থেরাপি ও অন্দরসজ্জাই মনের ওষুধ

মানসিক শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখতে ঘরের ভিতরের সাজকে গুরুত্ব দিতে হবে। তেমনই উপযুক্ত থেরাপি বেছে নেওয়ারও কোনও বিকল্প হয় না। জানাচ্ছেন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট ডাঃ ড্যানিয়েল গ্লেজার এবং বিশিষ্ট ইন্টিরিয়র ডিজাইনার রিয়ান ম্যাক ডোনাফ। লিখেছেন রূপাঞ্জনা দত্ত।

জীবনে এমন কিছু সময় আসে যখন মন খানিকটা নিচু তারে বাঁধা থাকে, মানসিক চাপও সে সময় সহজেই থাবা বসায়। বিশেষ করে মহামারীর জী পর থেকে শরীরের সঙ্গে মনের যত্ন নেওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। মার্কিন মুলুকে ইউকে থেরাপি রুম সদ্য একটি সমীক্ষা প্রকাশ্যে এনেছে। তাতে প্রকাশিত, করোনার পরে জীবনযাত্রার ব্যয় সঙ্কট

তামাম বিশ্ববাসীর মানসিক স্বাস্থ্যে ছাপ ফেলছে। মার্কিন মুলুকে ২০১৯-এর জানুয়ারি থেকে ২০২৩-এর জানুয়ারি পর্যন্ত, মোট দু’বছরে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সাহায্য চাইতে আসা মানুষের অঙ্ক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২১.৯৫ শতাংশ। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও সংখ্যাটা প্রায় এমনই। এমনকী, অফিসকাছারিগুলোতেও মানসিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। গত ১ বছরে কর্মীদের মুখে বারেবারেই মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে উদ্বেগ ও আলোচনা নজরে এসেছে প্রায় ৪৩ শতাংশ নিয়োগকর্তার।

বিজ্ঞানীদের মতে, এতকাল মানসিক রোগ শরীরের যতটা ক্ষতি করতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল, মহামারীর পরে তার চেয়েও বেশি পরিমাণে ক্ষতি করছে। বাইপোলার ডিজঅর্ডার, ডিপ্রেশন, উদ্বেগের মতো সমস্যা রোগীর শরীরের বয়স তাঁদের কালানুক্রমিক বয়সের তুলনায় প্রায় ২ বছর বাড়িয়ে দিতে সক্ষম বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার মানুষের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে কিংস কলেজ অব লন্ডনের গবেষকরা বার্ধক্যজনিত মার্কারগুলি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছিলেন। এই মার্কারগুলি মানসিক রোগের ইতিহাসের সঙ্গে কীভাবে জড়িত, সেই বিষয়ে গবেষণা চালান। এই গবেষকদলের প্রধান অ্যানিউরোসায়েন্টিস্ট ডঃ জুলিয়ান মুজ দাবি করেছেন, গবেষণালব্ধ ফলগুলি আংশিক ব্যাখ্যা করলে বোঝা যায়, মানসিক রোগ আয়ুক্ষয়

করে ও রোগীর শারীরিক বয়সকেও বেশ কয়েক বছর বাড়িয়ে দেয়। যদিও আজ সারা বিশ্ব জুড়েই মানসিক সমস্যাগ্রস্তদের দিকে সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য নানা থেরাপিস্ট, ক্লিনিক, অনলাইন সংস্থা ও চিকিৎসক রয়েছে। নানা রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারও তৈরি হয়েছে। তাই মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সাহায্য চাওয়ার বিষয়ে লজ্জার আগল ভাঙতে হবে।