কিয়োটা থেকে বাকু কেউ কথা রাখেনি!

বিশ্ব তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার চূড়ান্ত কাউন্টডাউন চলছে। কিন্তু আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত কপ ২৯ সম্মেলনে, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতার মতো বৈপরীত্য জলবায়ু সংকটের সমাধান নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছে। তেল ও গ্যাসের উৎপাদনে জোর দেওয়া এবং বিশ্বনেতাদের অনুপস্থিতি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। পরিবেশকর্মীদের দাবি, ভবিষ্যত বাঁচাতে বছরে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ ছাড়া বিকল্প নেই। তবে, পরিবর্তনের পথে এখনও সংশয় এবং হতাশা কাটেনি। পৃথিবীর জন্য কি সত্যিই সময় ফুরিয়ে আসছে?

- মৃণালকান্তি দাস

‘আ পনি যে শব্দটি শুনতে পাচ্ছেন, তা হল ঘড়ির টিকিং। আমরা বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করার চূড়ান্ত কাউন্টডাউনে রয়েছি। সময় আমাদের পক্ষে নয়।' আজারবাইজানের বাকুতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের জলবায়ু সম্মেলনে এমনই উদ্বেগের কথা শুনিয়েছেন আন্তোনিও গুতেইরেস।

অথচ, এবারের সম্মেলনের জন্য যে দেশকে বেছে নেওয়া হয়েছিল, সেই আজারবাইজানের অর্থবলের উৎস অঢেল তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস। সম্মেলনের আনাচকানাচে এই বৈপরীত্য পরিহাসের মতো ঝুলে ছিল আরও এই কারণে যে—জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে এই দেশের সরকার কিছুদিন আগেও তেমন কোনও গরজ দেখায়নি। তাহলে কেন আজারবাইজানকে জলবায়ু সম্মেলনের আসর হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল? স্থানীয় পরিবেশকর্মীদের কথায়, ‘ক্লাসের দুর্বিনীতদের মনিটরের দায়িত্ব দিয়ে শোধরানোর সুযোগ দেওয়া হয়। ভেবে দেখুন, গতবার ছিল দুবাই, এবার বাকু। দুই দেশের অর্থনীতিই জীবাশ্ম জ্বালানির উপর ভেসে রয়েছে।' ফলে বাকু সম্মেলনের সাফল্য নিয়ে সন্দেহ ও সংশয় বাকুর জলবায়ু সম্মেলনের পরতে পরতে মাখামাখি হয়েই ছিল। তার উপর আমেরিকায় ফের ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতাসীন হওয়া সেই সন্দেহের মূল হলেও, বাকুতে একের পর এক বিশ্ব নেতার অনুপস্থিতির খবরও হতাশা ছড়িয়েছে।