মুসকুরাইয়ে, আপ লখনউ মে হ্যায়! রন্ধ্রে রন্ধ্রে ইতিহাস লেপ্টে থাকা উত্তরপ্রদেশের রাজধানী শহরটার এখানে-ওখানে ঘুরতে বেরলেই শুনতে পাবেন কথাটা— ‘হাসুন, আপনি লখনউ এসেছেন!’ নবাবদের কেতার শহর এভাবেই আপনাকে স্বাগত জানাবে। অতএব গোড়াতেই বুঝে নিন, এ শহরে পা ফেলছেন মানে আপনি নিশ্চয়ই ফেলে আসা অতীত ছুঁয়ে দেখতে ভালোবাসেন। আর ভালোবাসেন, নবাবি খানার সুবাস। আমাদের লখনউ ভ্রমণে এই দুটো দিকই ছিল সমান্তরালে।
চারদিন ধরে শুধু লখনউ বেড়াব শুনে অনেকের চোখ কপালে উঠলেও আমাদের ভ্রমণের তৃপ্তি এক ফোঁটা কম হয়েছে বলতে পারি না! এখানে আপনাদের বলব ইতিহাসমাখা শহরটার গপ্প। সঙ্গে চেষ্টা করব এর অলিগলি ঘুরে পাওয়া মনোলোভা সুস্বাদু খাবারের আঘ্রাণ আপনাদের মরমে পৌঁছে 1 দিতে। কী বললেন? ব্যর্থ চেষ্টা? আহা তা কেন! গন্ধের গল্পে গল্পে দেখবেন আপনাদেরও ইচ্ছে হবে একবার লখনউ ঘুরে আসার। শায়েরি, ঠুমরি, কত্থক, আজান, মানুষের নিত্য বেঁচে থাকা, তাঁদের দিন গুজরানের খতিয়ান আপনাকে টেনে নিয়ে যেতেই পারে হাসিভরা শহরের আনাচেকানাচে। 1 I তবে এ শহর কেবল হেসে মন ভালো করতে বলে না। ছোট থেকে শুনে এসেছি, এখানে আতিথেয়তা দেখানোর অতি পরিচিত সেই শব্দবন্ধ, ‘পহেলে আপ পহেলে আপ...!' এ নিয়ে অনেক ঠাট্টা-মশকরার গল্পও শুনেছি। ‘পহেলে আপ’এর ঠেলায় ট্রেন নাকি স্টেশন ছেড়ে চলে যেত। সে যাক। এ শহরের পরম ভব্যতা আর আভিজাত্যের নিক্তিতে সেসব গল্প ফিকে লাগতে বাধ্য। শহরটার যে কোনও সাধারণ মানুষই আপনাকে বুঝিয়ে দেবে, অতিথিকে খাতির-যত্ন করার অভ্যাস তাঁদের রক্তে। আমাদের লখনউ ভ্রমণে সঙ্গে ছিলেন গাইড আতিফ শরিফ। পর্যটকের অভিজ্ঞতা নয়, তাঁর দৌলতে ভরা ঠান্ডাতেও শহরটার উষ্ণতা আমরা টের পেয়েছি ‘চক’-এর অলিগলি ঘুরে। স্থানীয় মানুষের কাছাকাছি গিয়ে। যে কোনও জায়গায় বেড়ানো মানে শুধু কিছু ইতিহাসগন্ধি স্মৃতিসৌধ দেখে ছবি তুলে ফিরে আসা নয়। মাত্র দু'চার দিনে একটা শহরের মনমরজি বুঝে ফেলার মতো পরিসর হয়তো থাকে না। তবু দেখার ধরনে হয়তো বা ছুঁয়ে ফেলা যায় আন্তরিকতার তরঙ্গদৈর্ঘ্য। নৈকট্যস্থাপনে সময়ের মেয়াদ তখন কোনও বাধা হয় না।
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।