জুস ক্লেনজ় ডায়েট

সঠিক ডায়েট প্ল্যানিংয়ের পাশাপাশি মেনে চলা উচিত কিছু সতর্কতাও। জুস ক্লেনজ় ডায়েটের সাতসতেরো জানাচ্ছেন সিনিয়র ডায়েটিশিয়ান অর্পিতা ঘোষ দেব। লিখছেন অনিকেত গুহ।

ফ্রুট জুস যা হেলদি ড্রিঙ্ক নামেও যথেষ্ট পরিচিত। ফিট থাকার ইঁদুরদৌড়ে জুস এখন যে কোনও ডায়েটই ইন। সেই দিক থেকে জুস ক্লেনজ়িং ধারণাটা কিছুটা নতুন। পুষ্টিগুণের পাশাপাশি রয়েছে একাধিক রিস্ক ফ্যাক্টর। সঠিকটা জেনে বুঝে তবেই পা বাড়ান...

আলাদা কোথায়? ডায়েট লিস্টে বিভিন্ন খাবারের পাশপাশি ফল বা সবজির রস যেমন সুস্বাদু তেমনই স্বাস্থ্যকর। দিনভর অফিসের কাজ কিংবা সকালে ওয়র্ক আউটের পরে গলা ভেজাতে এক গ্লাস ফ্রুট জুসের থেকে ভাল উপাদেয় আর কী-ই বা হতে পারে? যে কোনও ভারী মিলের সঙ্গে বা দীর্ঘক্ষণ কাজের পরে ফ্রুট বা ভেজিটেবল জুস আপনার রিফ্রেশমেন্টে ভীষণ উপকারী।

তবে ‘জুস ক্লেনজ়’ বিষয়টা খানিক আলাদা। জুস ক্লেনজ ডায়েটে আপনাকে সারাদিন ফল বা সবজির রস খেয়েই থাকতে হয়। একটা নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরিমাণমতো জুস খেতে হয়। সাধারণভাবে যে কোনও ফল বা সবজিতে প্রচুর পরিমাণে নিউট্রিয়েন্ট থাকে। জুস গ্রহণের মাধ্যমে শরীরে সেই সকল নিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা করা হয়। এই ডায়েটের এক-একটি কোর্স মোটামুটি ১ থেকে ২ সপ্তাহের জন্য বরাদ্দ হয়ে থাকে।

জেনে নিন উপকারিতা...

জুস তৈরির ক্ষেত্রে ফল বা সবজিই আমাদের প্রথম পছন্দ। রসাল বা জলীয় অংশ বেশি পাওয়া যায় এরকম ফল বা সবজি থেকে জুস তৈরি করা হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় লাউয়ের জুস, চালকুমড়োর জুস, জামের জুস, তরমুজের জুস ইত্যাদি। পাশাপাশি বিভিন্ন শাক-পাতা যেমন বেসিল, লেমন গ্রাস, কুলেখাড়া থেকেও জুস খাওয়ার একটা প্রচলন আছে। একটু লক্ষ করলেই দেখা যাবে, প্রতিটি উপাদানই প্ল্যান্ট বেসড বা ভেষজ। ননভেজ বা অন্যান্য প্রসেসড ফুডের তুলনায় জুসে অ্যালকালাইন বা ক্ষারীয় উপাদানের ভাগ বেশি। ঘরে-বাইরে কাজের চাপ, বাড়তি দায়িত্ব বা সম্পর্কের টানাপড়েনে আমরা অতিরিক্ত স্ট্রেসের শিকার হই। যা প্রভাব ফেলে আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর। অতিরিক্ত স্ট্রেসের কারণে হাইপোথ্যালামাসে অ্যাসিডের হাইপার সিক্রেশন হয়। এ ক্ষেত্রে জুসের মধ্যে থাকা ভেষজ ক্ষারীয় উপাদান এই অতিরিক্ত অ্যাসিড কনটেন্টকে ব্যালান্স করেএবং এতে আমাদের শরীরে প্রশম পিএইচ মাত্রা (পিএইচ স্কেল অনুযায়ী ৭ হল প্রশম বা নিউট্র্যাল মাত্রা) বজায় থাকে। তাছাড়া ভারতবর্ষের মতো গ্রীষ্মপ্রধান দেশে শরীরে লিকুইডের মাত্রা বজায় রাখতে ডায়েটে জুস থাকা ভাল।