• বম্বে তখনও ব্যস্ত শহর। মুম্বই নাম পেতে তার তখনও ঢের দেরি। বম্বের ব্যস্ত জুহুর সিগন্যালে দাঁড়িয়ে মান্না দে-র গাড়ি। সাল কত হবে? ১৯৬৫ বা '৬৬! হঠাৎ মান্নাবাবু দেখতে পেলেন কানে টেপ রেকর্ডার নিয়ে জুহুর রাস্তায় উত্তমকুমার! তখন তিনি বম্বেতে ছবির কাজে এসেছেন। মান্না দে ছুটে গেলেন উত্তমকুমারের কাছে। ‘দাদা আপনি এভাবে টেপ রেকর্ডার নিয়ে ঘুরছেন? হয়েছে কী? '
বেশ টেনশনে উত্তম। বললেন, ‘আরে সবই তো আপনার জন্য মশাই! কীসব কাজকম্ম করেছেন আপনি আমার পরের ছবির গানে মান্নাবাবু, আমার এখন এই গানগুলো রপ্ত করতে মাথাখারাপ হয়ে যাচ্ছে! ভালো করে না তুলতে পারলে আমি পারফর্ম করব কী করে? লিপ মেলাব কী করে!”
১৯৬৭-তে মুক্তি পেল সেই ইতিহাস তৈরি করা ছবি ‘এন্টনী ফিরিঙ্গী'। তামাম দর্শক দেখল মান্নার কণ্ঠে ‘আমি যামিনী তুমি শশী হে’, কিংবা ‘আমি যে জলসাঘরে' গানের লিপে নিখুঁত উত্তম নিজেকে ছাপিয়ে দর্শককে নিয়ে যাচ্ছেন। এক মহার্ঘ্য জগতে। যেখানে শুধু সঙ্গীত সত্য। আর সত্য উত্তমকুমার!
উত্তমকুমার অভিনীত ছবির গান কিংবা উত্তমকুমারের সঙ্গে তৎকালীন সময়ে গানের জগতের মানুষজনদের গা নের সম্পর্ক-ওঠাবসা এসব নিয়ে লিখতে গেলে প্রথমেই একটি কথা স্বীকার করে নেওয়া ভালো। সেসময় কাহিনি যেমন জোরদার ছিল, অভিনয়ের গুণে যেমন দর্শককে ধরে রাখা যেত, এমন অনেক ছবি হয়েছে, যেখানে গানই হয়েছিল মুখ্য। শুধু গানই টেনে নিয়ে গিয়েছে গোটা গল্পকে। সেই গানগুলো বারবার শুনতে লোকে ভিড জমিয়েছে সিনেমা হল-এ।
, উত্তমকুমারের ‘উত্তমকুমার' হয়ে ওঠার নেপথ্যে তাই সেসব গায়ক, গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালকদেরও বেশ অনেকটা ভূমিকা আছে। উত্তমের ছবির এমন বহু হিট গান রয়েছে যা হয়তো উত্তমের লিপে নয়, তবু সেসব গান হিট হয়েছে, লোকে ছবির সঙ্গে সেসব গান শুনতেও ছুটে গিয়েছে হল-এ।
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।