এবছরের শুরুতে তিন দিনের জন্য চললাম মংলাজোড়ি, ভিতরকণিকা আর সিমলিপাল। রাতের বিমানে ভুবনেশ্বরে পৌঁছে রাত্রিবাস। পরদিন ঠিক সকাল ছ'টায় যাত্রা শুরু হল মংলাজোড়ির উদ্দেশে। দু'দিনের জন্য গাড়ি বুক করাই ছিল।
মংলাজোড়ির হাঁস চিলকা হ্রদ লাগোয়া বিশাল জলাজমি, মংলাজোড়ি অসংখ্য পরিযায়ী ও স্থানীয় পাখির আস্তানা। এদের নিরাপত্তা ও সংরক্ষণের জন্য যে-কয়েক জন স্থানীয় মানুষ কাজ করছেন, তাঁদের অন্যতম মধু বেহেরা। ফোনে ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। সকাল সাড়ে সাতটায় পৌঁছে দেখি তিনি নৌকো নিয়ে অপেক্ষা করছেন।
বাতাসে হালকা ঠান্ডা, কুয়াশা কেটে রোদ উঠছে। বোট ছাড়ার জায়গাটা উঁচু বাঁধের পাশে। এক দিকে আঁকাবাঁকা খাল, সেই এলাকাটাতেই ঘোরাঘুরি করতে হবে। অন্য দিকে বিস্তীর্ণ জলাজমি। দু'দিকেই যত দূর চোখ যায়, পাখির মেলা। দূর থেকেই দেখতে পেলাম অসংখ্য কর্মোরান্ট, ইগ্রেট, তিন রকমের হেরন, স্যান্ড পাইপার, ব্ল্যাক-উইংড স্টিলট, প্লোভার, গ্রে-হেডেড সোয়াম্পহেন, জাকানা, হুইসকার্ড টার্ন, রাডি রাডি শেলডাক, পিনটেল ডাক, গাড়ওয়াল, শোভেলার, এশিয়ান ওপেন-বিলড স্টর্ক। বোটের গাইড হাজারিকা বেহেরার পনেরো বছরের পাখি দেখাবার অভিজ্ঞতা। বললেন, এদের ছবি তোলার জন্য সময় নষ্ট করে লাভ নেই। যে পাখিরা দুর্লভ এবং বিরল, তাদের জন্য বেশি সময় দিতে হবে।
জলপথের এক পাশে হোগলা বন, অন্য পাশে ঘাসের জঙ্গল। কোথাও কোথাও কচুরিপানার অবরোধে বোট আটকে যায়। সব জায়গাতেই পাখির উপস্থিতি, শুধু চোখ চালাতে হবে। চার দিকে ছড়িয়ে রাডি-ব্রেস্টেড ক্রেক, কমন স্নাইপ, গ্রেটার-পেন্টেড স্নাইপ, রেড শ্যাংক, ইয়েলো এবং ব্ল্যাক বিটার্ন ব্রোঞ্জ-উইংড, গডউইট, ওয়ার্কলার, সিট্রিন ওয়াগটেল, দু'রকম কিংফিশার। এত পাখি দেখে চাহিদা বেড়ে গেল, হাজারিকাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘মংলাজোড়ির সেই সুন্দর হাঁসটা, যার নাম নব-বিলড ডাক, তার দেখা পাব?' ফেজ্যান্ট-টেইলড জাকানা,
Esta historia es de la edición November 2024 de Bhraman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor ? Conectar
Esta historia es de la edición November 2024 de Bhraman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor? Conectar
জয়পুর হয়ে ভানগড় মনোহরপুর সরিস্কা
রাজস্থানের জয়পুরে ঘোরাঘুরি খাওয়াদাওয়া সেরে ভূতুড়ে দুর্গ ভানগড় দেখে সরিস্কা অরণ্য। ভানগড় থেকে সরিস্কার পথে মনোহরপুরের বাড়োদিয়া গ্রামে এক মনোরম নিশিযাপন।
শিবখোলার তীরে লিঝিপুর
কার্শিয়াং থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে লিঝিপুরে এসে গোটাদিন কাটিয়ে যেতে পারেন। যাঁরা শিবখোলার ধারে লিঝিপুরে একটা রাত কাটাতে চান, তাঁরা নদীর ধারে বসে একবেলা পিকনিকও করতে পারেন।
নাচুনে হরিণের দেশে
চিরকালের শান্তির রাজ্য মণিপুর ঢেকে গেছিল অশান্তির কালো মেঘে। এখন সেই মেঘ কেটে ধীরে ধীরে শান্তির আলো ফিরছে ক্রমশ। তবে সব জায়গা পর্যটকের জন্য উন্মুক্ত হয়নি এখনও। এই অগস্টের ভ্রমণকথা ।
বরাক উপত্যকার বনবাদাড়ে
দক্ষিণ আসামের বরাক উপত্যকার করিমগঞ্জ জেলার দসদেওয়া গ্রাম ও তার আশপাশের জঙ্গলে পাখপাখালির ভরা সংসার। পর্যটনের পরিকাঠামো গ্রামে সেভাবে গড়ে ওঠেনি, তাই পাখি আর প্রকৃতির সৌন্দর্যের টানে যাঁরা আর সব অসুবিধা তুচ্ছ মানেন, শুধু তাঁরাই যাবেন এই আরণ্যক গ্রাম ভ্রমণে।
জামনগর
শীতের জামনগর এক বিস্ময়নগরী। একদিকে রমরমিয়ে চলছে শিল্পতালুকের কর্মকাণ্ড, অন্যদিকে একের পর এক জলাভূমি অতিথি পাখিদের ভিড়ে যেন নন্দনকানন ।
তিন সংস্কৃতি-স্পর্শী স্পেনের টলেডো
সকাল সাতটায় বেরিয়েছি, ভোরের আলো তখনও ফোটেনি। বড়দিনের ছুটিতে আধঘুমে থাকা মাদ্রিদের শুনশান রাস্তা যেন হলিউডের মার্ডার মিস্ট্রি সিনেমার সেট। লাজ-মাদ্রিদ গেস্ট হাউস থেকে বড় রাস্তায় এসে বাসের পিক-আপ পয়েন্ট খুঁজলাম। টলেডো ট্যুরে আমাদের সঙ্গী দিল্লির এক ভারতীয় পরিবার। বাস ছাড়ল মাদ্রিদ থেকে, টলেডোর দিকে। পাহাড়, নদী আর ইতিহাসে মোড়া শহরটিতে পৌঁছে দেখি ইউনেস্কোর স্বীকৃত প্রাচীন নিদর্শন। সংকীর্ণ রাস্তা, সিনাগগ, ক্যাথিড্রাল আর এল গ্রেকোর শিল্পকর্ম—টলেডো যেন ইতিহাসের এক জীবন্ত জাদুঘর।
তাইগা ফ্লাইক্যাচার
তাইগা ফ্লাইক্যাচার (Taiga Flycatcher), বৈজ্ঞানিক নাম Ficedula albicilla, একটি শীতকালীন পরিযায়ী পাখি, যা মূলত ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্ব, মধ্য এবং উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে দেখা যায়। এরা ঝোপঝাড়, চাষের জমি ও ছোট গাছপালার আশেপাশে বিচরণ করে। পাখিটির গড় দৈর্ঘ্য ১১-১২ সেন্টিমিটার। প্রজননকালে পুরুষ পাখিটির গলার গেরুয়া কমলা রঙ খুব উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। স্ত্রী পাখি এবং প্রথম বছরের পুরুষ পাখির রং অপেক্ষাকৃত হালকা। এদের প্রধান খাদ্য পোকামাকড়, যা তারা মাটি, গাছ বা শূন্য থেকে শিকার করে। লেখা ও ছবি: সৌম্যজিৎ বিশ্বাস
শাতের মেলা-পার্বণ
গুজরাত পর্যটন বিভাগ প্রতি বছর রণ উৎসব বা হোয়াইট ডেজার্ট ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে। কচ্ছ জেলার ধরদো গ্রামে এই উৎসব হয়। বিশেষ করে পূর্ণিমার রাতে সাদা মরুভূমির অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটকের ভিড় বেড়ে যায়। বিলাসবহুল তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা এবং গুজরাতি লোকনৃত্য, লোকসংগীত, চিত্রকলা ও প্রাদেশিক খাবারের সমারোহ এই উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ।
শীতের দিনে সপ্তাশেষে
/ গোবর্ধনপুর / গোপালপুর / আদিত্যপুর / পুরুলিয়ার টিকড়টাঁড়ের আড়াল কানালি /কুকি ড্যাম /জাজাহাতু /মাছকান্দা ঝরনা
তুষারচিতার খোঁজে শীতের স্পিতি উপত্যকায়
শীতে খাবারের খোঁজে স্নো-লেপার্ডরা নেমে আসে হিমাচলের স্পিতি উপত্যকায়। বরফজমা উপত্যকায় এ-সময় আরও নানা বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের অভিজ্ঞতা।