CATEGORIES
Categorías
মঞ্জীর নৃত্য সংস্থার কর্মশালা
সম্প্রতি বজবজ মঞ্জীর নৃত্য সংস্থার উদ্যোগে দীপাঞ্জন বক্সির পরিচালনায় এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওড়িশি নৃত্যাঙ্গনা গুরু সঞ্চিতা। ভট্টাচার্য, অভ্রজিৎ চক্রবর্তী, সম্পূর্ণা চক্রবর্তী, শংকর দত্ত, সমাজসেবী কমলেশ সিং, কত্থক নৃত্যশিল্পী শৌভিক চক্রবর্তী, বাপন বিশ্বাস সহ শতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।
সাইন
রাস্তায় হাঁটা আর রাস্তা তৈরি করা কিন্তু এক নয়। দুটো এক্কেবারে অন্য জিনিস। নিজের পথ তৈরির করার কথা ভাব। ছােট্টবেলাতেই মেয়ে সাইনাকে (পরিণীতি চোপড়া) একথা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মা উষারানি (মেঘনা মালিক)। মেয়েও কিন্তু মাকে হতাশ করেনি। ছােট বেলাতেই আর পাঁচটা মধ্যবিত্ত বাড়ির মেয়ের মতাে রান্নাবাটি খেলেনি। বরং হাতে তুলে নিয়েছিল ব্যাডমিন্টন র্যাকেট। মায়ের ইচ্ছা আর মেয়ের চেষ্টায় হায়দরাবাদের লাল বাহাদুর শাস্ত্রী স্টেডিয়ামে সিলেকশন হয়ে যায় সাইনার। এরপর অন্ধ্রপ্রদেশ স্টেট সাব জুনিয়র কম্পিটিশনে চ্যাম্পিয়ন। একে একে জিততে থাকে অন্য কম্পিটিশনও। মেডেল-ট্রফিতে ঘর ভরে যায়। তারপর কোচ গােপীচাঁদের (মানব কল) প্রশিক্ষণ শিবিরে নাম লেখায় সাইনা। কোচের এমন প্লেয়ার চাই যে জয় ছাড়া আর কিছুই ভাবে না। প্রশিক্ষণরত উঠতি প্লেয়ারদের সামনে এক অদ্ভুত প্রশ্ন করে বসেন কোচ। বলেন, এঘরে এমন কে আছে যে নিজেকে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাডমিন্টন খেলােয়াড় হিসেবে মনে করে? এক মুহূর্ত সময় না নিয়ে, নির্দ্বিধায় হাত উপরে তােলে সাইনা। আর কী।
বয়স থাবা বসাচ্ছে লড়াকু হাবিবের শরীরে
মার্চের তৃতীয় দিন। সন্ধ্যা ক্রমশ গভীর হচ্ছে। মােহন বাগান। তাঁবুতে শেষ হয়েছে প্রদীপ ব্যানার্জি-চুনী গােস্বামীর স্মরণসভা। ঐতিহাসিক লন থেকে বেরলেন বড়ে মিয়াঁ। মহম্মদ হাবিব। দুই অনুরাগীর সহযােগিতায় কোনওরকমে উঠলেন গাড়িতে। কিছুক্ষণ আগে ক্লাবের ভিতরে ফটোসেশনের সময় চেয়ারে বসতে হয়েছিল তাঁকে। সুব্রত ভট্টচার্য প্রদীপ চৌধুরিরা তাে হাবিবকে দেখে অবাক। লড়াকু বাবলু তাে বলেই ফেললেন, ‘বড়ে মিয়াঁ, তােমার শরীর পুরােপুরি ভেঙে গিয়েছে।
সৎকার
চালির বাঁশটা কাঁধে নিয়ে নিজের লােককে প্রথম ক’পা | হাঁটতে হয়। বল হরি আওয়াজ ওঠে, বিড়বিড় করে তাতে একটু গলা মেলাতে হয়, তারপর অভিজ্ঞ শক্তসমর্থ কেউ একজন এসে সে বাঁশ নিজের কাঁধে নিয়ে নেয়। পুরাে রাস্তাটা মড়ার বাঁশ কাঁধে নিয়ে হাঁটাআনাড়িদের পক্ষে চাপ আছে। চারজন বাহকের হাইট কাছাকাছি হওয়া চাই, হাঁটার তাল মেলা চাই, নাহলে মুশকিল।
বলিউডের নামে অহেতুক কুৎসা করা হয়: সায়নী
অভিনেত্রী সায়নী দত্ত। টলিউডের অত্যন্ত পরিচিত মুখ। একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন। বর্তমানে টলিউড ছেড়ে হিন্দি ছবির দুনিয়ায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আগামী ১৯ মার্চ জি ফাইভে তাঁর অভিনীত ভৌতিক ছবি ‘দ্য ওয়াইফ’ মুক্তি পাবে। ছবির নায়ক গুরমিত চৌধুরী। বলিউডে নিজের অভিষেক ছবি নিয়ে তিনি দারুণ উচ্ছ্বসিত। সম্প্রতি এক টেলিফোনিক আডড়ায় তিনি শােনালেন তাঁর জীবন আর বলিউড প্রসঙ্গে কিছু কথা।
ফিরে এলাম
কম সুদে স্টাফদের গাড়ি কেনার লােন— সার্কুলারটা বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাকি সকলের মতাে আমিও গাড়ি কিনব বলে ঠিক করলাম। কেনার আগে ড্রাইভিং স্কুলে দশ দিনের ট্রেনিং নিলাম। ব্রাঞ্চ ম্যানেজার বললেন, ট্রেনারের পায়ের কাছে ব্রেক গিয়ার সব থাকে—ভালাে চালায় এমন কারও কাছে হাত সেট করে তবে চালাবেন। কথাটা শুনে ভয় ধরে। গেল। এক সহকর্মী ইদানীং খুব হাত দেখা শুরু করেছে। হাতটা নিয়ে অনেক হিসেবনিকেশের পর ভীতিজনক মন্তব্য করল, দুর্ঘটনা। থেকে সাবধান! আমি কিন্তু ঠিক করলাম গাড়ি নিজে চালাবই।
ডোভার লেন মিউজিক কনফারেন্স
পণ্ডিত যশরাজ স্মরণে ৬৯তম বার্ষিক ডােভার লেন মিউজিক কনফারেন্স সম্প্রতি নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হল। চারদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে বিশিষ্ট সাহিত্যিক অমিত চৌধুরী কণ্ঠসঙ্গীত পরিবেশন করেন। তবলায় অশােক মুখার্জি এবং হারমােনিয়ামে হিরণয় মিত্র সহযােগিতা করেন। সরােদিয়া সিরাজ আলি খান রাগ হেমবেহাগ
পান খাওয়ার উপকারিতা
‘পান খায়াে রসিক জামাই কথা কয়াে ঠারে পানের জন্ম হইল কোন অবতারে?
দুটি সুর যেখানে মিশে যায়
আমার বড় ফুপুর গ্রামেই বিয়ে হয়েছে। ফুপুদের ঘরের পাশেই লেউল গরাইয়ের বাড়ি। বলা চলে একটাই উঠোন। ছােটবেলায় ফুপুদের বাড়িতেই সারাটাক্ষণ পড়ে থাকতাম। ফুপুর সেজো ছেলে খাইরুল, আমার সমবয়সি। দু’জনে কাদা দিয়ে ছ’চাকার লরি বানাতাম, ডিজে বক্স তৈরি করতাম। লেউল গরাইয়ের নাতি তাপস আমাদের সঙ্গে খেলতে আসত। ভাত খাবার সময় হলে আমাদের তিনজনকেই ভাত বেড়ে দিত ফুপু। কোনওদিন বুঝতেই পারিনি তাপস অন্য ধর্মের, অন্য সম্প্রদায়ের ছেলে। পিসিদের বাড়িরই একজন সদস্য ভাবতাম।
নতুন পরিচালকের নতুন ছবি
সময়ের সঙ্গে সম্পর্কের | বিনিসুতােগুলাে কি আরও আলগা হয়ে যাচ্ছে? তাহলে এত দাম্পত্য বিচ্ছেদ কেন? বদলে যাওয়া মূল্যবােধ আর আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিই কি বাঁধুনিটাকে অনিশ্চিত করে তুলছে? লিভ ইন সম্পর্কও স্থায়িত্ব দিতে পারছে দুই নর-নারীর সহাবস্থানকে। তাহলে কি কোথাও দায়িত্ব নিতে ভয়, অনীহা? এহেন আত্ম-অনাস্থার প্রবণতাকে বিষয় করে দিল্লি প্রবাসী বঙ্গসন্তান অঞ্জন কাঞ্জিলাল তৈরি করেছেন পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি ‘সহবাসে। শুটিং শেষ হয়েছিল ২০১৯ সালে। করােনা পরিস্থিতির জেরে এতদিন ক্যামেরাবন্দি হয়ে পড়েছিল ছবিটি। যদিও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। ছবিটি দেখানাে হয়েছে। প্রশংসিতও হয়েছে। অবশেষে ছবিটি মুক্তি পেতে চলেছে আগামী ১২ মার্চ।
প্রেমের জোয়ারে
আরােহণ ও নিউ থিয়েটার্সের যৌথ প্রয়াসে সম্প্রতি তপন থিয়েটারে হয়ে গেল দুটি পর্বের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘প্রেমের জোয়ারে। প্রথম পর্বে আরােহণের প্রযােজনায় এবং
জমে উঠেছে গানের লিগ
রিয়েলিটি শাে মানেই নতুন প্রতিভার অন্বেষণ— এটাই চিরাচরিত ধারণা। কিন্তু ধরুন যদি এমন হয়, মাউথপিসে গান গাইছেন একদল প্রতিষ্ঠিত শিল্পী, আর তাঁদের বিচার করছেন স্বয়ং জনতা জনার্দন। খানিকটা অবিশ্বাস্য লাগলেও জিটিভিতে গত মাস থেকে শুরু হয়েছে এমনই এক গানের রিয়েলিটি শাে। আর যার পােশাকি নাম‘ইন্ডিয়ান প্রাে মিউজিক লিগ। ছ’টি দলের মধ্যে টান টান লড়াই শুরু হয়েছে টেলিভিশনের পর্দায়। শুরু থেকেই জমে গিয়েছে গানের লড়াই।
চুনীর আলােয় আলােকিত অনন্যা' বাসন্তী
স্বামীর বহুমুখী প্রতিভার কথা বলতে | গিয়ে ভারী হয়ে গেল কণ্ঠস্বর। চোখের জলে সিক্ত চশমার কাচ। চোখ দুটি বন্ধ করে ক্ষণিকের জন্য বাকরুদ্ধ হলেন বাসন্তী গােস্বামী। পরিচয়, ভারতের সর্বকালের সেরা শিল্পী ফুটবলার চুনী গােস্বামীর স্ত্রী।
গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি
লম্বা কালাে গাড়ির দরজায় ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে এক ডাকসাইটে সুন্দরী। মাথায় লাল রঙের বড় টিপ। শ্বেতশুভ্র শাড়ি। ধূমপানরত অবস্থায় জ্বলজ্বলে চোখে। তাকিয়ে রয়েছে। চোখে আত্মঅহংকারের ঝলকানি। রােয়াব নিয়ে সামনে থাকা একজনকে বলল, মাথা উচু করে সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাক। কাউকে ভয় পাবে না। কোনও পুলিস, বিধায়ক, মন্ত্রী কাউকে না। কারও বাবাকেও ভয় পাবে না।
ওলিম্পিকসই লক্ষ্য সা নি য়া রা।
সে রেনা উইলিয়ামস, মেরি কম ও সানিয়া মির্জা। তিন | ক্রীড়াবিদের মধ্যে মিল কোথায়? উত্তরটা হল, মা হওয়ার পর তাঁরা প্রত্যেকেই নিজেদের জগতে স্বমহিমায় ফিরে এসেছেন। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মহিলা দিবসে তিনজনেই বলেছেন, ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়! মা হওয়ার পরও পেশাদার ক্রীড়া জীবন নতুন করে শুরু করা যায়।
আহার করুন বুঝেশুনে
আধুনিক সভ্যতার অগ্রগতিতে আমাদের জীবনশৈলীর | পরিবর্তনের সঙ্গে বিবর্তিত হয়েছে খাদ্যাভ্যাসও। যে খাদ্য একসময় রােগ প্রতিরােধ করত সেই খাদ্য এখন অনেক রােগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জীববৈচিত্র্য নষ্ট হওয়ায় খাদ্যের বিবর্তন ঘটেছে। এর ফলে ডায়রিয়া থেকে ক্যান্সার প্রায় দু’শােটিরও বেশি রােগে মানুষ ভুগছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে দূষিত খাবার থেকে প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় চার লক্ষ কুড়ি হাজার মানুষ মারা যান।
ধর্মসঙ্কটে সিপিএম।
নাৎসি জার্মানির ইতিহাসটা মনে পড়ে? ১৯৩৩ সালে হিটলার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত সেখানে কমিউনিস্ট আর সােশ্যাল ডেমােক্রাটরা নিজেদের মধ্যে খেয়ােখেয়ি করে গিয়েছে, হিটলারকে ঠেকানাের যথেষ্ট চেষ্টা করেনি। আর ক্ষমতায় এসে হিটলার বেছে বেছে কমিউনিস্টদেরই নিধন করেছিল। পশ্চিমবঙ্গের বামেদেরও সেই রকম অবস্থা।
তু ল সী
তুলসীর ভেষজ গুণের সঙ্গে আমরা সকলেই পরিচিত। ভারতীয় উপমহাদেশের অসংখ্য অধিবাসী তাঁদের বাড়িতে এই গাছটি রাখেন এবং একে দেবী হিসেবে পূজা করেন। ৫ হাজার বছর আগে ঋগ্বেদে তুলসীর ভেষজ গুণের বর্ণনা পাওয়া যায়। তুলসীতে ইউজেনল, মিথাইল ইউজেনল, ভােলাটাইল অয়েল, সাইটোস্টেরল, লিউটিওসিন, এপিজেনিন প্রভৃতি জৈব যৌগ আছে যেগুলি তুলসীর অতুলনীয় ভেষজ গুণের জন্য দায়ী।
গ্রাম বাংলার শিকড়মাটি
বিরােধের পিঠে মিলনের একটা তিরতিরে ইচ্ছে-নদী চিরকালই বহমান। এই ইচ্ছেটুকু বাংলার জলমাটির আত্মগরিমা। যা শত আঘাতেও ছিন্ন হয় না। তবে সময়ের আঘাতে সম্পর্কে আঁচড় কাটে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের টানাপােড়েন। যদিও তা ক্ষণস্থায়ী। ক্ষমতা যতই আমাদের বিরােধ শেখাক, বিতৃষ্ণা আর অবিশ্বাসের কুমন্ত্রণা দিক বার বার তা রুখে দেয় মানবিকতাই। সেই ভালােবাসার আখর নিয়েই এই কাহিনির পথচলা—
যােগফলস
যােগ বা যােগফলসে যাওয়ার যােগাযােগহঠাৎই যেন হাতে এসে গেল। কয়েক বছর আগে বেঙ্গালুরুতে এসেছিলাম একটা কাজে। আগেও এখানে এসেছি। কিন্তু যােগে যাওয়া হয়ে উঠেনি। যদিও যাওয়ার একটা বাসনা বরাবরই ছিল। এবার হাতে ক’দিন বাড়তি সময় থাকায় তার সদ্ব্যবহার করতে আর দেরি করলাম না। বেঙ্গালুরু সিটি স্টেশন (নতুন নাম কে.এস.আর. বেঙ্গালুরু) থেকে তাই এক রাতে রওনা হলাম যােগফলস বা যােগপ্রপাতের উদ্দেশে। মহীশূর থেকে একইভাবে ট্রেনে যাওয়া যায়।
উ ডু ম্ব রা
মা শবক নামে এক মণিকারপুত্র তক্ষশিলায় গিয়ে সুবিখ্যাত আচার্যের কাছে শিক্ষা সমাপ্ত করেছিলেন। মিথিলাবাসী মাণবকের খুব অল্প সময়ের মধ্যে সমস্ত পাঠ অধিগত হয়েছিল। তিনি সহপাঠীদের মধ্যে সর্বাধিক মনােযােগী ছাত্র ছিলেন। তাই দ্রুত পাঠ সমাপ্ত করে আচার্যের কাছে বিদায় প্রার্থনা করলেন। এদিকে সেই আচার্যের পারিবারিক রীতি ছিল যে গৃহে বয়ঃপ্রাপ্তা কোনও কুমারী কন্যা থাকলে চতুষ্পঠীর সবথেকে উৎকৃষ্ট পাত্রের হাতে তাকে সমর্পণ করতে হবে। এই আচার্যেরও অপরূপ সুন্দরী একটি কন্যা ছিল। তিনি মাণবককে বললেন, ‘বৎস, কুলধর্ম অনুযায়ী আমি তােমাকে আমার কন্যাদান করব। তুমি তাকে নিয়েই গৃহে ফিরবে। এদিকে এই মাণবক পাঠগ্রহণে মনােযােগী হলেও অতি হতভাগ্য ছিলেন। অপরদিকে আচার্যের কন্যা ছিলেন মহাপুণ্যবতী। সুতরাং গ্রহসন্নিবেশ বিপরীত হওয়ায় ফলে মাণবক কন্যাকে দেখে মােটেই পছন্দ করলেন না। কিন্তু তাঁর অপছন্দের কথা ব্যক্ত হলে পাছে আচার্য অসন্তুষ্ট হন, এই মনে করে বিবাহে সম্মতি জানালেন। আচার্য নিজ কন্যার সঙ্গে মাণবকের বিবাহ দিলেন। বিয়ের রাত্রে মণবক অলঙ্কৃত শয্যায় শয়ন করেছিলেন, কিন্তু যেই পত্নী সেই শয্যায় এসে বসলেন সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে গিয়ে শয়ন করলেন। আচার্য কন্যাও তা দেখে মাটিতে এসে শয়ন করলেন। তাঁকে মাটিতে শয়ন করতে দেখে মাণবক আবার খাটে উঠে শুয়ে পড়লেন। আচার্য কন্যাও স্বামীকে অনুসরণ করে আবার খাটের উপর শয্যা গ্রহণ করলেন। মাণবক আবার খাট থেকে মাটিতে নেমে এলেন। এরকম হওয়ারই কথা ছিল কারণ, অলক্ষ্মী কখনও লক্ষ্মীকে সহ্য করতে পারে না। তাই আচার্য কন্যা আর মাটিতে না নেমে পালঙ্কেই শয়ন করলেন। এভাবে আচার্যগৃহে মাণবকের এক সপ্তাহ কাটল। তারপর স্ত্রীকে নিয়ে গৃহের উদ্দেশে যাত্রা করলেন।
ছােট ভটচায্যির কর্মপ্রাপ্তি
জানবাজারের রানি রাসমণি তীর্থ করতে কাশীধাম। যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। জানবাজার কোনও সাম্রাজ্যের নাম নয়, কলকাতার একটি এলাকা। রাসমণিও কোনও রাজমহিষী নন, ‘রানি’ তাঁর শৈশবের ডাকনাম। গুরুজনদের দেওয়া আদুরে নামটির পাশে তাঁর পােশাকি নাম বসিয়ে এই তেজস্বিনীর পরিচয় তৈরি হয়েছিল ‘রানি রাসমণি'। সাধারণ মানুষ বলত ‘রানিমা। স্বামী রাজচন্দ্র দাসের মৃত্যুর পর চুয়াল্লিশ বছর বয়সে রাসমণি যে বিপুল সম্পত্তির উত্তরাধিকারিণী হয়েছিলেন তাতে এমন অভিধা অবশ্য তাঁর পক্ষে বেমানান ছিল না। তার ওপর, দরিদ্রের প্রতি অকুণ্ঠ সাহায্যে, ব্রিটিশ শাসকের অন্যায়ের দৃপ্ত প্রতিবাদে, লক্ষ্য পূরণের নাছােড় জেদে তিনি সত্যিই যেন সাম্রাজ্ঞী।
শতবর্ষ পেরিয়ে ব্যান্ড এইড
Behind every successful man there is a woman | O লুকিয়ে থাকে এক নারীর অবদান। এ তাে গেল। কথায় বলে, প্রত্যেক সফল পুরুষের সাফল্যে প্রবাদ। কিন্তু কখনও কি শুনেছেন স্বামীর সাফল্যের কারণ স্ত্রীর ক্ষত? হ্যাঁ ঠিক এমনটাই ঘটেছিল আর্ল ডিকসনের সঙ্গে। আমাদের অতি পরিচিত একটি জিনিস আবিষ্কারের নেপথ্যে ছিল তাঁর স্ত্রীর হাতের ক্ষত। ব্যান্ড এইড’-এর জন্ম হয়েছিল আর্ল ডিকসনের স্ত্রীর ক্ষত নিরাময়ের জন্য।
আবা
হা -মিদকে তার আহ্বা শ্যামচাঁদের মেলা দেখাতে নিয়ে এসেছে। অথচ তার আহ্বা তাকে নিয়ে বসে আছে। সাগরদিঘি বাজারে একটা চায়ের দোকানে। তার হাতে একটা কেক ধরিয়ে দিয়ে নিজে চা খাচ্ছে। সিগারেট টানছে। আর দোকানদারের সঙ্গে খােশমেজাজে গল্প করছে। হামিদের সেটা ভালাে লাগছে না। তাছাড়া মেলা তাে সাগরদিঘি বাজারে বসেনি, বসেছে তার পাশে পােড়ার সদ্য ধানকাটা মাঠে। ওই তাে সেখান থেকে মাইকের আওয়াজ ভেসে আসছে। কত রকমের আওয়াজ। সার্কাসের তাঁবুর আওয়াজ। পুতুলনাচের আসরের আওয়াজ। তাছাড়াও জাদুখেলা, মরণকুয়াে, নাগরদোলা, গঙ্গা যমুনার আওয়াজ তাে আছেই।
সূর্যোদয়ের নাম নাওমি ওসাকা
এ শিয়ান টেনিসে সূর্যোদয়। নাওমি ওসাকার হাত ধরে। সদ্য অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে চ্যাম্পিয়ন জাপানের এই প্লেয়ার এখন প্রায়ই সংবাদ শিরােনামে থাকছেন। তাঁর প্রতিবাদী চরিত্র এবং কোর্টের বাইরে শিশুসুলভ মানসিকতা নিয়ে অনেকেই চর্চা করছেন। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য মেতে ওসাকার পাওয়ার টেনিস নিয়েই।
৪৫ বছর পর ফের প্রযােজনায় অরােরা
এ যেন মৃত্যুর ভয়ে বাচার রাস্তাটাকেই রুদ্ধ করে দেওয়া। এ ধরণী এর আগেও অতিমারীতে আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যুর মিছিল দেখেছে পূর্বপুরুষরা। সমস্ত সামাজিকতা, মানবিকতা, মূল্যবােধকে নস্যাৎ করে দিয়ে মানব সভ্যতা মনে হয় এভাবে কখনও আত্মকেন্দ্রিক হয়ে ওঠেনি, যা আমাদের দেখাল করােনা-কাল। আপনজন হয়েছেন
হীরালাল সেনকে নিয়ে বায়ােপিক
রতীয় সিনেমার জনক হিসেবে স্বীকৃত দাদাসাহেব ফালকে। তাঁর ছায়ায় ঢেকে গিয়েছেন হীরালাল সেনের মতাে ব্যক্তিত্ব। হীরালাল সেন ছবি করেছিলেন ১৯০১ থেকে ১৯০৭ সাল পর্যন্ত। ১৯০৩ সালে। হীরালাল তৈরি করেছিলেন ‘আলিবাবা’। আর দাদাসাহেব ফালকের প্রথম ছবি ১৯১৩ সালে। ‘রাজা হরিশচন্দ্র। অথচ চলচ্চিত্রপ্রেমীরা ছাড়া কজনই বা চেনেন হীরালাল সেনকে! চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক উজ্জ্বলতম অধ্যায় হয়েও অবহেলার শিকার হীরালাল সেন। তবে কি ভারতীয় চলচ্চিত্রের স্রষ্টা। হিসেবে তাঁর নামটাই সর্বাগ্রে আসা উচিত? এই বিতর্ক উস্কে দিয়েই হীরালাল সেনের বায়ােপিক ‘হীরালাল’ তৈরি করেছেন। পরিচালক অরুণ রায়। মােহন বাগানের প্রথম শিল্ড জয় নিয়ে ছবি ‘এগারাে’ এবং শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে ‘চোলাই’ ছবিটি তৈরির পর অরুণের এটি তৃতীয় ছবি। নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন কিঞ্জল নন্দ। ছবিটি তৈরি হয়ে গিয়েছিল ২০১৮ সালে। প্রায় তিন বছর পর মুক্তি পেল এই সপ্তাহে।
শতবর্ষে সন্তোষকুমার ঘােষ ‘চূর্ণিল মর্তসীমা'
বাংলার বুকে একদিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের রণবাদ্য, আরেক দিকে গােয়ালন্দ স্টিমারের ভোঁ লাগা শব্দে চাপা পড়ে যাচ্ছিল তুলসীতলা, উঠোন, গােয়ালঘর, বনকলমির মাচা এইসব ফেলে আসা জীবনের দীর্ঘশ্বাস। সংবাদপত্রের পাতা থেকে বাংলার সাহিত্যাকাশেও একইসঙ্গে ফুটে উঠছিল অসংখ্য তারা। সন্তোষকুমার ঘােষ সেই সময়ের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। সংবাদপত্রের ভাষাকে যিনি সাধারণ মানুষের মুখ ও মনের ভাষায় বদলে দিয়েছিলেন। ১৯৪২ সালে তিনি যখন প্রথম যুগান্তর পত্রিকায় সাংবাদিকতার চাকরি নেন, সময়টা ছিল এক ঘাের অনিশ্চয়তার। বিশ্বযুদ্ধের কারণে একের পর এক সঙ্কট ও আর্থসামাজিক বিপন্নতায় সাধারণ মানুষ ছিল বিপর্যস্ত। সংবাদপত্রের চাকরিও ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
শতবর্ষে বিশ্বভারতী
সে এক আদ্যিকালের কথা। কথার মালা গাঁথার সঙ্গে সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের অন্তরে তাগিদ এল এক অভিনব বিদ্যালয় স্থাপনের। বােলপুর ব্রহ্মবিদ্যালয় নামক অঙ্কুর একদা কালের যাত্রায় হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী। ১৯০১ থেকে ১৯২১ সাল এক অভিনব যাত্রা। একদিকে নিজেকে প্রকাশের অন্যদিকে তপােবনের আদর্শকে রূপ দেবার বাসনা যুক্ত হয়েছিল কবির। এক চিঠিতে লিখছেন—
সােনালি অক্ষর
দে ‘শের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। টেস্ট সিরিজে ক্রমশই অপরিহার্য। হয়ে উঠছেন ভারতের বাঁহাতি স্পিনার অক্ষর প্যাটেল। চেন্নাইয়ের পর আমেদাবাদেও ‘প্যাটেল ক্যারিশমা’ অব্যাহত। পিঙ্ক বল টেস্টে অক্ষরের স্পিন ভেল্কিতেই অসহায় আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় ইংরেজরা। দুই ইনিংস মিলিয়ে একাই তুলে নেন প্রতিপক্ষের অর্ধেকের বেশি উইকেট। প্রথম ইনিংসে পেয়েছিলেন ছয়টি। আর দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে গড়েছেন একের পর এক রেকর্ড। সবমিলিয়ে দিন রাতের টেস্টে ৭০ রান দিয়ে ১১ উইকেট নিয়েছেন অ্যাক্সি। গােলাপি বলের টেস্ট ম্যাচে যা এখনও পর্যন্ত সর্বকালের সেরা বােলিং পারফরম্যান্স। টেস্ট কেরিয়ারের গােড়াতেই যে ঝলক তিনি দেখলেন, তা সত্যিই চমকপ্রদ।