তৎকালীন বঙ্গীয় অঞ্চলে জমিদারি ও নবাবি শাসনের সময়ে রাজস্ব আদায়ের জন্যে বাৎসরিক বন্দোবস্ত ও উৎসবের ছিল নাম পুণ্যাহ। ঊনিশ শতকের মাঝামাঝি সময় পুণ্যাহ উৎসব বাংলা নববর্ষের সমার্থক হিসেবে বৈশাখ মাসের ১ তারিখ নিয়মিত পালন করা হতো। বর্তমানে এটি একটি বিলুপ্ত উৎসব। তবে এর আঙ্গিকে এখনও গ্রামগঞ্জে হালখাতা নামে একটি অনুষ্ঠান করা হয়। সেখানে উৎসবের আমেজ না থাকলেও আনুষ্ঠানিকতা থাকে। পুণ্যাহ ছিল রাজস্ব আদায় এবং বন্দোবস্ত সংক্রান্ত বিষয়ে প্রাকব্রিটিশ সময়ের একটি পদ্ধতি। ১৯৫০ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত বিলোপ সাধনের পাশাপাশি পুণ্যাহ উৎসবের বিলুপ্তি ঘটে।
এই পুণ্যাহ উৎসবের দিনে উপস্থিত বিরাট প্রজামণ্ডলীর উদ্দেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন: ‘এই মিলন উৎসবে পরস্পরে ভেদ সৃষ্টি করে মধুর সম্পর্ক নষ্ট করে দেওয়া চলবে না। প্রিয় প্রজারা, তোমরা সব পৃথক আসন, পৃথক ব্যবস্থা— সব সরিয়ে দিয়ে, একসঙ্গে বোসো। আমিও বসব। আমি তোমাদেরই লোক।'
সেদিন অপমানিত নায়েব গোমস্তার দল সবিস্ময়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে দেখেছিলেন, রবীন্দ্রনাথের আহ্বানে হিন্দু-মুসলমান প্রজারা প্রকাণ্ড হলঘরের সব চাদর সব চেয়ার নিজেরাই সরিয়ে দিয়ে ঢালা ফরাসের উপর বসে পড়ল। মাঝখানে বসলেন রবীন্দ্রনাথ।
হ্যাঁ, এই রবীন্দ্রনাথ অন্য রবীন্দ্রনাথ। যিনি অক্সফোর্ডে ‘রিলিজিয়ন অব ম্যান' নিয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন, তিনিই পদ্মার চরে আলুচাষে মগ্ন হয়েছেন। যিনি হিজলী হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে জ্বালাময়ী ভাষণ দিয়েছেন, তিনিই কুষ্টিয়ায় আখের কল খুলেছেন। যিনি বার্নাড শ ও রম্যাঁ রল্যাঁর সঙ্গে নিভৃত আলোচনা করেছেন সত্যসুন্দর নিয়ে, তিনিই কফিলুদ্দিন আহমেদ বা জালাউদ্দিন শেখের সঙ্গে ধানখেতে পোকা মারার পদ্ধতি নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় করেছেন। যিনি শালবীথিতে হাঁটতে হাঁটতে সঙ্গীত রচনায় বা শ্যামলীর বারান্দায় কবিতা সৃষ্টিতে মগ্ন, কিংবা মন্দিরে উপাসনার আচার্য, তিনিই চাষিদের প্রভিডেন্ড ফান্ড, কৃষিব্যাঙ্ক তৌজি আদায় তহসিল মামলা মকদ্দমা নিয়ে ব্যতিব্যস্ত। যিনি গেয়েছেন, ‘আমার সকল দুখের প্রদীপ জ্বেলে দিবস গেলে করব নিবেদন’, তিনিই বলেছেন, ‘অন্ন চাই প্রাণ চাই আলো চাই, চাই মুক্ত বায়ু, চাই বল, চাই স্বাস্থ্য, আনন্দ উজ্বল পরমায়ু’।
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।