মাটির টানে বড়দি পাহাড়
Bhraman|June 2024
বাঁকুড়া জেলার বড়দি পাহাড় শীত বসন্তে বড় মনোরম। তবে, দু'কূল ছাপিয়ে বয়ে চলা কংসাবতীর জলে বাদল-মেঘের ছায়া ঘনিয়ে আসা দেখতে হলে আসতে হবে ভরাবর্ষায়।
লেখা ও ছবি: হীরক নন্দী
মাটির টানে বড়দি পাহাড়

ংসাবতীর এপার-ওপারে রাস্তাঘাট, গ্রাম আছে কিন্তু পারাপারের গতি নেই। অল্প জল ভেঙে পেরনো যায়, কিন্তু সাইকেল, বাইক নিয়ে পার হতে অসুবিধে খুব। স্থানীয় মানুষ লবকিশোর মুর্মু বাঁশের অস্থায়ী সেতু বানিয়ে সেই অভাবটা মেটাচ্ছে। সে-ই সেতুর দেখাশোনা করে, বিনিময়ে টোল নেয়। সাইকেল আর মানুষ পিছু পাঁচ টাকা, বাইক হলে দশ টাকা। টোলগেটের বাঁশের ঝুল-ঘরে টাকাপয়সার থলে নিয়ে বসে আছে তার দশএগারো বছরের মেয়ে দুর্গামণি। আপাতত দুর্গামণি আমার ক্যামেরাটা হাতে নিয়ে নাগাড়ে ছবি তুলে চলেছে। এদিকে টোলগেটে বাইক, সাইকেল সব দাঁড়িয়ে। ছোটখাটো এক লাইন! তবে সবাই হাসিমুখে দেখছে দুর্গামণির ছবি তোলা। বড়দি পাহাড়ের সামান্য দক্ষিণে, নদী ধরে বা ঘিরে রেখেছে সুন্দর শালবন।

আমাদের রিসর্টের চত্বরটা বিরাট। রাস্তার দিকে কিছুটা বেড়া থাকলেও, অন্য দিকটা পুরোপুরি খোলা। একটা পাশ পাহাড়ে উঠেছে, আর-একটা পাশ ঢাল বেয়ে নদীতে নেমেছে। দুটো দিকই সমান মনোহর! নদীর অনেকটাই বালির চর। কংসাবতীর শীর্ণ জলধারা, থমকে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে। যেখানে যেখানে অনেকটা জায়গা জুড়ে জল, সেখানে আকাশ আর জঙ্গলের ছায়া মিলেমিশে ছবির মতো বিছিয়ে আছে মাটিতে। জলের ধারে বড়ো বড়ো কাঠের চেয়ার রাখা। সাধারণত সুইমিং পুলের ধারে বা সমুদ্রপাড়ে যেগুলো রাখা থাকে। এগুলো রিসর্টেরই আয়োজন। যদিও এই উনচল্লিশ ডিগ্রি গরমে সকাল ন'টার আগে আর বিকেল পাঁচটার পরে ছাড়া সেখানে গা এলানোর কথা ভাবাই যায় না !

শীতকালে ব্যাপারটা বড় সুখের হবে নিশ্চয়ই! রিসর্টের ম্যানেজার গৌতমবাবু বলছিলেন, ভরা বর্ষায় এই শীর্ণ নদীই বয়ে চলে দু'কূল ছাপিয়ে। বটতলা অবধি জল উঠে আসে। তখন তার অন্য রূপ।

রিসর্ট থেকে একটু উপরে শিবমন্দিরের রাস্তা উঠে গেছে ডাইনে, ঠিক সেখানেই রিসর্টের একটা বিচ্ছিন্ন কটেজ আর তার পাশে ভিউপয়েন্ট। প্রায় চল্লিশ-পঞ্চাশ ফুট নীচে নদীর শুকনো বালির চর আর নিস্তরঙ্গ জলধারা। একটা-দুটো মানুষ আর দু'চারটে পানকৌড়ি মাছ ধরার আশায় সামান্য এধার-ওধার করে বেড়াচ্ছে। নদীর অন্য পাড়ে নজরকাড়া জঙ্গল। মুকুটমণিপুরের দিকে নদীখাত মসৃণ বাঁক নিয়ে মিলিয়ে গেছে দূরের জঙ্গলে। জায়গাটা ছেড়ে আসতে ইচ্ছে করে না।

Diese Geschichte stammt aus der June 2024-Ausgabe von Bhraman.

Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.

Diese Geschichte stammt aus der June 2024-Ausgabe von Bhraman.

Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.

WEITERE ARTIKEL AUS BHRAMANAlle anzeigen
উমরুকুঠির অতিথি
Bhraman

উমরুকুঠির অতিথি

শীতের মুখে শিকারি পাখি আমুর ফ্যালকন সাইবেরিয়া থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পাড়ি দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। দীর্ঘ উড়ালপথে তারা খানিক বিশ্রাম নেয় আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুরের নানা জায়গায়। আসাম-মেঘালয় সীমান্তের উমরুকুঠি গ্রাম গত পনেরো বছর ধরে তাদের বিশ্রামের এমনই এক আস্তানা। নভেম্বরের অভিজ্ঞতা।

time-read
4 Minuten  |
November 2024
পথের বাঁকে তিলওয়ারা
Bhraman

পথের বাঁকে তিলওয়ারা

তিলওয়ারার মন্দাকিনী রিসর্টের চত্বরের গাছে গাছে ফুল, ফল আর তার টানে পাখিদের আনাগোনা। মন্দাকিনীর বয়ে চলার নিরন্তর কুলুকুলু ধ্বনিটিও মনে রয়ে যায়। রুদ্রপ্রয়াগ থেকে তিলওয়ারা যেতে আধঘণ্টা লাগে। উখিমঠ থেকে তিলওয়ারা ৩৭ কিলোমিটার।

time-read
1 min  |
November 2024
কাঠমান্ডুতে পাঁচ দিন
Bhraman

কাঠমান্ডুতে পাঁচ দিন

কাঠমান্ডুর প্রাসাদ, মন্দির, স্তূপ, জলপ্রপাত, পাটনের অপরূপ প্রাচীন সব স্থাপত্য আর নাগরকোটের আকাশজোড়া হিমালয় তুষারশৃঙ্গ— পাঁচদিনের এক জমজমাট ভ্রমণকথা । বর্ষার দিনগুলি বাদে যাওয়া চলে সারাবছর।

time-read
10+ Minuten  |
November 2024
নিস্তরঙ্গ ম্যাকলাস্কিগঞ্জ
Bhraman

নিস্তরঙ্গ ম্যাকলাস্কিগঞ্জ

পথের ধারে বিস্তীর্ণ শালবন, জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তিরতিরে নদী চাট্টি আর ডুগাডুগি, স্থানীয় মানুষের সরল জীবনযাত্রা, অ্যাংলো সাহেবদের ছেড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি, সব মিলিয়ে শীতের ম্যাকলাস্কিগঞ্জে এক নিস্তরঙ্গ অবসর যাপন করতে ভালো লাগে।

time-read
3 Minuten  |
November 2024
সন ট্রা পাহাড় ঘুরে পুরনো শহর হোই আন
Bhraman

সন ট্রা পাহাড় ঘুরে পুরনো শহর হোই আন

বিপন্ন প্রজাতির বানর রেড-শ্যাংকড ডুকের বাসস্থান সন ট্রা পাহাড় ভিয়েতনামের দানাং শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার। প্রাচীন বর্ণময় শহর হোই আন যেতে দানাং থেকে লাগে ৪০ মিনিট। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল। তবে, এপ্রিলে গেলে সদ্যোজাত ডুকছানাদের দেখা মিলবে।

time-read
3 Minuten  |
November 2024
ওমানের মরুতে মরূদ্যানে
Bhraman

ওমানের মরুতে মরূদ্যানে

ডেজার্ট ক্যামেল সাফারি, জিপ সাফারি, ডেজার্ট ট্রেকিং, স্যান্ড বাইকিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।

time-read
6 Minuten  |
November 2024
ওড়িশার জলে জঙ্গলে
Bhraman

ওড়িশার জলে জঙ্গলে

নৌকো নিয়ে মংলাজোড়ির জংলাজলায় পাখি দেখে ভিতরকণিকার খোলা থেকে নৌবিহারে একের পর এক কুমিরদর্শন করে সিমলিপাল অরণ্যসফর। ওড়িশার জলে-জঙ্গলে বেড়ানোর সেরা সময় নভেম্বর থেকে মার্চের শুরু পর্যন্ত।

time-read
5 Minuten  |
November 2024
গাঢ় সবুজ ওয়েনাদ
Bhraman

গাঢ় সবুজ ওয়েনাদ

দিগন্তবিস্তৃত সমভূমি, পাহাড়ের গায়ে একদিকে চা-বাগান, অন্যদিকে জঙ্গল, অরণ্যে ঘেরা হ্রদ— সব কিছু নিয়ে সজল সবুজ ওয়েনাদ। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল।

time-read
6 Minuten  |
November 2024
কানাকাটা পাস
Bhraman

কানাকাটা পাস

কুমায়ুন হিমালয়ের সুন্দরডুঙ্গা উপত্যকার দক্ষিণে কানাকাটা পাস। পথের শুরুতেই পেরতে হয় পিণ্ডার আর সুন্দরডুঙ্গা নদী। হাঁটাপথের সাক্ষী থাকে ভানোটি, থারকোট, মৃগথুনি, মাইকতোলি শৃঙ্গেরা। পথে পড়ে পাহাড় ঘেরা দেবীকুণ্ড, নাগকুণ্ড সরোবর। পথের ধারে ফুটে থাকে ব্রহ্মকমল, ফেনকমল ফুল। সাতদিনের এই হিমালয় পদযাত্রা ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরের।

time-read
8 Minuten  |
November 2024
ইন্ডিয়ান স্পট-বিলড ডাক
Bhraman

ইন্ডিয়ান স্পট-বিলড ডাক

আপনিও লেখা-ছবি পাঠাতে পারেন 'বনের পাখি' বিভাগে। পাখিটি কোথায় দেখলেন, পাখিটির বৈশিষ্ট্য ২০০ শব্দের মধ্যে লিখে ছবি-সহ আমাদের দপ্তরে পাঠান। লেখা হতে হবে ওয়ার্ড ফাইলে, ইউনিকোড ফন্টে। পাখির ছবির রেজলিউশন হতে হবে ৩০০ ডিপিআই। মাপ হতে হবে ৮\"x১২\"। সাবজেক্ট লাইনে 'বনের পাখি' (পাখির নাম) লিখে ই-মেল করুন এই ঠিকানায়: bhraman.pix@gmail.​com একসঙ্গে দু'টির বেশি ই-মেল পাঠাবেন না।

time-read
1 min  |
November 2024