‘সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি, সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি। আদেশ করেন যাহা মোর গুরুজনে, আমি যেন সেই কাজ করি ভাল মনে।' হঠাৎ করেই চোখের সামনে ছোটবেলা এসে হাজির হল তো? মদনমোহন তর্কালঙ্কারের লেখা এই অমোঘ লাইনগুলো কিন্তু জীবনের সব ক্ষেত্রেই সত্যি। গুরুজনের কথা শুনলে চলার পথ খানিক মসৃণ হয়। কারণ গুরুজনরা তো যা বলেন, তা ভালোর জন্যই। আর এখানেই ওঠে সেই চিরাচরিত প্রশ্ন। গুরুজনরা হয়তো ভালোর জন্যই বলেন। কিন্তু যা বলছেন, তাতে সত্যিই ভালো হচ্ছে কি? অর্থাৎ গুরুজনদেরও ক্ষেত্র বিশেষে একটু জেনে নেওয়া প্রয়োজন। ধরুন, আপনার সন্তান শারীরিক দিক থেকে বেশ গোলগাল। আপনি আদর করে সর্বসমক্ষেই হয়তো বলেন, ‘খাতে পিতে ঘরকা'। এ নেহাতই মজার অনুষঙ্গ। কিন্তু এর আড়ালেই বিপদ লুকিয়ে নেই তো? যে বিপদের নাম ওবেসিটি। বয়স বাড়লে তা এমন ভয়ঙ্কর আকার নেবে, তখন পরিত্রাণের উপায় খুঁজতে নাজেহাল হতে হবে। তাই গোড়া থেকেই ভিত মজবুত করা ভালো।
ওবেসিটি এমন এক অসুখ, যার কোনও নির্দিষ্ট বয়স নেই। ওবিস শিশুর সংখ্যা নেহাত কম নয়। ফলে হঠাৎ একদিন যদি স্লিম হওয়ার বাসনা জাগে, তাকে কার্যক্ষেত্রে ফলপ্রসূ করা কঠিন। ওবেসিটি নিয়ন্ত্রণ বা স্লিম হওয়া কোনও ম্যাজিক নয়। এর জন্য নিরন্তর চর্চা প্রয়োজন। কেমন চৰ্চা? প্রথমেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আপনার জন্য কোন ধরনের শরীরচর্চা এবং ডায়েট প্রয়োজন তা একজন পেশাদার বলে দিতে পারবেন। নিজের ইচ্ছেমতো ডায়েট করা যায় না। ডায়েট আসলে অত্যন্ত ব্যক্তিনির্ভর একটি পদ্ধতি বলে মনে করেন ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট তথা ওয়েলনেস কনসালটেন্ট চিকিৎসক অনন্যা ভৌমিক মিত্র। কিন্তু সচেতন হতে হবে ছোট থেকেই। শিশুরা নিজেরা সচেতন হতে পারবে না। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের ভূমিকা অপরিসীম। ভালোবাসে বলেই পছন্দের খাবার অতিরিক্ত মাত্রায় দেওয়া যাবে না। আর বয়স বাড়লে সেই সচেতনতা আনতে হবে নিজের তাগিদেই। ডায়েটের ক্ষেত্রে পথ দেখালেন অনন্যা।
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।