CATEGORIES
Kategorien
পথের স্মৃতি, পথের স্বপ্ন
শীতকালই তাে শীতরাজ্যে তিকালই তাে শীতরাজ্যে যাবার ঋতু। সিমলা-মানালিই হােক, আর কাশ্মীরকৌশানি বা দার্জিলিং-দিবাং ভ্যালিই হােক, শীতে এইসব শ্বেতরাজ্য আমাদের মতাে সমতলবাসীর কাছে যেন একেকটি স্বর্গরাজ্য। তুষারে চারদিক সাদা। পাহাড়চূড়াে বরফে ঢাকা। পাইন উইলাে আপেল কমলা গাছও ছেড়া ছেড়া সাদা চাদর জড়িয়ে নেয়।
সঞ্জয় ডুবরি অরণ্যে
মধ্যপ্রদেশ-ছত্তিশগড়ে ছড়িয়ে থাকা সঞ্জয় ডুবরি অরণ্যে বয়ে চলেছে বানাস নদী। অরণ্যের ডােরাকাটা রানি কমলি।
বিশ্বের বিস্ময়||
পাতালে মাটির শেষ যেখানে
শীতের সােলাং
শীতের সােলাং একদিকে যেমন বরফে ছাওয়া নদীতীরের নির্জন মায়াপুরী, অন্যদিকে শীতের সােলাংয়েই হুল্লোড়-প্রিয় পর্যটকের জন্য বফ-ক্রীড়ার জমজমাট আসর বসে। এ-বছরেও তার অন্যথা হচ্ছে না।
ছােট্ট একটা গ্রাম
ছোট্ট একটা গ্রাম। কয়েকটি দিনের ভ্রমণ। তার মধ্যেই দুই মহৎ হৃদয় মানুষের সান্নিধ্যে সারাদিন।
চোখজুড়ানাে বালি
কিছুক্ষণ আগে ককপিট থেকে পাইলটের ঘােষণা কানে এল, বিমান এবার বালির বিমানবন্দরে নামতে চলেছে।
কাগুড়ি ভেল পাস অভিযান
এক রাস্তা হ্যায় সাবজি, রামগঙ্গা ভ্যালি সে গােরিগঙ্গা ভ্যালি জানে। কা, বিচ মে এক পাস ক্রস করনা পড়েগা—', বলে উঠল দীনেশ সিং দানু, সুন্দরডুঙ্গা-পিন্ডারি রুটের গাইড পুষ্কর সিং দানুর ছােট ছেলে, বহােৎ কম আদমি কো পতা হ্যায় ইস রাস্তেকে বারে মে।
কংসাবতীর উৎস সন্ধানে
পুরুলিয়ার ভূমিপুত্র তরুণ মাহাতাের ডাকে সাড়া দিয়ে ওঁর সঙ্গে কংসাবতীর উৎস।
অ্যাংলাে সাহেবদের দেশে
পুজোর চারটে ছুটির দিন নিরিবিলিতে কাটানাের জন্য গিয়েছিলাম ঝাড়খণ্ডে | প্রথম গন্তব্য, রাজধানী রাঁচি, জলপ্রপাতের শহর। দুটো দিন রাঁচির কাছেদূরে নিরন্তর ঝরনাধারা মন ভরে দেখার পর চললাম ম্যাকলাস্কিগঞ্জে !
অরুণাচলের বনবাদাড়ে
শিরােনামে বনবাদাড় লিখলাম বটে, | তবে অরুণাচল প্রদেশে পাখি বা অন্যান্য বন্যপ্রাণ দেখতে হলে বনবাদাড়ে ঘােরার দরকার পড়ে না।
ফুলের উৎসবে কিন্নরে
গত বছর অগস্টের শেষ সন্ধ্যা। হাওড়া-কালকা মেল যাত্রা করেছে। আমরা চলেছি কিন্নর।
স্মৃতির পথে ম্পিতির পথে
অক্টাবরের প্রথম সপ্তাহে প্রবল । তুষারপাতে উচ্চ হিমালয়ের রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
শ্রীলঙ্কার পাহাড়ি পথে
সারাদিন ধরে মধ্য শ্রীলঙ্কার সিগিরিয়া, | ডাম্বুল্লা বেড়িয়ে ক্যান্ডি রােড় ধরে | গাড়ি ছুটছে ক্যান্ডি শহরের উদ্দেশে।
প্রশান্ত মহাসাগরের সঙ্গে
মেলবােনের মেঘলা সকাল। টিপটিপ বৃষ্টি। আমরা চলব একটা লম্বা। | টানা পথ ধরে।
সুলায়েসির সুলুক সন্ধান
ইন্দোনেশিয়ান ১৭ হাজার ৫০৪টি দ্বীপের একটি সুলায়েসি। উত্তর সুলায়েসির রাজধানী মানাডাের সাম রাতুলাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের আগেই মহাবিপর্যয়! পাইলট ঘােষণা করলেন, আবহাওয়া অত্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ হওয়ায় অবতরণ করা যাচ্ছে না।
ভােলানাথ ধামের ফানুস
দানীং কালীপুজোর রাতে কলকাতার আকাশ ছেয়ে যায় ফানুসে।
ভ্রমণ ও ভােজন
লেখা ও ছবি: অরুণাভ দাস
ভ্রমণস্মৃতির আলাে
ভ্রমণ আমায় উদার হতে শিক্ষা দিয়ে যায়। ভ্রমণ আমায় বন্ধু দিল উদার হাতে ভাইরে। ভ্রমণ দেয় সুখস্মৃতি, দুঃখদিনের সম্বল। ভ্রমণ আমায় পথ চেনাল, বুকের মধ্যে বিশ্ব।
জিব্রাল্টার পেরিয়ে মরােক্কো
লেখা:অয়ন গঙ্গোপাধ্যায় ছবি:সুবীর কাঞ্জিলাল
ডাচ দেশের ভেনিস গিথাের্ন
জলা যেত, স্তরে স্তরে জমত পিট। এসব লা জঙ্গলে ভরা ছিল জায়গাটা। গাছ। থেকে পাতা ঝরে জলে পচে মিশে সেই দ্বাদশ শতকের কথা।
বানভাসি বারাণসী
লব্য ব্রিজে ট্রেন উঠতেই হামলে পড়ে গঙ্গা দেখা আমার বরাবরের অভ্যাস। নীচ দিয়ে গাড়ির রাস্তা। সরে যাওয়া পিলারগুলাের ফাকে ফাকে তীরের শহর। এবার তাকেই মনে হল একটা পেনসিলের রেখামাত্র। বৃষ্টিবাদলার সময়, ভােররাতে মেঘ নেমে শহরটাকে মুড়ে ফেলেছে হয়ত। দশাশ্বমেধ ঘাটের পাশে জলের টাওয়ার, আলােটা দেখলাম মনে হল। ট্রেন মােগলসরাইয়ে ঢুকতেই উঠে পড়লাম।
হিরােশিমা হয়ে মিয়াজিমা
এক সপ্তাহের সফরে, বেজিং থেকে উড়ে টোকিওয় নামব, এমন সময় | এক আশ্চর্য দৃশ্য ! রাতের সমুদ্রে অজস্র নক্ষত্রের মেলা! এটাই পীত সাগরের বাণিজ্যিক মাহাত্ম্য। অসংখ্য মালবাহী জাহাজ এই এলাকায় নােঙর করে। মাল তােলা এবং খালাসের কাজে ব্যস্ততা লেগেই থাকে। বিমানের নীচে এই অকাল দীপাবলি এশীয় ড্রাগনদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের । নয়নাভিরাম প্রদর্শন।
ভানুয়াতুরনাঙ্গগােল উৎসবে
কর্মসূত্রে তখন থাকি নিউজিল্যান্ডে। কাজ থেকে ছুটি পেলেই ব্যাগপত্তর নিয়ে বেরিয়ে পড়ি।
পাখির খোঁজে সাবাহর জঙ্গলে
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মালয় দ্বীপপুঞ্জের একটি বৃহৎ রুক্ষ দ্বীপ বাের্নিও।
নেপালে দশ দিন
ইস্টারনেটে অন অ্যারাইভাল ভিসার অ্যাপ্লিকেশন করাই ছিল।
রাশিয়া ভ্রমণ
ছােটবেলায় কবি সুভাষ মুখােপাধ্যায়কে ঘিরে একটি মিথ শহরের আনাচেকানাচে ঘুরত।
পাখির খোঁজে পশ্চিমঘাট
জানুয়ারির এক সন্ধ্যায় আমাদের ফ্লাইট যখন কোচি এয়ারপাের্টে নামল তখনও হালকা আলাে চারপাশে।
একটি চিরস্মরণীয় সাক্ষাৎকার
২০১৪ সালের মার্চ-এপ্রিল মাস। দিল্লি থেকে কাংড়া গাড়িতে পৌঁছতে আট-নয় ঘন্টা লেগে গেল। ক’দিন । এদিক-ওদিক ঘুরে শেষমেষ পৌঁছেছিলাম ম্যাকলয়েডগঞ্জে। হিমাচলের বিখ্যাত শৈলশহর ধরমশালার উপরের অংশে অবস্থিত ম্যাকলয়েডগঞ্জ তিব্বতিদের বাসস্থান, নির্বাসিত তিব্বতি সরকারের মূল কেন্দ্র এবং দলাই লামার ভারতের ঠিকানা।
বার্গেন বারবার
নরওয়ে বলতে আমরা বুঝতাম সেই দেশ, যেখানে বছরে ছমাস সূর্য ওঠে না, আর ছ'মাস সূর্য ডােবে না।
পেন্সাতােরের দেশে
প্রহর শেষের আলােয় রাঙা সেদিন চৈত্র মাস তােমার চোখে দেখেছিলেম আমার সর্বনাশ।