গবঙ্গোত্রী থেকে চিরবাসা হয়ে পৌঁছলাম ভুজবাসা। এক রাত এখানে কাটিয়ে রওনা হব তপোবনের উদ্দেশে। ভুজবাসা থেকে গোমুখ- তপোবন যাওয়ার চিরাচরিত পথ ছিল ভাগীরথী নদীর প্রকৃত ডান তীর ধরে, যে-পাড়ে ভুজবাসা। ২০১৭ সালে বিশাল ধস নেমে গোমুখ- তপোবনের সেই প্রচলিত পথটি বন্ধ করে দেয়। এখন যাত্রীরা ভুজবাসা থেকে ভাগীরথী পার হয়ে নদীর বাম তীর ধরে তপোবনে যান। এমনকী, যাঁরা গোমুখ স্নাউটের কাছে যেতে চান, তাঁরাও এভাবে নদী পেরিয়ে যান।
নতুন পথের একটা বড় সমস্যা হল স্রোতস্বিনী ভাগীরথীর উপর কোনও সেতু নেই। সেতুর অভাবে হাতে টানা ঝুলন্ত ট্রলিতে নদী পার হতে হয়। নির্দিষ্ট ভাবে কারও উপর ট্রলি টানার দায়িত্বভার নেই। এ পরিস্থিতিতে ট্রেকাররাই ট্রেকারদের সহায়। এক পাড়ের ট্রেকিং দল অন্য পাড়ের ট্রেকার ভর্তি ট্রলি টেনে পার করে দেয়।
অনেক ট্রেকার, লম্বা লাইন। প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষার পর আমাদের পালা এল। প্রথম দফায় বেশিরভাগ মালপত্র নিয়ে চলে গেল আমাদের গাইড-পোর্টার। পরের দফায় সহযাত্রী সৌরভ বাগচি, আমি আর অন্য এক ট্রেকার-দলের দুই মালবাহক ঝোলায় উঠি। শুরুতে কারও সাহায্য ছাড়াই ট্রলি হুড়মুড়িয়ে মাঝনদী অবধি চলে এল। ওপাড় থেকে আমাদের গাইড সুভাষ সিং রাণা, মালবাহক চন্দনজি আর তপোবন ফেরত একটা ট্রেকারদলের সদস্যরা ট্রলির দড়ি ধরে টানতে লাগলেন। ট্রলির ওজন কমাতে মালবাহক দুজন ১৫-২০ ফুট নীচে শুকনো নদীবক্ষে লাফ দিয়ে নেমে গেল! সৌরভও খানিক বাদে তাদের অনুসরণ করল। ট্রলির ওজন এভাবে অনেকটাই কমে যাওয়ায়, সুভাষদের সুবিধা হল টানতে। কিন্তু এভাবে লাফাতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটাও অসম্ভব নয় !
নদী পেরিয়ে, যে যার ব্যাগ কাঁধে তুলে, রওনা হলাম তপোবনের দিকে। বোল্ডার আর বালির উপর দিয়ে হালকা চড়াই-উতরাই পথ। যত এগোই, আমাদের সামনে ভাগীরথী শৃঙ্গগুলি ক্রমশ বিশাল থেকে বিশালতর আকার ধারণ করে, সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে গঙ্গোত্রী গ্লেসিয়ার। ডান দিকের পাহাড় থেকে এসে সরু সরু নালা মিলেছে ভাগীরথীতে।
Diese Geschichte stammt aus der September - October 2024-Ausgabe von Bhraman.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent ? Anmelden
Diese Geschichte stammt aus der September - October 2024-Ausgabe von Bhraman.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent? Anmelden
শাতের মেলা-পার্বণ
গুজরাত পর্যটন বিভাগ প্রতি বছর রণ উৎসব বা হোয়াইট ডেজার্ট ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে। কচ্ছ জেলার ধরদো গ্রামে এই উৎসব হয়। বিশেষ করে পূর্ণিমার রাতে সাদা মরুভূমির অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটকের ভিড় বেড়ে যায়। বিলাসবহুল তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা এবং গুজরাতি লোকনৃত্য, লোকসংগীত, চিত্রকলা ও প্রাদেশিক খাবারের সমারোহ এই উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ।
শীতের দিনে সপ্তাশেষে
/ গোবর্ধনপুর / গোপালপুর / আদিত্যপুর / পুরুলিয়ার টিকড়টাঁড়ের আড়াল কানালি /কুকি ড্যাম /জাজাহাতু /মাছকান্দা ঝরনা
তুষারচিতার খোঁজে শীতের স্পিতি উপত্যকায়
শীতে খাবারের খোঁজে স্নো-লেপার্ডরা নেমে আসে হিমাচলের স্পিতি উপত্যকায়। বরফজমা উপত্যকায় এ-সময় আরও নানা বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের অভিজ্ঞতা।
শীতে সাত সমুদ্রে
/কারোয়ার / দেববাগ / মাইপাড়ু /কোভালম / ভারকালা / লাক্ষাদ্বীপ / হ্যাভলক
ওরিয়া উৎসবে ওয়াক্কা
শীতের শেষে অরুণাচলের অচিন গ্রাম ওয়াক্কা মেতে ওঠে ওরিয়া উৎসবে। এবারের ওরিয়া উৎসব ১৬ ফেব্রুয়ারি।
শীতের কাজিরাঙা
কাজিরাঙার রোমাঞ্চময় জঙ্গলে মিঠে রোদে ঠান্ডা হাওয়ায় অপরূপ নিসর্গের মাঝে গন্ডার, হুলক গিবন, বাঘ, হাতি, বুনো মহিষ আর অসংখ্য পাখি দেখার আনন্দ পেতে চাইলে যেতে হবে শীতেই। মস্ত বড় এলিফ্যান্ট গ্রাসের আড়ালে হাতিও তখন ঢাকা পড়ে যায়।
শীতের কাশ্মীরে সাধনা টপ
শীতেই চলুন শীতের দেশে। শীতের আনন্দ সেখানেই। শীতের কাশ্মীরে চেনা পথে যদি বরফ না পান, চলে যেতে পারেন অল্পচেনা সাধনা টপে।
শীতের পাখি দেখতে কুমায়ুন থেকে গাড়োয়াল
গাড়োয়াল আর কুমায়ুন পাহাড় এমনিতেই হিমালয়ের পাখিদের স্বর্গরাজ্য। শীতে বেশি উচ্চতার পাখিরাও নেমে আসে সাততাল, মানিলা, মকুমঠ, চোপতা, তুঙ্গনাথে। শীতের পাহাড় পাখি-দেখিয়েদেরও স্বর্গ।
জিঞ্জি দুর্গ দেখে পিছাভরম
জেনে রাখুন পিছাভরমে সংকীর্ণ খাঁড়ির মধ্যে প্রবেশ করতে চাইলে এবং গহীন অরণ্যের স্বাদ নিতে হলে হাতে দাঁড় টানা ছোট নৌকা সবচেয়ে উপযোগী। এটি অনেকটা ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। বড় নৌকার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। /৪৫ মিনিটের জন্য চারজনের ক্ষেত্রে ছোট দাঁড় টানা নৌকার খরচ ৪০০ টাকা এবং ৮ জনের মোটর বোটে টিকিট মূল্য ৮০০ টাকা। / কাদিয়াম্পালয়াম গ্রাম থেকে প্রাইভেট ফিশিং বোটে নৌসফর করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন: আনবো ৯৭৮৬৭-৬7287
জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের গ্রামে গ্রামে
সবুজ চা-বাগানে ঘেরা নিস্তরঙ্গ গ্রাম, ফলে ভরা কমলালেবু বাগান, বৃষ্টি ধোয়া আকাশে হেসে ওঠা কাঞ্চনজঙ্ঘা, ডিসেম্বরের জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের ভ্রমণকথা।