• মহানায়ক উত্তমকুমারের সম্পর্কে কিছু বলতে হলে খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি। তাঁকে ঘিরে কত কথা যে আমার মনে পড়ে! আর সেইসব কথা আমার স্মৃতিতে চিরকাল সজীব হয়ে থাকবে। আমি তখন কিশোর। উত্তর কলকাতার মথুর সেন গার্ডেন লেনে সাধারণ একটা বাড়িতে ভাড়া থাকতাম। আরও দু-এক ঘর ভাড়াটে ছিল। আমাদের পাড়ায় কিশোর ভড় নামে এক ভদ্রলোকের সঙ্গে মাঝেমাঝে দেখা করতে আসতেন উত্তমকুমার। আর পাড়ায় মহানায়ক এসেছেন জানতে পারলে কিশোর মামার বাড়ির সামনে উৎসাহী মানুষের ভিড় জমে যেত। তাঁকে একঝলক দেখার জন্য সকলের কী আকুলিবিকুলি! উত্তমকুমারকে সামনাসামনি দেখা ভাগ্যের ব্যাপার। অবশ্য সেই সময় এমন সৌভাগ্য আমার হয়নি। মনের দুঃখ মনেই চেপে রেখেছিলাম। তবে আমার স্থির বিশ্বাস ছিল মহানায়কের সঙ্গে একদিন আমার দেখা হবেই। আমি ঈশ্বরবিশ্বাসী। ভগবান আমার ইচ্ছে পূরণ করেছেন।
উত্তর কলকাতার প্রতি আজীবন একটা আলাদা টান ছিল উত্তমকুমারের। কারণ, আহিরিটোলায় মামাবাড়িতে জন্ম তাঁর। উত্তর কলকাতায় কিছু কিছু সমাজসেবামূলক কাজকর্ম ও জলসায় মহানায়কের উপস্থিতি উল্লেখের দাবি রাখে। উত্তমকুমার কিশোর মামার কাছে আসতেন গান-বাজনার ব্যাপারে। মহানায়ক নিজেও ভালো গাইতেন। কিশোর মামার মুখে তাঁর নানারকম গল্প শুনে এরকম একজন সুদর্শন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বের নিটোল একটা ছবি মনে মনে আঁকা হয়ে গিয়েছিল। তবে আমার ওই বয়সে মহানায়কের অভিনয়ের তেমন কিছু বুঝতাম না। কারণ, আমাদের জমানায় সিনেমা হলে গিয়ে ছবি দেখা একরকম বারণই ছিল।
এরপর অনেকগুলো বছর এগিয়ে যাই। তখন আমি মুম্বইয়ে। একজন স্ট্রাগলার। হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে দাঁড়াবার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছি। সান অ্যান্ড স্যান্ড হোটেলে 'অমানুষ’ ছবির সিলভার জুবিলি পার্টি। ছবি সর্বত্র সুপারডুপার হিট। উত্তমকুমারের অনবদ্য অভিনয়ে আসমুদ্রহিমাচল তখন উত্তাল। হ্যাঁ, এমনকী তাঁকে মুম্বইয়ের অবাঙালিরাও ‘গুরু’ বলে সম্বোধন করছে এ আমার নিজের কানে শোনা— ‘গুরুকা পিকচার অমানুষ দেখা হ্যায় কেয়া? অ্যাক্টিং অউর গ্ল্যামার দোনো হি কামাল কি!' উত্তমকুমারের অন্ধ ভক্ত আর একজন বাঙালি হিসেবেও বাংলার বাইরে মহানায়কের এহেন জনপ্রিয়তা দেখে রীতিমতো আত্মশ্লাঘা অনুভব করতাম।
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।