বহিট করার পর পরই আরকে ব্যানারের কোনও ছবিতে কাজ করার জন্য আমার আগ্রহ খুব বেড়ে যায়। আসলে ছোটবেলা থেকেই রাজ সাহেবের ছবি দেখে আমি ওঁর ফ্যান হয়ে গিয়েছিলাম। একসময় হিন্দি ছবির 'দ্য গোল্ডেন ট্রায়ো' বলতে তিনজনকেই বোঝাত। এঁরা হলেন, দিলীপকুমার, দেবানন্দ এবং রাজ কাপুর। তাঁরাই হিন্দি ছবিকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন। যাই হোক, হিন্দি ছবি ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’তে দেব সাহেব আমাকে একটা মেজর ব্রেক দিলেন। অবশ্য তার আগে 'হালচাল' (ও পি রলহন পরিচালিত) বলে একটা ছবিতে আমি কাজ করেছিলাম। তবে সেটা এমন কিছু উল্লেখযোগ্য নয়।
‘ববি' রিলিজ করেছিল ১৯৭৩ সালে। আর ‘সত্যম শিবম সুন্দরম' এসেছিল আরও পাঁচ বছর পরে, ১৯৭৮-এ। ১৯৭৬-র কথা। এই সময় আমি নায়িকা হিসেবে অনেক হিন্দি ছবিতে কাজ করছি। অসিত সেন পরিচালিত 'ওকিলবাবু’ নামে একটি ছবিতে (১৯৮২ সালে মুক্তি পায়) রাজ সাহেব, শশী কাপুর, আমি, রাকেশ রোশন, অরুণা ইরানি— এরকম সবাই কাজ করছিলাম। মাঝে মাঝে শ্যুটিংয়ের অবসরে রাজ সাহেবের মুখে শুনতাম, তিনি এমন একটি ছবি করতে চান যা সবাইকে চমকে দেবে। সেই ছবির প্রধান চরিত্র রূপা নামের মেয়েটি খুব সুন্দর গান গাইতে পারে। বিশেষ করে ভক্তিগীতি। নারীসৌন্দর্যের শেষ কথা সেই মেয়েটি। তবে একটা দুর্ঘটনায় মেয়েটির মুখের একদিক পুড়ে যায় যা আর ঠিক করা সম্ভব হয়নি। এই মেয়েটির গানের গলা শুনে মুগ্ধ হয়ে তাঁর প্রেমে পড়েন এক পুরুষ। ব্যস এইটুকুই শুনেছিলাম। তখন থেকেই আমার কেন জানি না মনে হচ্ছিল, যদি রাজসাহেব এরকম একটা ছবি করেন, আর তাতে যদি আমায় রূপার চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পাই তাহলে অভিনেত্রী হিসেবে আমার জীবন সার্থক হবে। ইতিমধ্যে ‘ওকিলবাবু' নামে ছবির শ্যুটিং শেষ হয়ে গেল। আমিও ব্যস্ত হয়ে গেলাম আরও কিছু ছবির শ্যুটিংয়ে।
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।