পারে, কিন্তু বুকের ভিতরের শিখাটি জ্বেলে বসলে তো আর তার নেবার ভয় নেই। সেক্ষেত্রে আমাদের আরাধনাই হয়ে উঠতে পারে প্রতিবাদ বা প্রতিবাদই আরাধনা।
পিশভি
শুধু পৃথিবীর গভীর পিশভির মতো এই উশ খেতের বারো নম্বর দাগে শতাব্দর পর শতাব্দ গোপনে পড়ে থাকবে যশোমতীর আজ সকালের কান্নাটুকুর ছায়া, যা শুষে নিয়ে হয়তো মিষ্টি, আরও মিষ্টি হয়ে উঠবে আখ গাছেরা। অঙ্কন: মহেশ্বর মণ্ডল না
অনাহুত
শেষ বিকেলের ম্লান আলোয় বিজনের লম্বা শরীরটা মিলিয়ে যায় ধীরে ধীরে। বারান্দার গ্রিলে হাত রেখে দাঁড়িয়ে থাকে সৃজলা।
দক্ষিণ ইতালির উষ্ণতা
প্রতি মুহূর্তে উৎসবের আমন্ত্রণ দক্ষিণ ইতালিতে। পাহাড় আর সমুদ্র, পুরাপ্রস্তর যুগ আর একুশ শতাব্দ, রয়েছে গায়ে গা ঠেকিয়ে।
শিল্প-ইতিহাসের কথন
সিমা গ্যালারির এই প্রদর্শনী শুধুমাত্র ছবি দেখা নয়, এক অর্থে এ ইতিহাসপাঠেরও অভিজ্ঞতা।
সরল চলন ও মাটির ইতিহাস
সাম্প্রতিক দু'টি নাট্যের আলোচনা। একটিতে আছে মিনিমালিস্টিক ট্রিটমেন্ট, অপরটি প্রথা ভাঙার প্রয়াস।
অনেকান্ত তর্কের পরিচয়
অক্ষয়কুমার দত্তের চিন্তাভুবন বহুস্তর মননের এক অনন্য নজির
আদ্যোপান্ত নাটকের মানুষ
কুমার রায় ছিলেন পরমতসহিষ্ণু, যুক্তিবাদী, সংস্কারমুক্ত ব্যক্তি, ঘোর বৈষ্ণব পরিবারে বড় হয়েও পুত্রের বিফ-রোল খাওয়া নিয়ে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করেননি, বরং কিশোর ছেলের কীর্তি শুনে বলেছিলেন, “ওহ, ওই দোকানটা থেকে খেলি!
শাসকের সদিচ্ছা বনাম জনতার দায়িত্ব
আমাদের প্রাণের কবি বলেছেন, ‘সত্যকে যেদিন প্রত্যক্ষ দেখবে সেইদিনই উৎসব'। শুভ্রা সামন্ত, পশ্চিম মেদিনীপুর-৭২১১২৪
এত সব যাচ্ছে কোথায়
সবই মানতে হচ্ছে, হয়তো এটাও হবে। এটা হজম করে নিয়েই আমি আমার ভেতরে সেই ট্রামের ধৈর্য নিয়ে চলব।
দূর বিনীত রাজনীতি
সমস্ত বয়সি মানুষের একই সঙ্গে এই ভাবে কোনও একটি ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানানো— এ এক কথায় অভূতপূর্ব।
হুমকি সংস্কৃতির অনুপ্রেরণায়
এই জনজাগরণের সময়েও শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্র কেন ধরেই নেয় যে, নাগরিক মাথা নত করে মেনে নেবে এই থ্রেট কালচার?
স্বতন্ত্র একজন রাজনীতিবিদ
১৯৭৭ সালের পাঁচই সেপ্টেম্বর। জেএনইউ-র ছাত্রনেতা সীতারাম একেবারে ইন্দিরা গান্ধীর সামনে দাঁড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন। সেই সময়ের চরম আধিপত্যবাদী, জরুরি অবস্থা জারি করা প্রধানমন্ত্রী আচার্য থাকেননি, পদত্যাগ করেছিলেন।
পথের শেষ কোথায়?
বিলের নামের পুরো ভাগে ‘অপরাজিতা' কথাটি বসানো যে এক নির্মম কৌতুক, এটা সরকারের মনে হয়নি! নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ সারা পৃথিবীতে হয়, কিন্তু আমাদের সমাজ যে ভাবে আক্রান্ত হওয়ার লজ্জা নারীর উপর চাপিয়ে তাকে আমরণ হেনস্থা করে তার কোনও তুলনা নেই।
গরিব বলে ফাঁসির দড়ি পরবে
বিভিন্ন আইন সত্ত্বেও অপরাধ কমেনি, তা হলে কি বিচার ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হবে? বরং আমাদের দেশ যেহেতু প্রাণদণ্ড বজায় রেখেছে, প্রাণদণ্ডে দণ্ডিতরা ন্যায্য বিচার পাচ্ছেন কি না সেটা দেখা যাক।
জাইজিসের জাদু-আংটি এবং শাস্তির প্রতীক্ষা
সমান হতে হবে শুধু অপমানে নয়, সমস্ত যন্ত্রণায়, সমস্ত অসহায়তায়, সমস্ত ক্রোধে। তখনই সুনিশ্চিত হবে অপরাধের শাস্তি। অন্যথায় রয়ে যাবে নীতিভ্রষ্ট পৃথিবীতে শাস্তির অনন্ত প্রতীক্ষা।
ঋজু দৃঢ় সঙ্গীতব্যক্তিত্ব
সুচিত্রা মিত্র (১৯২৪২০১১) কেবল গায়কের পরিচয়ে বাঁধা পড়েননি, পৌঁছে গিয়েছিলেন ‘শিল্পী’র আসনে।
স্মৃতিজড়ানো বকুল
তাঁর বাল্য, কৈশোর সব ধরা আছে এই গন্ধের মধ্যে। এত দিন এই গন্ধ তিনি মনে মনে কল্পনা করেছেন। কিন্তু আজ তিনি সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁর হারানো বাল্য আর কৈশোরকে।
বার্লিনের ডায়েরি
বার্লিন শহরের মজ্জায় রয়েছে প্রতিবাদ। তার শৈল্পিক বহিঃপ্রকাশ দেওয়ালে ছড়ানো গ্রাফিতিতে—ব্রিজের নীচে, কাফের গায়ে, এমনকি ইউ-বান ট্রেনের দেওয়ালেও।
মিথ ও অপর বাস্তবের চিত্র
প্রকট না হয়েও অন্যরকম একটা পাঠ মিশে থাকে শুভাপ্রসন্ন-র রামায়ণ-বিষয়ক চিত্রাবলীর এই প্রদর্শনীতে।
ভিন্ন চলনের চারটি নাট্য
একক অভিনয়, মনসামঙ্গল কাব্য, নবীন প্রজন্মের স্বপ্ন ও ছোটদের নিয়ে করা নির্মল হাস্যরসের কাহিনি।
এক নির্মোহ মূল্যায়ন
আজকের রাজনীতির ধারা প্রবাহে আমাদের কাছে সত্যিই স্বপ্নলোকের বাসিন্দা মনে হয় দেশবন্ধুকে।
স্বভাবকবির উন্মোচন
সলিল চৌধুরী: পথের দাবিতে এখনও তাঁর গান হয়ে ওঠে হাতিয়ার
বিচার এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থার সংস্কারের দাবি
অপরাধীর বিচার চেয়ে নিশীথ রাত কোজাগরী হয়ে ওঠেনি। এখানে মিশেছে দুর্বৃত্তদের উত্থান, অনাচার এবং বুদ্ধিজীবীদের ক্ষমতাপ্রীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। সমাজের সঙ্কট মোচনে সরকার ও রাজনৈতিক দলের প্রতি অনাস্থাও লক্ষণীয়।
উৎসব আসন্ন, তাই ‘আনন্দে দু-হাত তুলি...
প্রতিবাদ আর রাত দখলের জোয়ারে সম্বৎসরের শারদোৎসবকে ভেসে যেতে দেওয়া যায় নাকি!
সন্দেহ প্রশাসককেই
গণক্ষোভের মূলে আছে এই ধারণা যে, সরকার তড়িঘড়ি কিছু একটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এত বিদ্রোহ কখনও দেখেনি কেউ
এ দেখা সহজে ভোলার নয়। আগুন ছাইচাপা থাকে, কিন্তু জ্বলে ওঠার কারণ অপসারিত না-হলে তা নিঃশেষে নেভে না—ইতিহাস সাক্ষী।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা
তাই আজ বলতে হবে, গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত, প্রতিটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্য-প্রযত্নের ব্যবস্থার দাবি হোক আন্দোলনের অভিমুখ।
নজরদারি-খবরদারি-ফাঁসির দাবি পেরিয়ে
যে-মেয়েটি গাড়ি চালান, তাঁর শেষ প্যাসেঞ্জার নামিয়ে বাড়ি ফিরতে রাত দুটো বাজলে বা যে-মেয়েটি খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন, তাঁকে কি বলা হবে যে, রাতে আপনি কাজ করলে প্রশাসন আপনাকে সুরক্ষা দেবে না?