১৯৩৭ সাল। কলকাতা শহর। রাজ কাপুরের বয়স তখন তেরো বছর। তাঁর ভাই শাম্মী কাপুর বছর ছয়েকের। শশী কাপুরের জন্ম আরও এক বছর পর অর্থাৎ ১৯৩৮-এর ১৮ মার্চ, কলকাতায়। পেশোয়ারে জন্ম রাজ কাপুরের, ১৪ ডিসেম্বর ১৯২৪। শাম্মী কাপুরের জন্ম মুম্বইয়ে, ১৯৩১।
হাজরা রোডে দুই ছেলে আর স্ত্রী রামসরণিকে নিয়ে সাধারণভাবে থাকতেন পৃথ্বীরাজ কাপুর। মাস মাইনের চাকরি করতেন নিউ থিয়েটার্সে। চাকরি বলতে অভিনয়। পেশোয়ার থেকে অভিনয়ের টানে সোজা মুম্বইয়ে। কিন্তু না, অভিনয়ের বিশেষ কোনও সুযোগ কিংবা পারিবারিক শান্তি কোনও কিছুই পৃথ্বীরাজকে দিতে পারেনি সেই সময়ের মুম্বই। মোটামুটি সেরকম সময়েই অর্থাৎ ১৯৩২-এ পৃথ্বীরাজ কাপুর ঠিক করলেন মুম্বই থেকে কলকাতায় চলে যাবেন। আসলে নিউ থিয়েটার্সের আকর্ষণেই উনি কলকাতায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। নিউ থিয়েটার্সের রমরমা তখন। তাদের ব্যানারে একের পর এক বাংলা ও হিন্দি ছবি তৈরি হচ্ছে। ভাগ্যসন্ধানী অভিনেতাঅভিনেত্রীদের কাছে নিউ থিয়েটার্স তখন এক স্বপ্ন। এদের ছবিতে সুযোগ পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার ছিল।
পৃথ্বীরাজেরও স্বপ্ন ছিল নিউ থিয়েটার্সের হিন্দি ছবিতে কাজ করবেন। নিউ থিয়েটার্সের পাশাপাশি উচ্চারিত হতো পরিচালক দেবকীকুমার বসুর নাম। পৃথ্বীরাজের ইচ্ছে ছিল দেবকী বসুর পরিচালনায় কাজ করার। স্ত্রীর মতামতকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতেন পৃথ্বীরাজ। রামসরণিদেবী কলকাতায় যাওয়ার কথা শুনে আর আপত্তি করেননি। তিনি চাইছিলেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মুম্বই ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যেতে। কারণ, দেবী এবং বিন্দি— দু’ছেলের মৃত্যুতে শোকে পাথর হয়ে যান স্ত্রী। রাজের পর দু'ভাইয়ের জন্ম। শৈশবেই তাদের অকালমৃত্যু। এরপর শাম্মীর জন্ম হয়। নিউ থিয়েটার্সে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি স্ত্রীর মানসিক অবস্থা পরিবর্তনের ব্যাপারটাও মাথায় ছিল পৃথ্বীরাজের। একদিন মুম্বইয়ের তল্পিতল্পা গুটিয়ে বম্বে মেল ধরে সপরিবার কলকাতায় এসে উপস্থিত হলেন। পৃথ্বীরাজ নিউ থিয়েটার্সে যোগদান করেন এবং অচিরেই দেবকী বসুর সঙ্গে একটা সুন্দর সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর।
১৯৩২ সালে থেকে '৩৮— টানা ছ'বছর নিউ থিয়েটার্সের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন পৃথ্বীরাজ। দেবকী বসুর পরিচালনায় ‘ইনকিলাব’, ‘বিদ্যাপতি' সহ বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিকভাবে সফল ছবিতে অভিনয় করে সকলের নজর কাড়েন। ফিরে আসি রাজ কাপুরের কথায়।
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।