CATEGORIES
Categories
মনের মঞ্চ
চারপাশের মানুষদের চূড়ান্ত অসহায়তাকে স্বীকার করেও শিল্পীর ও শিল্পের আশা বাঁচিয়ে রাখার এক প্রয়াস।
দূর পৃথিবীর গন্ধে
রেলস্টেশনে এলে কনকনে শীতের মতাে পুরনাে স্মৃতিভার আচ্ছন্ন করে
এর পরের পথ
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বদল হল। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরে জো বাইডেন ডােনাল্ড ট্রাম্পকে ভােটে হারালেন। ট্রাম্প অবশ্য এখনও হার মানতে অস্বীকার করছেন। বলছেন নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে, সেই অভিযােগ নিয়ে উনি আদালতে যাবেন। সুতরাং আগামী কয়েকমাস জল আরও ঘােলা হবে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট হার স্বীকার না-করলে সম্ভাব্য পরিস্থিতি কী কী হতে পারে সেই বিষয়ে মার্কিন সংবিধান এবং রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মত বিনিময় শুরু করে দিয়েছেন।
স্যার কনারি
বন্ড ইমেজ ছেড়ে বেরতে না-পারলেও অভিনেতা হিসেবে তিনি স্বতন্ত্র।
হিরােশিমা-নাগাসাকি কেন?
আইনস্টাইন অ্যাটম বােমার জনক হলেও জাপানি বিজ্ঞানী হিদেকি ইয়ুকাওয়ার কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন।
বেঞ্চ ভাঙার ভুল পথ
শ্লীল-অশ্লীল আপেক্ষিক। চূড়ান্ত সূত্র কেউই বের করতে পারেনি। আর পারেনি বলেই মানুষ এবং তার সৃষ্টি এখনও এত বৈচিত্রময়।
আমেরিকান আত্মার সন্ধানে
প্রথমেই বলে রাখা ভাল যে আমি সাংবাদিক কিংবা সমাজবিজ্ঞানী নই, নেহাত কপালের ফেরে আমেরিকাবাসী সামান্য একজন ডাক্তার মাত্র। যেহেতু দেশি-বিদেশি নানান কিসিমের অসুখবিসুখ ঘাঁটতে ঘাঁটতেই আমার চুল পেকেছে, তাই empirical observation বা প্রায়ােগিক পর্যবেক্ষণ নামক বস্তুটিও আমার মজ্জাগত। গত তিরিশ বছর ধরে যা দেখেছি যা বুঝেছি, যা কিছু বিশ্বাস করেছি এই ২০২০ সালের নির্বাচনে তার অগ্নিপরীক্ষা হয়ে গেল। সেই অগ্নিকুণ্ড থেকে নতুন যে-সত্যটি মাথা তুলছে, তার দিকে তাকাতেও ভয় হয়। কিন্তু না-তাকানাে মানেও তাে উটপাখির আক্কেল নিয়ে বেঁচে থাকা।
ট্রাম্পপর্বের ইতি
প্রেসিডেন্ট পদে তাঁকে দেখে মােহিত হয়ে আছে তাঁর গুণমুগ্ধ সমর্থকের দল। তারাই আজকের রিপাবলিকান দল। বিদেশনীতিতে তারা কূপমণ্ডুক। বাণিজ্যনীতিতে কট্টর সংরক্ষণশীল। সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিতে তীব্র বর্ণবিদ্বেষী। পারিবারিক জীবনে নারীবিরােধী। ট্রাম্প তাে তাঁদেরই লােক।
অতিন্নিষ্ঠ সুধীন্দ্রপাঠ
আলােচ্য গ্রন্থে ছুঁতে চাওয়া হয়েছে সুধীন্দ্রকাব্যপ্রতীতির মৌল প্রত্যয়ভূমিটিকে।
একটা সীমারেখা থাকা উচিত
সামাজিক মাধ্যমের কোনও দায় নেই। সেখানে কোনও নিউজ এডিটর নেই। সেখানে পবিত্রতা বলে কোনও মেডিসিন নেই।
রূপসি পুকুর
সন্ধের মুখে পাম্পসেটের লােকদের মজুরি মিটিয়ে বিদায় করলেন।
আকাশজুড়ে লক্ষ টিয়াপাখির উড়ান
বাঙালি তার আত্মপরিচয়ে সিলমােহর দেয় দুর্গাপূজার দিনগুলিতে। পাসপাের্টের বিচারে তার জাতিপরিচয় ভারতীয় ছাড়া আর কিছু না-হলেও, তার যে আর-একটি প্রচ্ছন্ন জাতিসত্তা আছে, তা ফুটে ওঠে লন্ডন থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসব্যাপী সর্বত্র পূজার মণ্ডপের ঢাকের বােলে।
প্রশাসন ও একটি মেয়ে
যদি ধরেও নিই যে এই হাথরসের ধর্ষিতা-মৃতার উচ্চবর্ণের সঙ্গে পরিচয় ছিলও, তাহলেও কি ধর্ষণ ঘটতে পারে না?
অন্তঃসলিলা
বারােটা বাজতে চলল, আর একটাও কাস্টমার নেই। প্রথম বিক্রিটাও হয়েছে খুব অল্প টাকার, একটা পেনসেট।
অ-ব্যক্তিগত আলাপচারিতা
দু’টি স্বতন্ত্র মােনােলগে ধরা পড়েছে জীবনের গভীর সত্য। উচ্চারিত শব্দগুলিই যেন এক-একটি চরিত্র।
করােনা-সীমায় মিশ্র মাধ্যম
উত্তর-আধুনিক শিল্পকলার জগতে ফোটোগ্রাফি তার স্থান পাকা করে নিয়েছে।
অভিযােজিত ভালবাসার কাব্য
প্রেমের কোনও সাংবিধানিক সংজ্ঞার্থয় পড়ছে না কবিতাগুলি, কিন্তু তবুও তাকে আমরা প্রেমের কবিতা বলতে বাধ্য।
তেল আভিভ, জেরুসালেম এবং করােনা
হেঁটে যাওয়ার পথের দু'পাশে মনােহর শােভা! সবুজ তৃণভূমি, খর্জুরকুঞ্জ, পল্লবিত পুষ্পিত লতাবিতান... যেন রূপকথার রাজ্য। কিন্তু তারই মধ্যে ঢুকে পড়ল করােনা।
বিদ্যাসাগর ও ধর্মনিরপেক্ষতা
তথাকথিত সভ্যসমাজের প্রতি বিরাগবশত, বিদ্যাসাগর কার্মাটারে আদিবাসী পল্লিতে আশ্রয় নিলেও সমাজসেবা থেকে বিরত হননি।
সমগীত
কাছ থেকেই মিশন স্কুলের প্রার্থনা সংগীত ভেসে আসছে। ছাত্রেরা
প্রসঙ্গ কৃষি বিল ২০২০
নতুন কৃষি-আইন কি অস্তিত্ব সঙ্কটে ফেলবে কৃষকদের? এর প্রভাবে চাষিদের ভূমিহীন হওয়ার আশঙ্কা যে থেকেই যাচ্ছে।
যাঁরা তখন গাঁধীর বিরুদ্ধে ছিলেন
সরকারি মতে আজ মহাত্মা গাঁধীর জন্মের সার্ধশতবর্ষের উদ্যাপনের সমাপ্তি।
তর্কে-প্রতর্কে গাঁধীজি
বিস্ময়কর মানুষ গাঁধীজি। চির-বিতর্কিত অথচ অমর। তাঁর নাম শােনেননি বা তাঁর প্রতিকৃতি দেখে চিনতে পারবেন না এমন লােক পৃথিবীতে কমই আছেন।
ডিসটোপিয়ার অভিজ্ঞতা কি আসন্ন
অতিমারী বিদায়ের পরই কি ফিরে আসবে বিনিয়ােগের জোয়ার? নাকি এক অন্ধকার জগতে তলিয়ে যাব আমরা?
গাঁধীমানস: এক স্বপ্নের অভিযাত্রা
মহাত্মা আমাদের অনেক কিছু দিয়ে গেছেন। যা দিয়েছেন, তার নির্যাসটুকু আমরা হদয়ঙ্গম করতে পারিনি।
গরিব দেশে প্রতীকী অপচয়
ভারতবর্ষ একটি উন্নয়নশীল দেশ। এই যে উন্নয়নের সূচক, তা মাপা হবে কীভাবে?
লকডাউনে মনােরম পুরনাে কাসুন্দি'
ভাইরাসের ত্রাস মেশানাে লকডাউনের এই শরতে আপনাদের মতাে যাঁরা ঘরে পায়চারি করতে করতে বইয়ের আলমারি হাতড়াচ্ছেন, আমি কিন্তু তাঁদের হিংসে করি। কেন?
একেই কি বলে কৃষিসংস্কার?
প্রয়ােজন ফড়ে বা মধ্যস্বত্বভােগীদের প্রভাব কমানাে। মজুতদারির ব্যবস্থা নিয়ে কোনও আপস নয়।
আমাদের যুগে মহাত্মা গাঁধী
আজ থেকে একশাে বছর আগে মহাত্মা গাঁধী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ও ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণ করেছিলেন।
বিদ্যা, শিক্ষা, বিদ্যাসাগর
১৮৫১ সালের গােড়ায় মাত্র তিরিশ বছর বয়সে বিদ্যাসাগর সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। পদটাই নতুন: এতদিন দায়িত্ব সামলাতেন। সচিব ও সহকারী সচিব, দুটো পদ মিলিয়ে এবার একটাই অধ্যক্ষের পদ হল। বিদ্যাসাগর নিজে সহকারী সচিব হয়েছিলেন ১৮৪৬-এর এপ্রিলে। যােগ দেবার কিছুদিনের মধ্যে তিনি কলেজের উন্নতিকল্পে একগুচ্ছ প্রস্তাব পেশ করেন। ফলে বিরােধ বাধে সম্পাদক রসময় দত্তের সঙ্গে, এবং ১৮৪৭-এর জুলাইয়ে তিনি হতাশায় পদত্যাগ করেন, আলুপটল বেচা বা মুদির দোকান চালানাে শ্রেয় মনে করে।