জমা টাকা থেকে খরচ করি না : অপরাজিতা আঢ্য • ২০২৪-এ এসে সংসার খরচ আগে থেকে পরিকল্পনা করে করা খুব কঠিন। কারণ জিনিসপত্রের দাম এত বেড়ে গিয়েছে, তার সঙ্গে তাল রাখা মুশকিল। আমরা তো মধ্যবিত্ত। সুতরাং যেটা পরিকল্পনা করি, মাসের শেষে বেশিরভাগ সময়ই সবটা ভেস্তে যায়। আমি যেটা করি, সেটা বলতে পারি। একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা মাসের শুরুতেই খরচের টাকা হিসেবে ধরে নিই। প্রাত্যহিক এবং মাসিক খরচ তার মধ্যে হিসেব করা থাকে। ধরুন, মাসে আমার যদি ১০০ টাকা খরচ হয়, আমি তার উপর ১০ টাকা অতিরিক্ত ধরে রাখি। ১০০ টাকা যে খরচ হতে পারে, সেটা আমি অভিজ্ঞতা থেকে জানি। এবার ১০ টাকা অতিরিক্ত রাখা, কারণ সব তো হিসেব করে হয় না। কিন্তু ওই ১১০ টাকা পর্যন্তই খরচ করব। তারপর যে উদ্বৃত্ত টাকাটা থাকল, সেটা নেই বলে ধরে নিই। আসলে সেটা জমার খাতে রাখলাম। ১১০ টাকা খরচের পর হাজার সমস্যা হলেও আমি জমা টাকা থেকে খরচ করি না। দরকার হলে কিছু পরিকল্পনা বাতিল করি। কিছু জিনিস কম কিনি। একদিন মাছ কম খাব, সপ্তাহে একদিন মাংস কম খাব। অথবা লোকলৌকিকতায় রাশ টানব। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই যে উদ্বৃত্ত টাকা জমিয়েছি, তাতে হাত দেব না। আমার খরচের পরিকল্পনা ১১০ টাকার মধ্যেই রাখব। আমি অন্তত আমার জীবন এভাবেই চালাই। এর অন্যথাও হয়। ধরুন পুজোর মাসে। সকলকে কিছু না কিছু উপহার দিতে হয়। তখন আর পরিকল্পনার মধ্যে খরচ ধরে রাখা হয় না। আবার মার্চ মাসে ট্যাক্স দেওয়ার সময়ও খরচ নিয়ন্ত্রণে থাকে না। বাকি সময়টা জমানো টাকায় হাত দিই না। যদি বড় কোনও সমস্যা হয়, অসুখ বা অন্য কিছু— সেটার জন্যই তো এই টাকাটা বাঁচিয়ে রাখা। আমার শাশুড়িমা খুব সঞ্চয়ী। সেটা কখনও কখনও কৃপণতার পর্যায়ে পড়ে। আর আমার মা এমন ছিলেন যে, ৫০ লক্ষ টাকা দিলে একদিনে খরচ করে ফেলতেন। মা ভাবতেন, আছে টাকা তো খরচ করছি, নেই টাকা তো বসে আছি। তার মধ্যেও মা যতটুকু রেখে গিয়েছেন, করে গিয়েছেন, তা অনেকটাই। কিন্তু মা কোনওদিন হিসেবি ছিলেন না। হিসেব করে চললে হয়তো আর একটু গোছাতে পারতেন।
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।