প্ৰা চীন মিশরে নারী পুরুষের সমান মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতা— দুই-ই ছিল অবাধ। তখনকার মিশরের মহিলারা আইনের চোখে ছিল দক্ষ ও সক্ষম। মজার ব্যাপার, সেই সময়ের গ্রিক মহিলাদের সর্বক্ষেত্রে কোনও পুরুষ অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে থাকতে হতো। টলেমির রাজত্বে বিভিন্ন কাজ এবং শিক্ষার জন্য আসা গ্রিক নারীরা মিশরীয় রমণীদের অভিভাবক ছাড়া কাজকর্ম করতে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিল। দরবারেও আইনানুযায়ী নারীদের স্থান ছিল পুরুষদের সমান। প্রাচীন মিশরে শাসকদের তালিকাতেও বেশ কয়েকজন মহিলার নাম পাওয়া যায়। এমনকী সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী ফারাওদের মধ্যে ছিল কয়েকজন নারী। চিকিৎসক, সরকারি পদাধিকারী, সঙ্গীতজ্ঞ, পুরোহিতের পেশাতেও ছিল নারীদের অবাধ বিচরণ।
নারীর অধিকার এবং ভূমিকা প্রাচীন মিশরীয় সমাজে মায়ের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। ফারাও থেকে আরম্ভ করে সমাজের অন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের স্মৃতিস্তম্ভেও খোদাই করা থাকত মায়েদের নাম। এমনকী কোনও স্মৃতিস্তম্ভে বাবার নাম থাকলেও তুলনায় মায়ের নাম সুস্পষ্টভাবে প্রদর্শিত হতো। শুধু ভাস্কর্যে নয়, সাহিত্যেও তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। প্রাচীন রাজত্বে ফারাওয়ের স্ত্রীদের মূর্তির আকার ফারাওদের সমান ছিল। এটি স্ত্রীদের সমান পদমর্যাদার পরিচয় বহন করে। মিশরীয় সমাজে পরিবারের বেশিরভাগ সিদ্ধান্ত নিত মহিলারা। বাড়ির সমস্ত কিছুর নিয়ন্ত্রণও থাকত মহিলাদের হাতে। বেশিরভাগ সম্পত্তিও থাকত মহিলাদের নিয়ন্ত্রণে। পরিবারের আইনগত বিষয়ের দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করত মহিলারাই। ঘরের বাইরে যে কোনও কাজ করার স্বাধীনতাও ভোগ করত প্রাচীন মিশরের নারীরা। প্রভূত স্বাধীনতা থাকার কারণে স্ত্রীর সম্পত্তি স্বামীরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারত না। মিশরের নারীদের পুরুষের মতো নিজস্ব সম্পত্তি রাখার অধিকার ছিল। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত স্থাবর সম্পত্তি বংশানুক্রমিকভাবে ভোগ করত নারীরা। মায়ের হাত থেকে সম্পত্তি যেত মেয়ের হেফাজতে। নিজের সম্পত্তির তদারকির দায়িত্বও থাকত মহিলাদের হাতে। ইচ্ছে করলে সম্পত্তি বিক্রির অধিকার ছিল তাদের। শুধু তাই নয়, সম্পত্তি কিনতেও পারত। মহিলারা আইনি চুক্তির অংশীদার, উইলের নির্বাহক, আইনি দলিল দস্তাবেজের সাক্ষীও হতে পারত। নিজের নামে শিশুদের দত্তকও নিতে পারত তারা।
Diese Geschichte stammt aus der 7 December 2024-Ausgabe von Saptahik Bartaman.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent ? Anmelden
Diese Geschichte stammt aus der 7 December 2024-Ausgabe von Saptahik Bartaman.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent? Anmelden
শিশু সাহিত্য ও সুকুমার রায়
প্রয়াণ শতবর্ষে সুকুমার রায় | সম্পাদনা: জয়দেব মাইতি ৷ কবিতিকা (খেজুরি, পূর্ব মেদিনীপুর-৭২১৪৩২) ৷৷ ৩০০ টাকা। • অনির্বাণ রক্ষিত
অসম্ভবের জগতে হেমেন্দ্রকুমার
অ্যাডভেঞ্চার সংগ্রহ ৷৷ হেমেন্দ্রকুমার রায় ৷ দে'জ পাবলিশিং ৷৷ ৮০০ টাকা। নিজস্ব প্রতিনিধি
বিভিন্ন রোগে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা
আয়ুর্বেদশাস্ত্রে বলা হয়েছে, “শরীরং ব্যাধি মন্দিরম”। শরীর আমাদের রোগের আশ্রয়স্থল, তাই রোগ প্রতিরোধে আয়ুর্বেদের গুরুত্ব অপরিসীম। শীতকাল দরজায় কড়া নাড়ছে, আর এই সময় শুষ্ক ত্বক, খুশকি, ঠান্ডাজনিত সমস্যা, এমনকি মানসিক অবসাদও বাড়তে পারে। ঋতু পরিবর্তনের সময় খাওয়া-দাওয়া, জীবনযাত্রা, এবং আয়ুর্বেদিক পন্থার সঠিক প্রয়োগ শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়ক। ত্বকের যত্নে সর্ষের তেল মালিশ, ঠান্ডার প্রতিরোধে আদা-গোলমরিচের চা, এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উপকারী। আয়ুর্বেদের সহজ পন্থায় সুস্থ জীবন যাপন করুন এবং শীতে নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন!
প্রাচীন মিশরের নারীদের কথা
প্রাচীন মিশরে নারী ও পুরুষের মধ্যে সমান অধিকার ও স্বাধীনতা ছিল। নারীরা আইনের চোখে দক্ষ ও সক্ষম হিসেবে বিবেচিত হতেন এবং সম্পত্তি কেনাবেচা, ব্যবসা পরিচালনা, এবং আইনি চুক্তিতে অংশগ্রহণের অধিকার ভোগ করতেন। ফারাওদের মধ্যে অনেক নারীর শাসনকাল ইতিহাসে উজ্জ্বল উদাহরণ। মিশরীয় নারীরা চিকিৎসক, পুরোহিত, বয়নশিল্পী থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতেন। এই অধিকার ও মর্যাদা মিশরীয় সমাজে মায়ের ভূমিকাকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছিল। বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাসে নারীর এমন শক্তিশালী অবস্থান বিরল।
পাথর কাব্যের দেশ খাজুরাহ
খাজুরাহ মন্দির, মধ্য ভারতের স্থাপত্যকলার এক অতুলনীয় নিদর্শন। চান্দেল রাজাদের শিল্প-সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের প্রতীক এই মন্দিরগুলো ৯৫০ থেকে ১০৫০ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত। বিশ্ববিখ্যাত এই মন্দিরগুলোর দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তি, অপ্সরা এবং মানবজীবনের নানা দিক সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। খাজুরাহর মন্দিরগুলো পশ্চিম, পূর্ব ও দক্ষিণ— এই তিনটি ভাগে বিভক্ত। কামশিল্প ও তন্ত্রচর্চার নিদর্শন হিসেবে পশ্চিম প্রান্তের মন্দিরগুলো বিশেষ পরিচিত। ১৯৮৬ সালে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি লাভ করা এই মন্দির আজও পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
কিয়োটা থেকে বাকু কেউ কথা রাখেনি!
বিশ্ব তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার চূড়ান্ত কাউন্টডাউন চলছে। কিন্তু আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত কপ ২৯ সম্মেলনে, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতার মতো বৈপরীত্য জলবায়ু সংকটের সমাধান নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছে। তেল ও গ্যাসের উৎপাদনে জোর দেওয়া এবং বিশ্বনেতাদের অনুপস্থিতি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। পরিবেশকর্মীদের দাবি, ভবিষ্যত বাঁচাতে বছরে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ ছাড়া বিকল্প নেই। তবে, পরিবর্তনের পথে এখনও সংশয় এবং হতাশা কাটেনি। পৃথিবীর জন্য কি সত্যিই সময় ফুরিয়ে আসছে?
ফেরা
মঞ্জুলার ফিরে যেতে যেতে অমলেন্দুর জীবন যায়। শহরের বাসতা ছেড়ে অমলেন্দু মঞ্জুলার সঙ্গে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। পাঞ্চা, মঞ্জুলার স্বামী, এবং গ্রামবাসীরা খুঁজে বের করার জন্য এই অপ্রত্যাশিত বন্ধুর কথা বলে। প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং সরল জীবনযাত্রা অমলেন্দু নতুন করে বাঁচার মধ্যে খুঁজে পান। এই গল্পটি মানুষে মানুষে সম্পর্ক, দায়বদ্ধতা এবং নতুন শুরু শক্তি এক মর্মস্পর্শী উদাহরণ।
বিখ্যাত দুই অসম বিবাহ
১৮৮৩ সালে কাদম্বিনী বসু ও দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিবাহ একটি ঐতিহাসিক ঘটনা ছিল। এটি কেবল একটি প্রেমের গল্প নয়, বরং নারী শিক্ষা ও স্বাধীনতার আন্দোলনের অংশও ছিল। কাদম্বিনী, প্রথম মহিলা গ্র্যাজুয়েট এবং চিকিৎসক, তাঁর স্বামীর সংগ্রামের মাধ্যমে সামাজিক পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করেন।
বাংলার ছেলে ভুলানো ছড়া
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেরণায় ছড়া সাহিত্য বাংলায় একটি অমূল্য ধন। 'খোকা ঘুমাল' ছড়াটি ১৭৪০ সালের বর্গি আক্রমণকালের এক ঐতিহাসিক প্রতিচ্ছবি, যা সারা বাংলাদেশে একাধিক রূপে প্রচলিত। এই ছড়াটি সংস্কৃতির এক অপরিহার্য অংশ হিসেবে নানা প্রজন্মে বাচ্চাদের মুখে মুখে বহমান।
আইপিএল নিলামে ইতিহাস ঋষভের
২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর এক ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার পর ঋষভ পন্থের জীবনে শুরু হয় নতুন লড়াই। জীবন-মৃত্যুর দ্বন্দ্ব পেরিয়ে ১২ মাসের মধ্যেই তিনি ক্রিকেটে ফিরে আসেন। এবার ২০২৫ আইপিএলের নিলামে ২৭ কোটি টাকায় লখনউ সুপার জায়ান্টসে যোগ দিয়ে নতুন ইতিহাস গড়লেন তিনি।