গোবর্ধনপুর সুন্দরবনের পাথরপ্রতিমা ব্লকের একটি গ্রাম-পঞ্চায়েত জি প্লট। জি প্লটের একটি গ্রাম, গোবর্ধনপুর— দক্ষিণবঙ্গে বাংলাদেশের দিকে ভারতের শেষ জনপদ। ঝাউ, নারকেল আর ম্যানগ্রোভে ছাওয়া গ্রাম। প্রচুর মিষ্টি জলের পুকুর, পুকুরে মাছ-চোরা মাছরাঙা আর পানকৌড়ি, সারাদিন বঙ্গোপসাগরের নোনা হাওয়া আর অফুরান ঢেউয়ের আনাগোনা, কাঁচা-পাকা বাড়ি, সাইক্লোন রিলিফ সেন্টার, অনেক ঝড়ঝঞ্ঝা সামলে মানুষের বসবাস। সমুদ্রের অবিরাম ঢেউয়ের শব্দ শোনা যায়, তার সঙ্গে মিশে যায় সরু খাঁড়ির ধারে মোটরচালিত নৌকো মেরামতির শব্দ।
লাঞ্চ সেরে গ্রামের পথ ধরে চলে আসুন গোবর্ধনপুর সৈকতে। সৈকতে প্রবেশের মুখে চা-কফির দোকান। স্থানীয় মানুষজন ছাড়া সৈকতে কেউ নেই। আয়লার ক্ষতচিহ্ন আজও চোখে পড়বে। পাতলা হয়ে আসা ঝাউবন আর সাগরের ঢেউয়ের আসা-যাওয়ার মাঝেই দিগন্তে লাল আভা ছড়িয়ে ঝুপ করে সূর্য ডুবে যাওয়ার দৃশ্য মনে দাগ কেটে যাবে।
বঙ্গোপসাগর প্রায় চক্রাকারে ঘিরে রেখেছে গোবর্ধনপুর গ্রামকে। সন্ধে নামতে গোটা গ্রাম ঝিঁঝিপোকা আর জোনাকির দখলে চলে যায়। বাড়ি বাড়ি তুলসিমঞ্চে জ্বলে ওঠে সাঁঝের প্রদীপ, শোনা যায় শঙ্খধ্বনি।
পরদিন ভোরে উঁচু বাঁধের উপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মিনিট দশেকে ফের চলে যান সমুদ্রের সান্নিধ্যে। বাঁধের একদিকে গ্রাম, আরেক দিকে বঙ্গোপসাগর। দূরে অশান্ত সমুদ্রের মাঝে জঙ্গলময় ও জনহীন দুই দ্বীপ— লোথিয়ান ও ধোঞ্চি। কিছু দূরে বাংলাদেশ সীমান্ত।
গোবর্ধনপুর থেকেই ঘুরে নিতে পারেন বনি ক্যাম্প ও কলসদ্বীপ। বুড়াবুড়ির তটের কাছে, বিশ্বজিৎ সাহুর সংগ্রহশালাটি অবশ্যই দেখবেন। পঁচিশ বছর ধরে সুন্দরবনের নানা প্রান্ত থেকে অমূল্য সব প্রত্নসামগ্রী সংগ্রহ করেছেন ভদ্রলোক। দেখতে পাবেন কোরাল, প্রাচীন মানুষের ব্যবহৃত মাটির বাসনপত্র, জীবাশ্ম। গোবর্ধনপুরে থাকার একমাত্র ঠিকানা, ঝাউমন। কাকদ্বীপ থেকে পাথরপ্রতিমার গোবর্ধনপুরে আসা ও ফিরে যাওয়ার পথে মোটরচালিত বোট প্রায় এক ঘণ্টার জলযাত্রায় নদীর দু'পাড়ে অনেক গ্রাম ও ঘাট ছুঁয়ে যাবে। নদীর নাম জগদ্দল। একাধিক নদী এসে সেই নদীতে মিশেছে।
Esta historia es de la edición December 2024 de Bhraman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor ? Conectar
Esta historia es de la edición December 2024 de Bhraman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor? Conectar
শাতের মেলা-পার্বণ
গুজরাত পর্যটন বিভাগ প্রতি বছর রণ উৎসব বা হোয়াইট ডেজার্ট ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে। কচ্ছ জেলার ধরদো গ্রামে এই উৎসব হয়। বিশেষ করে পূর্ণিমার রাতে সাদা মরুভূমির অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটকের ভিড় বেড়ে যায়। বিলাসবহুল তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা এবং গুজরাতি লোকনৃত্য, লোকসংগীত, চিত্রকলা ও প্রাদেশিক খাবারের সমারোহ এই উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ।
শীতের দিনে সপ্তাশেষে
/ গোবর্ধনপুর / গোপালপুর / আদিত্যপুর / পুরুলিয়ার টিকড়টাঁড়ের আড়াল কানালি /কুকি ড্যাম /জাজাহাতু /মাছকান্দা ঝরনা
তুষারচিতার খোঁজে শীতের স্পিতি উপত্যকায়
শীতে খাবারের খোঁজে স্নো-লেপার্ডরা নেমে আসে হিমাচলের স্পিতি উপত্যকায়। বরফজমা উপত্যকায় এ-সময় আরও নানা বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের অভিজ্ঞতা।
শীতে সাত সমুদ্রে
/কারোয়ার / দেববাগ / মাইপাড়ু /কোভালম / ভারকালা / লাক্ষাদ্বীপ / হ্যাভলক
ওরিয়া উৎসবে ওয়াক্কা
শীতের শেষে অরুণাচলের অচিন গ্রাম ওয়াক্কা মেতে ওঠে ওরিয়া উৎসবে। এবারের ওরিয়া উৎসব ১৬ ফেব্রুয়ারি।
শীতের কাজিরাঙা
কাজিরাঙার রোমাঞ্চময় জঙ্গলে মিঠে রোদে ঠান্ডা হাওয়ায় অপরূপ নিসর্গের মাঝে গন্ডার, হুলক গিবন, বাঘ, হাতি, বুনো মহিষ আর অসংখ্য পাখি দেখার আনন্দ পেতে চাইলে যেতে হবে শীতেই। মস্ত বড় এলিফ্যান্ট গ্রাসের আড়ালে হাতিও তখন ঢাকা পড়ে যায়।
শীতের কাশ্মীরে সাধনা টপ
শীতেই চলুন শীতের দেশে। শীতের আনন্দ সেখানেই। শীতের কাশ্মীরে চেনা পথে যদি বরফ না পান, চলে যেতে পারেন অল্পচেনা সাধনা টপে।
শীতের পাখি দেখতে কুমায়ুন থেকে গাড়োয়াল
গাড়োয়াল আর কুমায়ুন পাহাড় এমনিতেই হিমালয়ের পাখিদের স্বর্গরাজ্য। শীতে বেশি উচ্চতার পাখিরাও নেমে আসে সাততাল, মানিলা, মকুমঠ, চোপতা, তুঙ্গনাথে। শীতের পাহাড় পাখি-দেখিয়েদেরও স্বর্গ।
জিঞ্জি দুর্গ দেখে পিছাভরম
জেনে রাখুন পিছাভরমে সংকীর্ণ খাঁড়ির মধ্যে প্রবেশ করতে চাইলে এবং গহীন অরণ্যের স্বাদ নিতে হলে হাতে দাঁড় টানা ছোট নৌকা সবচেয়ে উপযোগী। এটি অনেকটা ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। বড় নৌকার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। /৪৫ মিনিটের জন্য চারজনের ক্ষেত্রে ছোট দাঁড় টানা নৌকার খরচ ৪০০ টাকা এবং ৮ জনের মোটর বোটে টিকিট মূল্য ৮০০ টাকা। / কাদিয়াম্পালয়াম গ্রাম থেকে প্রাইভেট ফিশিং বোটে নৌসফর করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন: আনবো ৯৭৮৬৭-৬7287
জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের গ্রামে গ্রামে
সবুজ চা-বাগানে ঘেরা নিস্তরঙ্গ গ্রাম, ফলে ভরা কমলালেবু বাগান, বৃষ্টি ধোয়া আকাশে হেসে ওঠা কাঞ্চনজঙ্ঘা, ডিসেম্বরের জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের ভ্রমণকথা।