উমরুকুঠির অতিথি
Bhraman|November 2024
শীতের মুখে শিকারি পাখি আমুর ফ্যালকন সাইবেরিয়া থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পাড়ি দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। দীর্ঘ উড়ালপথে তারা খানিক বিশ্রাম নেয় আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুরের নানা জায়গায়। আসাম-মেঘালয় সীমান্তের উমরুকুঠি গ্রাম গত পনেরো বছর ধরে তাদের বিশ্রামের এমনই এক আস্তানা। নভেম্বরের অভিজ্ঞতা।
লেখা: রেশমী পাল ছবি: সৈকত ভট্টাচার্য
উমরুকুঠির অতিথি

সূর্যাস্তের লাল রং মাখা মেঘ। আর, তার গায়ে হাজার হাজার চলমান বিন্দু। বিন্দু নয়, ওরা আমুর ফ্যালকন। সংখ্যায় অগণন !

শিকারী পাখি বললেই ঈগল, বাজ, চিলের যে-জাঁদরেল চেহারা চোখের সামনে ফুটে ওঠে, আমুর ফ্যালকন মোটেই তেমন না। ছোটখাটো চেহারা। কাকের চেয়ে আকারে সামান্য বড়। চিন, সাইবেরিয়া, মোঙ্গোলিয়ার যে-সব জায়গায় শীতকালে বেজায় শীত পড়ে, সেখানে ওদের জন্ম, বেড়ে ওঠা। শীতের মুখে ওরা পাড়ি জমায় সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকায়— ভারতের উপর দিয়ে। ভারতের উত্তর-পূর্ব দিক দিয়ে এদেশের আকাশসীমায় ঢোকে দল বেঁধে। এক-একটা দলে দেড়-দু'লাখ। উড়তে উড়তে মধ্যে মধ্যে জিরিয়ে নিতে থামে নাগাল্যান্ড, আসাম, মেঘালয়, মণিপুরের নির্দিষ্ট কয়েকটি অঞ্চলে। অক্টোবর-নভেম্বরে সন্ধ্যার মুখে আকাশ আঁধার করে ঝাঁকে ঝাঁকে তাদের নেমে আসতে দেখা যায়। রাত কাটায় গাছে গাছে। সকাল হলেই বেরিয়ে পড়ে পড়ে খাবার খুঁজতে। মূলত পোকামাকড়! সন্ধে হলে গাছে ফিরে আসে। এভাবেই যাত্রার মধ্যপথে কয়েকটা দিন কাটিয়ে যায় আমুর ফ্যালকনরা। আসাম মেঘালয়ের সীমান্তে যে উমরুকুঠি গ্রামের আকাশে প্রাক-সন্ধেয় আমুর ফ্যালকনদের বিন্দুবৎ দেখলাম, সেটি গত পনেরো বছর ধরে তাদের এমনই একটি হল্টিং স্পট। উমরুকুঠি বা উমরু-টু গ্রামের লোকজন প্রথম প্রথম যথেচ্ছ পাখি মারতেন। এখন তাঁরা সচেতন হয়েছেন। গ্রামের ভূমিপুত্র অর্জুন ছেত্রী ও তাঁর বন্ধুদের উদ্যোগে গঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পাখি-বাঁচাও আন্দোলন চালাচ্ছে। অর্জুনবাবুর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেই উমরুকুঠিতে আসা।

গুয়াহাটি থেকে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার পথ। কাছাকাছি কোনও শহর নেই। আমুর ফ্যালকনদের দেখা পাওয়ার সময় বিকেল আর ভোর, তাই গ্রামেই রাত কাটাতে হবে। এদিকে উমরুকুঠিতে একটি কটেজের সবেমাত্র কাঠামো তৈরি হয়েছে, বাসযোগ্য নয় সেটা। কটেজের মালিকপক্ষের একজনের নিজস্ব দু'ঘরের বাড়িতে আমরা থাকব, ঠিক হল। ২০২৩-এর নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্দিষ্ট দিনে গুয়াহাটিতে আমাদের পিক-আপ করতে এলেন সেই ভদ্রলোক— অপূর্ব নাগ ! গুয়াহাটি থেকে শিলংগামী হাইওয়ে ধরে চলল আমাদের গাড়ি। শিলংয়ের সীমানায় ঢোকার আগে ডান দিকে উমিয়াম লেক, আর বাঁদিকে একটি রাস্তা চলে গেছে উমরুকুঠি। এখান থেকে ঘণ্টা দেড়েক সময় লাগে।

Diese Geschichte stammt aus der November 2024-Ausgabe von Bhraman.

Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.

Diese Geschichte stammt aus der November 2024-Ausgabe von Bhraman.

Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.

WEITERE ARTIKEL AUS BHRAMANAlle anzeigen
শাতের মেলা-পার্বণ
Bhraman

শাতের মেলা-পার্বণ

গুজরাত পর্যটন বিভাগ প্রতি বছর রণ উৎসব বা হোয়াইট ডেজার্ট ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে। কচ্ছ জেলার ধরদো গ্রামে এই উৎসব হয়। বিশেষ করে পূর্ণিমার রাতে সাদা মরুভূমির অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটকের ভিড় বেড়ে যায়। বিলাসবহুল তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা এবং গুজরাতি লোকনৃত্য, লোকসংগীত, চিত্রকলা ও প্রাদেশিক খাবারের সমারোহ এই উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ।

time-read
2 Minuten  |
December 2024
শীতের দিনে সপ্তাশেষে
Bhraman

শীতের দিনে সপ্তাশেষে

/ গোবর্ধনপুর / গোপালপুর / আদিত্যপুর / পুরুলিয়ার টিকড়টাঁড়ের আড়াল কানালি /কুকি ড্যাম /জাজাহাতু /মাছকান্দা ঝরনা

time-read
10+ Minuten  |
December 2024
তুষারচিতার খোঁজে শীতের স্পিতি উপত্যকায়
Bhraman

তুষারচিতার খোঁজে শীতের স্পিতি উপত্যকায়

শীতে খাবারের খোঁজে স্নো-লেপার্ডরা নেমে আসে হিমাচলের স্পিতি উপত্যকায়। বরফজমা উপত্যকায় এ-সময় আরও নানা বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের অভিজ্ঞতা।

time-read
8 Minuten  |
December 2024
শীতে সাত সমুদ্রে
Bhraman

শীতে সাত সমুদ্রে

/কারোয়ার / দেববাগ / মাইপাড়ু /কোভালম / ভারকালা / লাক্ষাদ্বীপ / হ্যাভলক

time-read
8 Minuten  |
December 2024
ওরিয়া উৎসবে ওয়াক্কা
Bhraman

ওরিয়া উৎসবে ওয়াক্কা

শীতের শেষে অরুণাচলের অচিন গ্রাম ওয়াক্কা মেতে ওঠে ওরিয়া উৎসবে। এবারের ওরিয়া উৎসব ১৬ ফেব্রুয়ারি।

time-read
8 Minuten  |
December 2024
শীতের কাজিরাঙা
Bhraman

শীতের কাজিরাঙা

কাজিরাঙার রোমাঞ্চময় জঙ্গলে মিঠে রোদে ঠান্ডা হাওয়ায় অপরূপ নিসর্গের মাঝে গন্ডার, হুলক গিবন, বাঘ, হাতি, বুনো মহিষ আর অসংখ্য পাখি দেখার আনন্দ পেতে চাইলে যেতে হবে শীতেই। মস্ত বড় এলিফ্যান্ট গ্রাসের আড়ালে হাতিও তখন ঢাকা পড়ে যায়।

time-read
5 Minuten  |
December 2024
শীতের কাশ্মীরে সাধনা টপ
Bhraman

শীতের কাশ্মীরে সাধনা টপ

শীতেই চলুন শীতের দেশে। শীতের আনন্দ সেখানেই। শীতের কাশ্মীরে চেনা পথে যদি বরফ না পান, চলে যেতে পারেন অল্পচেনা সাধনা টপে।

time-read
3 Minuten  |
December 2024
শীতের পাখি দেখতে কুমায়ুন থেকে গাড়োয়াল
Bhraman

শীতের পাখি দেখতে কুমায়ুন থেকে গাড়োয়াল

গাড়োয়াল আর কুমায়ুন পাহাড় এমনিতেই হিমালয়ের পাখিদের স্বর্গরাজ্য। শীতে বেশি উচ্চতার পাখিরাও নেমে আসে সাততাল, মানিলা, মকুমঠ, চোপতা, তুঙ্গনাথে। শীতের পাহাড় পাখি-দেখিয়েদেরও স্বর্গ।

time-read
4 Minuten  |
December 2024
জিঞ্জি দুর্গ দেখে পিছাভরম
Bhraman

জিঞ্জি দুর্গ দেখে পিছাভরম

জেনে রাখুন পিছাভরমে সংকীর্ণ খাঁড়ির মধ্যে প্রবেশ করতে চাইলে এবং গহীন অরণ্যের স্বাদ নিতে হলে হাতে দাঁড় টানা ছোট নৌকা সবচেয়ে উপযোগী। এটি অনেকটা ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। বড় নৌকার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। /৪৫ মিনিটের জন্য চারজনের ক্ষেত্রে ছোট দাঁড় টানা নৌকার খরচ ৪০০ টাকা এবং ৮ জনের মোটর বোটে টিকিট মূল্য ৮০০ টাকা। / কাদিয়াম্পালয়াম গ্রাম থেকে প্রাইভেট ফিশিং বোটে নৌসফর করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন: আনবো ৯৭৮৬৭-৬7287

time-read
10 Minuten  |
December 2024
জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের গ্রামে গ্রামে
Bhraman

জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের গ্রামে গ্রামে

সবুজ চা-বাগানে ঘেরা নিস্তরঙ্গ গ্রাম, ফলে ভরা কমলালেবু বাগান, বৃষ্টি ধোয়া আকাশে হেসে ওঠা কাঞ্চনজঙ্ঘা, ডিসেম্বরের জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের ভ্রমণকথা।

time-read
10+ Minuten  |
December 2024