-নেক দিন ধরে প্রিয় ছাত্র বুলান তার ওখানে (কানাডার অ্যালবার্টা প্রভিন্সের ক্যালগেরি) যাওয়ার নিমন্ত্রণ করছিল। তার কথাতেই তাই অ্যালবার্টার দিকে যাত্রা। আমি থাকি আমেরিকার কানেক্টিকাট শহরে। ডিসেম্বর মাস, উত্তর আমেরিকায় শৈত্যপ্রবাহ চলছে। জন এফ কেনেডি এয়ারপোর্ট যাওয়ার পথে দেখলাম সারা রাস্তাই বরফে ঢাকা। আমাদের রুট নিউইয়র্ক, টরন্টো হয়ে ক্যালগেরি। টরন্টো থেকে ক্যালগেরির প্লেনে বসেই দেখলামপ্লেনের সামনের দিকে গরম জল স্প্রে করা হচ্ছে বেশ উঁচু ক্রেনের মতো একটা গাড়ি থেকে। জানলার কাচ বন্ধ থাকায় ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। তবু গোটা ব্যাপারটা দেখেই একটা নতুনত্ব অনুভব করলাম। এত বছর আমেরিকায় রয়েছি, কিন্তু এমন দৃশ্য আগে কখনও দেখিনি। পরে শুনলাম প্রচণ্ড ঠান্ডায় বাতাসের জলীয় বাষ্প বরফ হয়ে জমে যায়। ইঞ্জিনের সব পাখা ঠিকমতো কাজ করাতে গরম জল স্প্রে করে বরফ গলিয়ে দেওয়া হয়। আসলে এমন শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে কখনও এক রাজ্য থেকে অন্যত্র পাড়ি জমাইনি এর আগে, তাই তথাকথিত পরিচিত এই শীতকালীন দৃশ্যটি নতুন লেগেছিল।
তাই হোক, বুলানের বাড়ি গিয়ে কয়েক দিন গল্পগুজব ও ক্রিসমাস পার্টিতে কাটালাম। প্রথম ভ্রমণসূচি আরম্ভ হল ব্রিটিশ কলম্বিয়া দিয়ে। অ্যালবার্টার ক্যালগেরি থেকে গাড়িতে ব্রিটিশ কলম্বিয়া যেতে চার ঘণ্টা লাগল। ব্রিটিশ কলম্বিয়া কানাডার একদম পশ্চিম প্রান্তের রাজ্য। এর দক্ষিণে আমেরিকার ওয়াশিংটন, উত্তর পশ্চিম দিকে আমেরিকার বিখ্যাত শীতলতম রাজ্য ‘আলাস্কা’। ব্রিটিশ কলম্বিয়া কানাডার শীতলতম রাজ্য। রাজধানী ভিক্টোরিয়া, অবস্থান ভ্যানকুভার আইল্যান্ডে। সব মিলিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত একটি রাজ্য। আবহাওয়া সারা বছরই খুব সুন্দর। এখানকার একটা বৈশিষ্ট্য এখানে একদিনে গলফও খেলা যায় আবার স্নো স্কি-ও করা যায়। এটা অন্য রাজ্যে সম্ভব নয়।
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার ওয়াসাতে বুলানের ভিলায় ঢুকতে হয়েছিল হাঁটুসমান বরফের ভিতর পা ডুবিয়ে, বরফ ঠেঙিয়ে তার উপর দিয়ে হেঁটে। ওর ভিলা থেকে হাঁটাপথে ওয়াসা লেক। বুলান জানাল, সামারে শুক্রবার রাতে ওয়াসাতে চলে আসে। ওই সময় লেক জলে ভরা থাকে। ফলে বোটিং করে, সাঁতার কেটে দুটো দিন হইচই করে কাটিয়ে রবিবার রাতে ক্যালগেরি ফিরে যাওয়া যায়।
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
‘উত্তমকুমার দুঃখে কেঁদে ফেলেছিলেন’
মহানায়ক ছিলেন তাঁর বিয়ের বরকর্তা। তাছাড়াও বিভিন্ন ছবিতে নায়ক নায়িকার ভূমিকাতেও দেখা গিয়েছে তাঁদের। তাই তিনি খুবই কাছ থেকে দেখেছেন উত্তমকুমারকে। মজা করতেন, খেপাতেন তবু মহানায়ক কখনও রুষ্ট হননি তাঁর আচরণে। উত্তমকুমারকে নিয়ে নানা ব্যক্তিগত ঘটনার কথা জানালেন মাধবী মুখোপাধ্যায়।
‘প্রতিভাকে ঘষেমেজে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতেন উত্তমদা’
মহানায়কের সঙ্গে তাঁর অভিনীত বহু ছবি দর্শকমনে প্রবল দাগ কেটেছে। সমালোচকরা বলেন, তাঁর মতো অভিনেত্রী সে যুগে আর কেউ ছিল না। স্বয়ং উত্তমকুমারও তাঁকে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বলে স্বীকার করতেন। মহানায়কের প্রসঙ্গ উঠলেই আজও নস্টালজিক হয়ে স্মৃতির ঝাঁপি খোলেন উত্তমকুমারের প্রিয় ‘সাবু’ ওরফে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়।
আমার উত্তমদা
মহানায়ক তাঁকে ভীষণ স্নেহ করতেন। ভাইয়ের মতো দেখতেন। শাসন ও করতেন অভিভাবকের মতোই। প্রথম সাক্ষাতে তবু উত্তমকুমারের সঙ্গে কথা বলার সাহস হয়নি তাঁর। পরবর্তীতে একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে মহানায়কের স্নেহচ্ছায়ায় এসে সমৃদ্ধ হয়েছেন। মহানায়কের জন্মমাসে তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানালেন মিঠুন চক্রবর্তী।
‘একজন বড় মনের মানুষ '
উত্তমকুমারকে ঘিরে তাঁর স্মৃতির অন্ত নেই। মহানায়কের স্নেহ না পেলে নাকি নিজের ফিল্মি কেরিয়ারই গড়ে তোলা হতো না তাঁর। এছাড়া উত্তমকুমারকে নিয়ে পারিবারিক বিভিন্ন গল্পও রয়েছে তাঁর সংগ্রহে। সেইসব কথাই জানালেন বিশ্বজিৎ।
‘গানটা ভীষণ ভালো বুঝতেন '
উত্তমকুমারের নিজের গাওয়া গান পরে রেকর্ড করার সুযোগ পান তিনি। তাঁর পছন্দের সারিতে ‘হিরো' হিসেবে উত্তম-ই সেরা। রেকর্ডিং স্টুডিওয় তাঁর গান শুনে খুব খুশি হয়েছিলেন মহানায়ক। ‘ধন্যি মেয়ে'-র গানের মাঝে সংলাপ কীভাবে বলবেন, তাও হাতেকলমে তাঁকে শিখিয়ে দিয়েছিলেন উত্তম। প্রিয় নায়কের জন্মদিনে স্মৃতিতর্পণে গায়িকা আরতি মুখোপাধ্যায়।
বাংলা ছবির সর্বকালের শ্রেষ্ঠ রোমান্টিক নায়ক
উত্তমকুমারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল সন্তানতুল্য। মেকআপ রুমের আলাপ-আলোচনা থেকে ব্যক্তিগত স্তরে কথাবার্তা সবই হতো তাঁর সঙ্গে। আজও প্রেমের নায়ক বললে ‘উত্তমকাকু’-তেই ভোট পড়ে তাঁর। মহানায়কের স্মৃতিতে অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘দাদার ওই বউঠান ডাকটা আজও আমার কানে বাজে’
উত্তমকুমারের সঙ্গে ছবি করতে গিয়ে তাঁর নতুন নামকরণ হয়েছিল ‘বউঠান’। কাজের সূত্রে খুবই কাছ থেকে দেখেছেন মহানায়ককে। প্রতিভাময়, মানবদরদি, হাসিমুখের মানুষটি আজ যে আর নেই, বিশ্বাস হয় না তাঁর। স্মৃতিচারণায় লিলি চক্রবর্তী।
মহানায়ক আজও কেন অনন্য?
উত্তমকুমার এবং সুচিত্রা সেন। পরদার এই জুটিকে নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই আজও। তাঁদের সম্পর্কটা কীভাবে দেখতেন সুপ্রিয়া দেবী? মহানায়কের অন্য সব নায়িকা যেমন শর্মিলা ঠাকুর, তনুজা, অপর্ণা সেনই বা কী বলেন উত্তমকুমারকে নিয়ে? লিখেছেন সুমন গুপ্ত।
‘যত দিন যাচ্ছে বুঝতে পারছি, কী হারালাম
মহানায়ক ছিলেন তাঁদের শ্বশুরমশাই। পারিবারিক বৃত্তের বাইরে ‘বাবি’কে নিয়ে খুব কম কথা বলেন তাঁরা, অর্থাৎ উত্তমকুমারের দুই পুত্রবধূ সুমনা চ্যাটার্জি এবং মহুয়া চ্যাটার্জি। ভবানীপুরের বাড়ির একতলার ঘরে বসে এক ফুরিয়ে আসা বিকেলে স্মৃতির ঝাঁপি মেলে ধরলেন দুই পুত্রবধূ। যে বাড়ির দেওয়াল, ছাদ, কড়িবরগা আজও উত্তমময়।
'জ্যাজান ছিলেন বটগাছের মতো'
মহানায়ক তাঁদের জ্যাঠামশাই। শ্রদ্ধার, আবদারের, ভালোবাসার ‘জ্যাজান’। চ্যাটার্জি পরিবারের বটবৃক্ষ উত্তমকুমারকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করলেন তাঁর দুই ভাইঝি— বরুণকুমারের কন্যা মৌসুমী দত্ত এবং তরুণকুমারের কন্যা মনামী বন্দ্যোপাধ্যায়।