ত্রিপুরা আমায় টানে। ছোট্ট এই রাজ্যে কত কিছু যে দেখার আছে! প্রতিবারই গিয়েছি কোনও-না-কোনও অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানের পর বেরিয়ে পড়া! ভ্রমণ-আনন্দ লাভ! শেষ গিয়েছিলাম ক'মাস আগে, রবীন্দ্র পরিষদের সাহিত্য উৎসবের উদ্বোধনে। একযোগে একাধিক মঞ্চে সাত দিন ব্যাপী অনুষ্ঠান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়েছিল আগরতলার সুকান্ত অ্যাকাডেমিতে। অনুষ্ঠানের শেষে ঠিক হয়, পরের দিন যাব ডম্বুরে। ত্রিপুরার কয়েক জন সাহিত্য-প্রিয় মানুষের কাছে ডম্বুরের গল্প শুনে উচ্ছ্বাস দেখিয়েছিলাম, তাঁরা যে তৎক্ষণাৎ আয়োজন করে ফেলবেন, গাড়িটাড়ি জোগাড় হয়ে যাবে, আমার ভ্রমণসঙ্গী হবেন, সত্যিই তা ভাবতে পারিনি। আমার উড়ান টিকিট একদিন পরের, তাই পরের দিনই সকালে বেরনো ঠিক হয়। ত্রিপুরার মানুষজন বড় আন্তরিক, কী সুন্দর ওপার বঙ্গের ভাষায় কথা বলেন ! এই বাঙাল-সন্তান তেমন করে কথা বলতে হাজার চেষ্টা করেও পারবে না। ত্রিপুরায় গেলেই এই অক্ষমতা আমাকে পীড়া দেয়।
আগরতলা থেকে অনেক দূর, পাহাড় ডম্বুর পৌঁছতে হবে। ডিঙিয়ে সড়কপথ-জলপথ পেরিয়ে নারকেলকুঞ্জ। আমাদের ওখানে রাত্রিযাপনের পরিকল্পনা নেই। ঘোরাঘুরি সেরে বেলা পড়ে আসার আগেই বেরিয়ে পড়তে চাই। যাওয়ার আগের সেই রাতে যাবতীয় পরিকল্পনা হয়ে যায়। পরের দিন সাতটা বাজতে না বাজতে রতন আচার্য, টিঙ্কুরঞ্জন দাশরা গাড়ি নিয়ে হাজির হয়ে যান। আসার আগে অবশ্য কয়েক বার ফোনাফুনি হয়েছে, ‘স্নানটান হয়েছে তো, রেডি নিশ্চয়ই,' এই রকম কত জিজ্ঞাস্য!
বছর কুড়ি আগে যে-আগরতলা দেখেছি, সে আগরতলার সঙ্গে আজকের আগরতলা আর মেলানো যায় না। অনেক আবাসন হয়েছে, শপিংমল হয়েছে। শহরের সেই চাকচিক্য আর পরিবর্তন দেখতে দেখতে আমরা এগিয়ে যাই সিপাহিজলা-বিশালগড়মাতাবাড়ি পেরিয়ে উদয়পুরের দিকে। রবীন্দ্রনাথের 'বিসর্জন' নাটকের সেই ভুবনেশ্বরী মন্দির বা মাতাবাড়ির ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের কাছাকাছি রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে অনেক পুরনো কথা মনে পড়ছিল। সিপাহিজলা পেরিয়ে আসার সময় বারবার মনে পড়ছিল, চশমা-বাঁদরের কথা। চোখের চারপাশে এমন সাদা দাগ যে, দেখলেই মনে হবে চশমা পরেছে বুঝি! মাতাবাড়ি-সংলগ্ন পুকুরের মাছ-কচ্ছপদেরও মনে পড়ে গেল। স্বচ্ছ জলে ওদের স্পষ্ট দেখা যায়। ভয়ডর নেই, একটু মুড়ি ছিটিয়ে দিলেই একদম কাছে চলে আসে।
Esta historia es de la edición September - October 2024 de Bhraman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor ? Conectar
Esta historia es de la edición September - October 2024 de Bhraman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor? Conectar
জয়পুর হয়ে ভানগড় মনোহরপুর সরিস্কা
রাজস্থানের জয়পুরে ঘোরাঘুরি খাওয়াদাওয়া সেরে ভূতুড়ে দুর্গ ভানগড় দেখে সরিস্কা অরণ্য। ভানগড় থেকে সরিস্কার পথে মনোহরপুরের বাড়োদিয়া গ্রামে এক মনোরম নিশিযাপন।
শিবখোলার তীরে লিঝিপুর
কার্শিয়াং থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে লিঝিপুরে এসে গোটাদিন কাটিয়ে যেতে পারেন। যাঁরা শিবখোলার ধারে লিঝিপুরে একটা রাত কাটাতে চান, তাঁরা নদীর ধারে বসে একবেলা পিকনিকও করতে পারেন।
নাচুনে হরিণের দেশে
চিরকালের শান্তির রাজ্য মণিপুর ঢেকে গেছিল অশান্তির কালো মেঘে। এখন সেই মেঘ কেটে ধীরে ধীরে শান্তির আলো ফিরছে ক্রমশ। তবে সব জায়গা পর্যটকের জন্য উন্মুক্ত হয়নি এখনও। এই অগস্টের ভ্রমণকথা ।
বরাক উপত্যকার বনবাদাড়ে
দক্ষিণ আসামের বরাক উপত্যকার করিমগঞ্জ জেলার দসদেওয়া গ্রাম ও তার আশপাশের জঙ্গলে পাখপাখালির ভরা সংসার। পর্যটনের পরিকাঠামো গ্রামে সেভাবে গড়ে ওঠেনি, তাই পাখি আর প্রকৃতির সৌন্দর্যের টানে যাঁরা আর সব অসুবিধা তুচ্ছ মানেন, শুধু তাঁরাই যাবেন এই আরণ্যক গ্রাম ভ্রমণে।
জামনগর
শীতের জামনগর এক বিস্ময়নগরী। একদিকে রমরমিয়ে চলছে শিল্পতালুকের কর্মকাণ্ড, অন্যদিকে একের পর এক জলাভূমি অতিথি পাখিদের ভিড়ে যেন নন্দনকানন ।
তিন সংস্কৃতি-স্পর্শী স্পেনের টলেডো
সকাল সাতটায় বেরিয়েছি, ভোরের আলো তখনও ফোটেনি। বড়দিনের ছুটিতে আধঘুমে থাকা মাদ্রিদের শুনশান রাস্তা যেন হলিউডের মার্ডার মিস্ট্রি সিনেমার সেট। লাজ-মাদ্রিদ গেস্ট হাউস থেকে বড় রাস্তায় এসে বাসের পিক-আপ পয়েন্ট খুঁজলাম। টলেডো ট্যুরে আমাদের সঙ্গী দিল্লির এক ভারতীয় পরিবার। বাস ছাড়ল মাদ্রিদ থেকে, টলেডোর দিকে। পাহাড়, নদী আর ইতিহাসে মোড়া শহরটিতে পৌঁছে দেখি ইউনেস্কোর স্বীকৃত প্রাচীন নিদর্শন। সংকীর্ণ রাস্তা, সিনাগগ, ক্যাথিড্রাল আর এল গ্রেকোর শিল্পকর্ম—টলেডো যেন ইতিহাসের এক জীবন্ত জাদুঘর।
তাইগা ফ্লাইক্যাচার
তাইগা ফ্লাইক্যাচার (Taiga Flycatcher), বৈজ্ঞানিক নাম Ficedula albicilla, একটি শীতকালীন পরিযায়ী পাখি, যা মূলত ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্ব, মধ্য এবং উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে দেখা যায়। এরা ঝোপঝাড়, চাষের জমি ও ছোট গাছপালার আশেপাশে বিচরণ করে। পাখিটির গড় দৈর্ঘ্য ১১-১২ সেন্টিমিটার। প্রজননকালে পুরুষ পাখিটির গলার গেরুয়া কমলা রঙ খুব উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। স্ত্রী পাখি এবং প্রথম বছরের পুরুষ পাখির রং অপেক্ষাকৃত হালকা। এদের প্রধান খাদ্য পোকামাকড়, যা তারা মাটি, গাছ বা শূন্য থেকে শিকার করে। লেখা ও ছবি: সৌম্যজিৎ বিশ্বাস
শাতের মেলা-পার্বণ
গুজরাত পর্যটন বিভাগ প্রতি বছর রণ উৎসব বা হোয়াইট ডেজার্ট ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে। কচ্ছ জেলার ধরদো গ্রামে এই উৎসব হয়। বিশেষ করে পূর্ণিমার রাতে সাদা মরুভূমির অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটকের ভিড় বেড়ে যায়। বিলাসবহুল তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা এবং গুজরাতি লোকনৃত্য, লোকসংগীত, চিত্রকলা ও প্রাদেশিক খাবারের সমারোহ এই উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ।
শীতের দিনে সপ্তাশেষে
/ গোবর্ধনপুর / গোপালপুর / আদিত্যপুর / পুরুলিয়ার টিকড়টাঁড়ের আড়াল কানালি /কুকি ড্যাম /জাজাহাতু /মাছকান্দা ঝরনা
তুষারচিতার খোঁজে শীতের স্পিতি উপত্যকায়
শীতে খাবারের খোঁজে স্নো-লেপার্ডরা নেমে আসে হিমাচলের স্পিতি উপত্যকায়। বরফজমা উপত্যকায় এ-সময় আরও নানা বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের অভিজ্ঞতা।