পৃথিবীর সুন্দরতম রেলযাত্রাগুলোর মধ্যে সর্বাগ্রে আসে সুইৎজারল্যান্ডের গ্লেসিয়ার এক্সপ্রেসের নাম। ব্যাগপত্র নিয়ে জারমাট স্টেশনে এসে দেখি, সাজানোগোছানো স্টেশন আলো করে দাঁড়িয়ে আছে ঝকঝকে লাল-সাদা এই পর্যটকবাহী ট্রেন। ট্রেনের টিকিট অগ্রিম বুক করতে হয়েছে। টিকিটেই দেওয়া আছে ট্রেন, কোচ ও সিট নম্বর। কোচ অ্যাটেন্ড্যান্টকে টিকিট দেখিয়ে নির্দিষ্ট কামরায় উঠে পড়লাম। বাতানুকূল কামরার দু'পাশে দু'জোড়া করে গদিআঁটা চেয়ার। যাত্রাপথের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভালো ভাবে দেখার জন্য বড় কাচের জানলা। লাগেজ রাখার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা।
আগেই দেখে নিয়েছি, এ ট্রেনের কামরা ছ'টি। এর একটি প্যানোরামা প্যান্ট্রি কার। বাকি কামরাগুলির মধ্যে আবার দু'টি শ্রেণি। আমরা চলেছি দ্বিতীয় শ্রেণিতে। তারই ভাড়া মাথাপিছু প্রায় দেড়শো সুইস ফ্রাঁ। জারমাট থেকে এই ট্রেন যাবে সেন্ট মরিস পর্যন্ত। মোট দূরত্ব ২৭৫ কিলোমিটার। মিটার গেজের পাহাড়ি রেলপথ। আল্পস পর্বতমালার প্রবল সৌন্দর্যময় প্রকৃতির মধ্য দিয়ে এই রেলযাত্রায় পেরতে হয় ২৯১টি ব্রিজ আর ৯১টি টানেল। ১৯৩০ সালে ২৫ জুন চালু হয় এই রেলযাত্রা। পুরো রেলপথটি বিদ্যুৎচালিত।
ঘড়ির কাঁটা ধরে ন'টা বাহান্ন মিনিটে ট্রেন ছাড়ল। ট্রেনে খুব একটা ভিড় নেই। গ্লেসিয়ার এক্সপ্রেস দুনিয়ার অন্যতম ধীর গতির এক্সপ্রেস ট্রেন। ফলে ট্রেনের দু'পাশের দৃশ্য ভালো ভাবেই দেখা যাচ্ছে। নির্বিঘ্নে ছবিও তোলা যাচ্ছে। পাহাড়ের গা ঘেঁষে চলেছে ট্রেন। দু'পাশে পাগল-করা প্রকৃতি।
এক ফাঁকে পুরো ট্রেনটা এক চক্কর দিয়ে এলাম। প্যানোরামা প্যান্ট্রি কারটি পরিপাটি করে সাজানো। নানা ধরনের খাবার মেলে। চাইলে খাবার যাত্রীদের সিটেও পৌঁছে দেবে। মেনুকার্ডটাতে একবার চোখ বোলালাম। দাম বেশ বেশি! ভারতীয় খাবারও রয়েছে। প্যান্ট্রি কারে এছাড়া আছে বার ও গিফট শপ
পাহাড়ের গা দিয়ে ধীর গতিতে এগোচ্ছে ট্রেন। টাস, ভিসপ্ পেরিয়ে প্রথম থামল ব্রিগ স্টেশনে, বেলা এগারোটা নাগাদ। ছোট স্টেশন ব্রিগ। দ্বাদশ শতকে গড়ে ওঠা এই পাহাড়ি জনপদ থেকে ট্রেকিং করে যাওয়া যায় আল্পস পর্বতমালার বিখ্যাত অ্যালেসচ হিমবাহে। ব্রিগে মিনিটকয়েক দাঁড়াল ট্রেন। একটি প্রাচীন প্রাসাদও আছে এখানে। ট্রেন থেকে দেখতে পেলাম। এরপর থেকেই দু'পাশের দৃশ্য পাল্টাতে শুরু করল।
Diese Geschichte stammt aus der September - October 2024-Ausgabe von Bhraman.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent ? Anmelden
Diese Geschichte stammt aus der September - October 2024-Ausgabe von Bhraman.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent? Anmelden
উমরুকুঠির অতিথি
শীতের মুখে শিকারি পাখি আমুর ফ্যালকন সাইবেরিয়া থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পাড়ি দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। দীর্ঘ উড়ালপথে তারা খানিক বিশ্রাম নেয় আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুরের নানা জায়গায়। আসাম-মেঘালয় সীমান্তের উমরুকুঠি গ্রাম গত পনেরো বছর ধরে তাদের বিশ্রামের এমনই এক আস্তানা। নভেম্বরের অভিজ্ঞতা।
পথের বাঁকে তিলওয়ারা
তিলওয়ারার মন্দাকিনী রিসর্টের চত্বরের গাছে গাছে ফুল, ফল আর তার টানে পাখিদের আনাগোনা। মন্দাকিনীর বয়ে চলার নিরন্তর কুলুকুলু ধ্বনিটিও মনে রয়ে যায়। রুদ্রপ্রয়াগ থেকে তিলওয়ারা যেতে আধঘণ্টা লাগে। উখিমঠ থেকে তিলওয়ারা ৩৭ কিলোমিটার।
কাঠমান্ডুতে পাঁচ দিন
কাঠমান্ডুর প্রাসাদ, মন্দির, স্তূপ, জলপ্রপাত, পাটনের অপরূপ প্রাচীন সব স্থাপত্য আর নাগরকোটের আকাশজোড়া হিমালয় তুষারশৃঙ্গ— পাঁচদিনের এক জমজমাট ভ্রমণকথা । বর্ষার দিনগুলি বাদে যাওয়া চলে সারাবছর।
নিস্তরঙ্গ ম্যাকলাস্কিগঞ্জ
পথের ধারে বিস্তীর্ণ শালবন, জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তিরতিরে নদী চাট্টি আর ডুগাডুগি, স্থানীয় মানুষের সরল জীবনযাত্রা, অ্যাংলো সাহেবদের ছেড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি, সব মিলিয়ে শীতের ম্যাকলাস্কিগঞ্জে এক নিস্তরঙ্গ অবসর যাপন করতে ভালো লাগে।
সন ট্রা পাহাড় ঘুরে পুরনো শহর হোই আন
বিপন্ন প্রজাতির বানর রেড-শ্যাংকড ডুকের বাসস্থান সন ট্রা পাহাড় ভিয়েতনামের দানাং শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার। প্রাচীন বর্ণময় শহর হোই আন যেতে দানাং থেকে লাগে ৪০ মিনিট। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল। তবে, এপ্রিলে গেলে সদ্যোজাত ডুকছানাদের দেখা মিলবে।
ওমানের মরুতে মরূদ্যানে
ডেজার্ট ক্যামেল সাফারি, জিপ সাফারি, ডেজার্ট ট্রেকিং, স্যান্ড বাইকিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।
ওড়িশার জলে জঙ্গলে
নৌকো নিয়ে মংলাজোড়ির জংলাজলায় পাখি দেখে ভিতরকণিকার খোলা থেকে নৌবিহারে একের পর এক কুমিরদর্শন করে সিমলিপাল অরণ্যসফর। ওড়িশার জলে-জঙ্গলে বেড়ানোর সেরা সময় নভেম্বর থেকে মার্চের শুরু পর্যন্ত।
গাঢ় সবুজ ওয়েনাদ
দিগন্তবিস্তৃত সমভূমি, পাহাড়ের গায়ে একদিকে চা-বাগান, অন্যদিকে জঙ্গল, অরণ্যে ঘেরা হ্রদ— সব কিছু নিয়ে সজল সবুজ ওয়েনাদ। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল।
কানাকাটা পাস
কুমায়ুন হিমালয়ের সুন্দরডুঙ্গা উপত্যকার দক্ষিণে কানাকাটা পাস। পথের শুরুতেই পেরতে হয় পিণ্ডার আর সুন্দরডুঙ্গা নদী। হাঁটাপথের সাক্ষী থাকে ভানোটি, থারকোট, মৃগথুনি, মাইকতোলি শৃঙ্গেরা। পথে পড়ে পাহাড় ঘেরা দেবীকুণ্ড, নাগকুণ্ড সরোবর। পথের ধারে ফুটে থাকে ব্রহ্মকমল, ফেনকমল ফুল। সাতদিনের এই হিমালয় পদযাত্রা ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরের।
ইন্ডিয়ান স্পট-বিলড ডাক
আপনিও লেখা-ছবি পাঠাতে পারেন 'বনের পাখি' বিভাগে। পাখিটি কোথায় দেখলেন, পাখিটির বৈশিষ্ট্য ২০০ শব্দের মধ্যে লিখে ছবি-সহ আমাদের দপ্তরে পাঠান। লেখা হতে হবে ওয়ার্ড ফাইলে, ইউনিকোড ফন্টে। পাখির ছবির রেজলিউশন হতে হবে ৩০০ ডিপিআই। মাপ হতে হবে ৮\"x১২\"। সাবজেক্ট লাইনে 'বনের পাখি' (পাখির নাম) লিখে ই-মেল করুন এই ঠিকানায়: bhraman.pix@gmail.com একসঙ্গে দু'টির বেশি ই-মেল পাঠাবেন না।