
অ্যাজমা বা হাঁপানি কী? মানবদেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল ফুসফুস। আমরা যে শ্বাসগ্রহণ করি, তা শ্বাসনালীর মধ্য দিয়ে ফুসফুসে পৌঁছয়। কোনও কারণে শ্বাসনালীতে শ্লেষ্মা জমলে বা স্নায়ুর দুর্বলতার জন্য শ্বাসনালী স্বাভাবিকভাবে প্রসারিত হতে পারে না। এই কারণে নির্দিষ্ট নিয়মে শ্বাসগ্রহণ ও ত্যাগ করা সম্ভব হয় না। নিঃশ্বাস ও প্রশ্বাস প্রক্রিয়ায় কষ্ট হয়, বুকে টান লাগে। এই অবস্থাকেই অ্যাজমা বলা হয়। অ্যাজমার সমস্যা ভীষণ বেড়ে গেলে ব্রংকাইটিস হওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে।
অ্যাজমা কত প্রকার? অ্যাজমা সাধারণত তিন প্রকার। ↑ । ১. কার্ডিয়াক অ্যাজমা: সারা দেহে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত প্রেরণ করার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে হৃদপিণ্ড। হার্ট যখন তার স্বাভাবিক রক্ত সংবহন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে (হার্ট ব্লকেজ, হৃদযন্ত্রে সমস্যা) তখন দেহে অক্সিজেনের অভাব দেখা যায়। এর ফলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা, কার্ডিয়াক অ্যাজমা হয়ে থাকে।
ব্রংকিয়ল অ্যাজমা: ফুসফুসে প্রচুর পরিমাণে ক্ষুদ্র অ্যালভিওলাই থাকে। বিশুদ্ধ রক্ত হৃদপিণ্ডে পাঠাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে অ্যালভিওলাই। এগুলিতে যদি কোনও কারণে সর্দি বা কফ জমলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর ফলে ব্রংকিয়ল অ্যাজমা হতে পারে। অ্যালার্জিক অ্যাজমা: দূষণ অ্যালার্জির মূল কারণ। পাশাপাশি অনেকের ফুলের পরাগ, পালিত পশু, খাবার, ধুলোবালি, স্যাঁতস্যাঁতে জায়গা— ইত্যাদি নানান কারণে অ্যালার্জি হতে পারে। অ্যালার্জির সমস্যা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গেলে হলে শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমাও হতে পাবে।
শীতের সময় শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়ে কেন? ঋতু পরিবর্তন ও শীতের সময় আদ্রতা থাকে না বললেই চলে। শুষ্ক আবহাওয়া থাকে। প্রচুর ধুলিকণা থাকে বাতাসে। এর ফলে জীবানু সংক্রমণ বাড়ে। চট করে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। যাঁদের ডাস্ট অ্যালার্জি থাকে, তাঁদের সমস্যা বেড়ে যায়। এই সব কারণে শীতকালে অ্যাজমার সমস্যা বেশি দেখা দেয়।
Esta historia es de la edición November 2023 de Sarir O Sasthya.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor ? Conectar
Esta historia es de la edición November 2023 de Sarir O Sasthya.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor? Conectar

মাইগ্রেনের সমাধান
মাথা যন্ত্রণার এই রোগ একপ্রকার দুর্বিষহ। লক্ষণ ও প্রতিকার কী? পরামর্শে বিশিষ্ট নিউরোলজিস্ট ডাঃ তৃষিতানন্দ রায়।

কীভাবে জব্দ কোলেস্টেরল?
পরামর্শে মণিপাল হাসপাতালের কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ সৌম্যকান্তি দত্ত।

অনিদ্রা থেকে মুক্তির উপায় কী?
পরামর্শে রুবি জেনারেল হাসপাতালের সাইকিয়াট্রিস্ট ডাঃ শিলাদিত্য মুখোপাধ্যায়।

আয়ুর্বেদিক দাওয়াই
পরামর্শে ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্রাজুয়েট আয়ুর্বেদিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের প্রাক্তন অধ্যাপক ডাঃ প্রদ্যোৎবিকাশ কর মহাপাত্র।

বাঙালির ১০ রোগে হোমিওপ্যাথি
পরামর্শে বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ রথীন চক্রবর্তী।

হাত কাঁপছে কেন?
কেবল প্রবীণদের নয়। তরুণরাও জর্জরিত হাত কাঁপার সমস্যায়। কেন কাঁপে হাত? আলোচনা করলেন বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সের চিকিৎসক ডাঃ অর্পণ দত্ত।

পা ফোলা থেকে মুক্তি
পরামর্শে বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুকুমার মুখোপাধ্যায়।

আয়রন
আয়রন আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য, কারণ এটি হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে এবং রক্তে অক্সিজেন পরিবহণ নিশ্চিত করে। আয়রনের ঘাটতি ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, চুল পড়া, হাত-পা ঠান্ডা হওয়া এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আয়রনসমৃদ্ধ খাবার রাখা জরুরি, যেমন পালং শাক, মসুর ডাল, ডিম, গুড়, বাদাম, মাছ ও মাংস। গর্ভবতী নারীদের পর্যাপ্ত আয়রন গ্রহণ করা আরও গুরুত্বপূর্ণ, যাতে শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে আয়রনের অভাব দেখা দিতে পারে, তাই খাদ্যাভ্যাসে সচেতনতা আবশ্যক।

টেনশন
টেনশন কি খারাপ? নাকি একটু আধটু টেনশন থাকা ভালো? কী করলে মিলবে অ্যাংজাইটি থেকে মুক্তি? পরামর্শে সাইকোলজিস্ট ডঃ রূপ কল্যাণ। F

ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে করবেন কী?
হাঁটু ফুলতে শুরু করেছে এমন অবস্থায় দরকার পড়লে হাঁটু থেকে ফ্লুইড বের করে পরীক্ষা করেও দেখা যেতে পারে যে ওই ফ্লুইডে ইউরিক অ্যাসিডের ক্রিস্টাল আছে কি না।