এবছর জানুয়ারির শুরুতেই আসামের কাজিরাঙায় যাওয়ার সুযোগ ঘটে গেল। | কলকাতা থেকে ঊষাকালের উড়ানে চললাম গুয়াহাটি। গুয়াহাটি থেকে গাড়িতে কাজিরাঙা পাঁচ ঘণ্টা। সাতাশ নম্বর জাতীয় সড়ক গিয়েছে গুয়াহাটি থেকে কাজিরাঙায়। শীতের সকাল, হালকা ঠান্ডা। রাস্তার দু'পাশ সবুজে মনোরম। গ্রামগুলোর ঘুম ভাঙছে।
কাজিরাঙার জঙ্গলে চলেছি, শিরোদেশে যার বহু খেতাবের পালক। ১৯৫০ সালে কাজিরাঙার জঙ্গলকে ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি ঘোষণা করা হয়। ১৯৭৪-এ এটি জাতীয় উদ্যানে উন্নীত হয়। ১৯৮৫-তে ইউনেস্কো কাজিরাঙাকে বিশ্ব-ঐতিহ্যস্থল ঘোষণা করে। ২০০৭-এ কাজিরাঙা হয়ে ওঠে বাঘের জন্য সংরক্ষিত বন।
কাজিরাঙার কাছাকাছি পৌঁছতেই রাস্তার ধারের জঙ্গলে হুলক গিবনের দেখা পেলাম। ৬০ থেকে ৯০ সেন্টিমিটার লম্বা হুলকদের ওজন ৬ থেকে ৯ কেজি। পুরুষ আর মেয়ে হুলকদের চেনা যায় রঙের পার্থক্যে। পুরুষদের কালো মুখে চোখে পড়ার মতো সাদা ভ্রু, মেয়েদের ধূসর-বাদামি পশম, বুক এবং ঘাড়ে গাঢ় বাদামি। মেয়ে হুলকদের চোখ আর মুখের চারপাশে সাদা রিংও থাকে, যার ফলে মনে হয় তারা যেন মুখোশ পরে আছে। হুলকরা থাকে দুই-তিন সদস্যের পরিবারে আর লম্বা হাতে এক ডাল থেকে অন্য ডালে চরে বেড়ায়। কয়েকটি সোনালি লোমের ক্যাপড লাঙুরকেও দেখলাম ঘুরতে ফিরতে।
হোটেল অরণ্যতে উঠলাম। সরকার পরিচালিত এই হোটেল বেশ বড় খোলামেলা জায়গা নিয়ে তৈরি। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের গেট অরণ্য হোটেলের খুব কাছে। এঁরা জিপ ও হাতি সাফারির ব্যবস্থা করে দেন। হোটেলের নিজেদের রেস্তোরাঁর খাবার ভালো, তবে জন’স কিচেন আমার বেশি পছন্দের জায়গা হয়ে উঠল। মোটরবাইক আর রোড ট্রিপ থিমে সাজানো এই ক্যাফের ভিতরটা বেশ আকর্ষণীয় আর এখানকার চিনা পদও বেশ সুস্বাদু। এখানে এলে চৌরান এহেম রেস্তোরাঁতেও একবার ঢু দেওয়া উচিত। এখানে সাবেকি কাৰ্বি পদ পাবেন। কার্বিরা এই অঞ্চলের প্রাচীনতম পাহাড়ি উপজাতিগুলির অন্যতম। কাজিরাঙা নামটি কার্বিদের ভাষা থেকে এসেছে বলে মনে করা হয়।
আমার হাতে সময় ছিল তিন দিন, অর্থাৎ ছ'টি সাফারি। খোলা জিপে শীতের নরম রোদ্দুর আর ঠান্ডা হাওয়া গায়ে মেখে, ঘন অরণ্যের বুক-চেরা রাস্তায় রোমাঞ্চময় সফরগুলি মনে রয়ে যাবে।
Esta historia es de la edición December 2024 de Bhraman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor ? Conectar
Esta historia es de la edición December 2024 de Bhraman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor? Conectar
শাতের মেলা-পার্বণ
গুজরাত পর্যটন বিভাগ প্রতি বছর রণ উৎসব বা হোয়াইট ডেজার্ট ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে। কচ্ছ জেলার ধরদো গ্রামে এই উৎসব হয়। বিশেষ করে পূর্ণিমার রাতে সাদা মরুভূমির অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটকের ভিড় বেড়ে যায়। বিলাসবহুল তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা এবং গুজরাতি লোকনৃত্য, লোকসংগীত, চিত্রকলা ও প্রাদেশিক খাবারের সমারোহ এই উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ।
শীতের দিনে সপ্তাশেষে
/ গোবর্ধনপুর / গোপালপুর / আদিত্যপুর / পুরুলিয়ার টিকড়টাঁড়ের আড়াল কানালি /কুকি ড্যাম /জাজাহাতু /মাছকান্দা ঝরনা
তুষারচিতার খোঁজে শীতের স্পিতি উপত্যকায়
শীতে খাবারের খোঁজে স্নো-লেপার্ডরা নেমে আসে হিমাচলের স্পিতি উপত্যকায়। বরফজমা উপত্যকায় এ-সময় আরও নানা বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের অভিজ্ঞতা।
শীতে সাত সমুদ্রে
/কারোয়ার / দেববাগ / মাইপাড়ু /কোভালম / ভারকালা / লাক্ষাদ্বীপ / হ্যাভলক
ওরিয়া উৎসবে ওয়াক্কা
শীতের শেষে অরুণাচলের অচিন গ্রাম ওয়াক্কা মেতে ওঠে ওরিয়া উৎসবে। এবারের ওরিয়া উৎসব ১৬ ফেব্রুয়ারি।
শীতের কাজিরাঙা
কাজিরাঙার রোমাঞ্চময় জঙ্গলে মিঠে রোদে ঠান্ডা হাওয়ায় অপরূপ নিসর্গের মাঝে গন্ডার, হুলক গিবন, বাঘ, হাতি, বুনো মহিষ আর অসংখ্য পাখি দেখার আনন্দ পেতে চাইলে যেতে হবে শীতেই। মস্ত বড় এলিফ্যান্ট গ্রাসের আড়ালে হাতিও তখন ঢাকা পড়ে যায়।
শীতের কাশ্মীরে সাধনা টপ
শীতেই চলুন শীতের দেশে। শীতের আনন্দ সেখানেই। শীতের কাশ্মীরে চেনা পথে যদি বরফ না পান, চলে যেতে পারেন অল্পচেনা সাধনা টপে।
শীতের পাখি দেখতে কুমায়ুন থেকে গাড়োয়াল
গাড়োয়াল আর কুমায়ুন পাহাড় এমনিতেই হিমালয়ের পাখিদের স্বর্গরাজ্য। শীতে বেশি উচ্চতার পাখিরাও নেমে আসে সাততাল, মানিলা, মকুমঠ, চোপতা, তুঙ্গনাথে। শীতের পাহাড় পাখি-দেখিয়েদেরও স্বর্গ।
জিঞ্জি দুর্গ দেখে পিছাভরম
জেনে রাখুন পিছাভরমে সংকীর্ণ খাঁড়ির মধ্যে প্রবেশ করতে চাইলে এবং গহীন অরণ্যের স্বাদ নিতে হলে হাতে দাঁড় টানা ছোট নৌকা সবচেয়ে উপযোগী। এটি অনেকটা ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। বড় নৌকার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। /৪৫ মিনিটের জন্য চারজনের ক্ষেত্রে ছোট দাঁড় টানা নৌকার খরচ ৪০০ টাকা এবং ৮ জনের মোটর বোটে টিকিট মূল্য ৮০০ টাকা। / কাদিয়াম্পালয়াম গ্রাম থেকে প্রাইভেট ফিশিং বোটে নৌসফর করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন: আনবো ৯৭৮৬৭-৬7287
জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের গ্রামে গ্রামে
সবুজ চা-বাগানে ঘেরা নিস্তরঙ্গ গ্রাম, ফলে ভরা কমলালেবু বাগান, বৃষ্টি ধোয়া আকাশে হেসে ওঠা কাঞ্চনজঙ্ঘা, ডিসেম্বরের জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের ভ্রমণকথা।