বঞ্চিত এক জনজাতির খোঁজে বেরিয়ে পড়েছিলাম আমরা সপরিবার। ভাবছেন তো কীসের বঞ্চনা? অগতির গতির জন্য যাঁকে স্মরণ করি আমরা, বঞ্চনা সেই ঈশ্বর নাম নিয়েই! রামনামটুকু উচ্চারণ করতে দেওয়া হতো না এদের। তার বিরুদ্ধে এক অহিংস জনরোষের জাজ্বল্যমান প্রমাণের খোঁজে আমরা চলেছি কলকাতা থেকে ৭৫০ কিলোমিটার দূরে ছত্তিশগড়।
জেলার নাম জঞ্জগির চম্পা। আর সেখানকার বাসিন্দারা পরিচিত সতনমী হিসেবে। অনেক ইতিহাসবিদের মতে রামনমী উপজাতি এই সতনমী সমাে একটি শাখা। ভারতের পরিবর্তনশীল উন্নয়নের মাঝে এখনও এই রামনমী বা সতনমী উপজাতি বিদ্যমান। ভাবলেও অবাক লাগে। ছত্তিশগড় মহানদীর অববাহিকায় এই ছোট্ট গ্রাম। গ্রামের বাচ্চা থেকে বুড়ো সবাই বয়ে বেড়াচ্ছে এই বঞ্চনার ইতিহাস। কলকাতা থেকে পুত্র পুবারুণ এবং স্ত্রী এনাক্ষীকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম গন্তব্যের উদ্দেশে। বলা উচিত পুবারুণের উৎসাহেই এই ভ্রমণ পরিকল্পনা। কলকাতা থেকে ও আগেই যোগাযোগ করেছিল জঞ্জগির চম্পার কালেক্টর সাহেবের সঙ্গে। তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন সতনমী উপজাতির সঙ্গে আমাদের দেখা করিয়ে দেবেন। আর সেই আশ্বাস পেয়ে আমরা সবাই উত্তেজিত।
সাদা মেঘ কালো মেঘ একে অপরকে জড়িয়ে ভেসে চলল আমাদের পথ, এনএইচ ৪৯ ধরে। বর্ষাস্নাত কোলাঘাট পেরিয়ে রোদ, মেঘ আর বৃষ্টি ছাড়িয়ে পৌঁছে গেলাম ঝর্ণার দেশ কেওনঝড়। কলকাতা থেকে বেরনোর সময় একটা পরিকল্পনা করেছিলাম, সেই অনুযায়ী আমাদের প্রথম রাত কাটানোর কথা ছিল ঝারসুগুদা গ্রামে। কিন্তু পথে টুকটাক বিরতি নিতে গিয়ে দেখলাম কেওনঝড়েই প্রথম রাত কাটানো বাঞ্ছনীয়। পরের দিন সকাল থেকেই আবার স্টিয়ারিংয়ে আমি। দূরের পথ। অবিশ্রান্ত গাড়ি চালিয়ে যেতে যেতে মনে হয় পথই এক সখ্যর গ্রন্থি বেঁধে দিয়েছে মনে। কী মসৃণ সেই পথ অনায়াসে ছুটিয়ে নিয়ে চলেছে আমাদের। কেওনঝড় পার হতেই পাহাড় যেন পথের প্রতি বাঁকে লুকোচুরি খেলা শুরু করল। গাড়ি চালানো তখন এক অনন্য অনুভূতি৷ এনএইচ ৪৯-এর বুক চিরে সুদীর্ঘ পথ, তবু ক্লান্তিহীন। একে একে ঝারসুগুদা, রায়গড় পেরিয়ে পৌঁছে গেলাম জঞ্জগির চম্পা।
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।