রোগ মোকাবিলায় শাক-পাতার গুণাগুণ

পুঁইশাক প্রোটিন, আয়রন, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন সি ও ফাইবার সমৃদ্ধ, যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি হজমশক্তি বাড়িয়ে ওজন কমাতে সহায়ক এবং রক্তের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

- শম্পা চক্রবর্তী

যুগ যুগ ধরে নানা রোগবালাইয়ের মোকাবিলার জন্য মানুষ প্রকৃতির বুকে ছড়িয়ে থাকা অগণিত শাকপাতার মতো সবুজ সম্পদের ওপরেই নির্ভর করেছে। সুষম আহারের এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান নানা ধরনের পাতা জাতীয় শাক। ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন সি, বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিনকে, ডায়েটারি ফাইবার ইত্যাদি বিভিন্ন অত্যাবশ্যক পুষ্টি উপাদানের পাশাপাশি লাইকোপিন, লিউটিন, জি-জ্যানথিন, ফ্ল্যাভোনয়েডস ও বিভিন্ন ধরনের ফেনলিক অ্যাসিডের মতো গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের গুণে সমৃদ্ধ বিভিন্ন ধরনের শাক। আবার লাল নটে শাকে অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের পাশাপাশি ক্রোমোপ্লাস্ট নামক এক বিশেষ প্রাকৃতিক রঞ্জক পদার্থ থাকায় এই শাকের রং এমন টকটকে লাল।

বিভিন্ন অসুখ বিসুখ প্রতিরোধের পাশাপাশি সুস্থ থাকার জন্য শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেরই খাদ্য তালিকায় শাক পাতার অন্তর্ভুক্তি করা অত্যন্ত জরুরি। বেশিরভাগ শাকেই ক্যালোরির পরিমাণ অত্যন্ত কম এবং ডায়েটারি ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় ওবেসিটি, ডায়াবেটিস, হাইপার লিপিডেমিয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী। আবার অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস সমৃদ্ধ হওয়ায় ক্যান্সার থেকে স্নায়ুর অসুখ বা সংক্রমণ প্রতিরোধ থেকে চিরসবুজ রাখতেও সাহায্য করে সবুজ শাক। তবে ডায়েরিয়া, বমি, কিডনির অসুখ ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের শাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকে।

৫৯) পুঁইশাক: কথাতেই বলে মাছের সেরা রুই, শাকের সেরা পুঁই, সে চিংড়ি মাছ দিয়ে হোক বা মাছের মাথা দিয়েই হোক, পুঁই-কুমড়োর স্বাদ জাস্ট ফাটাফাটি। অসাধারণ সুস্বাদু এই শাক প্রাচীন গ্রামবাংলার কাব্য সাহিত্যেও সগৌরবে স্থান করে নিয়েছে। শুধু যে অতিসুস্বাদু তাইই নয় পাশাপাশি প্রোটিন, আয়রন, ক্যালশিয়াম, ক্যারোটিনয়েডস, ভিটামিন-সি, ডায়েটারি ফাইবার সহ বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজদ্রব্যে ভরপুর এই পুঁইশাক বহু অসুখবিসুখ প্রতিরোধ ও নিরাময়ে সাহায্য করে।